Latest News

একি ভোটের চেহারা আমি ভোট থেকে বঞ্চিত কেন?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম : ৫৪-এর হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দীর যুক্তফ্রন্টের সময় বয়সের কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে পারিনি। ’৭০-এর পাকিস্তানের শেষ নির্বাচন থেকে ৫ তারিখের প্রহসনের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সব ক’টিতেই অংশ নিয়েছি।
আমি একজন সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা। এ দেশের জন্মের বেদনার সঙ্গে জড়িত। ভোটের অধিকার থেকে কর্তৃপক্ষ কেন আমাকে বঞ্চিত করলো? আমার স্ত্রী কেন ভোট দিতে পারলো না? আমার একমাত্র ছেলে দীপ সে কি অন্যায় করেছে? কুশি-কুঁড়ি ওরা দুই বোন। কুশির ৭, কিন্তু কুঁড়ির তো ২২ বছর। কত আগ্রহ নিয়ে সে ভোটার হয়েছে, সে কেন ভোট দিতে পারলো না? একজন পিতা হিসেবে তাকে কি জবাব দেবো? আল্লাহ যদি দয়া করেন, আবার যদি কখনও স্বাভাবিক ভোট হয় তখন সে হয়তো পরের ঘরে ভোটার হবে, বাবার ঘরে নয়।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভোট দিতে পারলেন না কেন? যারা নিজেরা নিজেকে ভোট দিতে পারে নাই তারা নির্বাচিত- এ দাবি করবেন কিভাবে? বর্তমান মহা মহা নেতারা যারা সংগ্রাম করে, রক্ত দিয়ে নাকি ভোটের ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন, তারা নির্বাচনের আগেই ৫ কোটি ভোটারের ভোটাধিকার যেভাবে তস্করের মতো হরণ করলেন তার জবাব কে দেবে? সাধারণ নিয়মে নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে কেন্দ্রে যারা জড়িত থাকে তাদের ১-২ হাজার টাকা টিএ, ডিএ দেয়া হয়। ঝুঁকি পূরণ হিসেবে নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্তদের আহত নিহত হওয়া নিয়ে আহত ২ লাখ, নিহত ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন কেন?
ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ক্ষতিপূরণের কথা চিন্তা করলেন, ভোটারদের কথা চিন্তা করলেন না? তাদেরও তো জীবন, তাদেরও তো পরিবার আছে, তারা কি দোষ করেছে? কারও বা কোন গোষ্ঠীর জেদের জন্য দেশবাসীকে এত মাশুল দিতে হবে কেন? এর মধ্যেই কত শত ভোট কেন্দ্র জ্বলেপুড়ে ভস্ম হয়ে গেছে। ভোটকেন্দ্রগুলো সাধারণত গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে হয়। সে বিধ্বস্ত কেন্দ্রের ক্ষতিপূরণ কে দেবে? টাকার অঙ্কে না হয় পূরণ করা গেল। গৌরী সেনের মাল দরিয়ামে ডাল, কিন্তু ঘুম থেকে উঠে যে শিশু দেখবে তার স্কুল পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে, সে তো বুঝবে না কার লোভে অথবা কার কারণে তার স্কুল পুড়েছে, তার স্বপ্ন পুড়েছে।
কচি মনে যে আঘাত লাগবে সেই ক্ষতবিক্ষত কচি মন কে আবার নির্মল করবে? তার তো সারা জীবন শুধুই মনে হবে কোন সকালে তার স্কুল পুড়ে গেছে। আমিও যেমন আমার ছোট বয়সের অনেক স্মৃতি ভুলতে পারি না। একবার বাবা, বড় ভাই জেলে থাকতে মুড়ি খাওয়ার জন্য মা’র কাছে দুই পয়সা চেয়েছিলাম, সেদিন মা আমাকে সেই পয়সা দেননি বা দিতে পারেননি। কিন্তু পরে আস্ত একটি গিনি দিয়ে রিং বানিয়ে দিয়েছিলেন যার ওজন ছিল দেড় ভরি। আরও একটি চার আনি সোনার শুধু রিং দিয়েছিলেন যা আমি মুক্তিযুদ্ধ শুরু পর্যন্ত হাতে দিয়েছি। তখন আমার ধারণা ছিল, হঠাৎ কোথাও মারা গেলে অপরিচিতরা যাতে রিংয়ের অর্থ থেকে আমার কাফন দাফন করতে পারেন।
স্বাধীনতার যুদ্ধের শুরুতে সেটি খুলে ফেলেছিলাম আর পরিনি। তবে জিনিসগুলো এখনও আছে। ক’দিন আগে একটা দিয়েছি ছেলেকে এবং আরেকটা ছোট মেয়ে কুশিমনিকে। ওই ধরনের কোন কিছু কুঁড়িমনিকে দেয়া হয়নি, তবে ওর মা’কে বলে রেখেছি একবার লন্ডন থেকে আবু ধাবি হয়ে ফেরার পথে তার জন্য যে চেইন এনেছিলাম সম্ভব হলে ওটাই তাকে দিতে। তাছাড়া স্বাধীনতা যুদ্ধের পর হাজার হাজার সোনা রুপার মেডেল পেয়েছিলাম যার পরিমাণ প্রায় সোনার চার-সাড়ে চার, রুপার ১৬-১৭ হাজার ভরির কম নয়। হাজার পাঁচেক ভরি রুপা আর হাজারখানিক সোনার উপহার আমি একাই পেয়েছিলাম।
সভা-সমাবেশে বা কোন অনুষ্ঠানে গেলেই আমাকে সহ ৮-১০ জনকে যে মেডেল দেয়া হতো সবই থাকতো এক জায়গায়। তখন গ্রামেগঞ্জে সোনার ভরি ছিল ১২০-১২৫ টাকা, রুপা ৪-৫ টাকা। তাই সবাই এত উপহার দিতো যে রাখার জায়গা হতো না। যা সবই বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর বাড়ি লুটপাট করে খুনিরা নিয়ে গিয়েছিল। ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসা, টাঙ্গাইলের জাহাঙ্গীর স্মৃতি সেবাশ্রম, ওয়াপদা ডাকবাংলো এবং কাদেরিয়া বাহিনীর কেন্দ্রীয় তোসাখানা কোন কিছু লুট করতে বাদ রাখেনি। মুজিব কলেজ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের ইনচার্জ এক মেজর মাস্টার আমজাদের কাছ থেকে সব লুটে নিয়েছিল। এত সবের পরও বল্লার রামপুর আর নিকরাইল থেকে দেয়া ১২-১৩ ভরি সোনার ক’টা মেডেল মা’র কাছে পড়েছিল। সেগুলো চিন্তা করেছি বড় মেয়ে কুঁড়িকে দেবো।
বলেছিলাম, আমি কিছু ভুলতে পারি না। মা আমাকে ভীষণ ভালবাসতেন। ছেলেবেলার স্বাস্থ্যহীন, জ্ঞান-বুদ্ধিহীন, জাতির জন্য একেবারে অপ্রয়োজনীয় নাদান মানুষটা যে বেঁচে আছি সে শুধু মায়ের জন্য। না হলে ৭-৮ বছরে হুপিং কাশিতে যেভাবে আক্রান্ত হয়েছিলাম ওতেই মরে যেতাম। এ সুন্দর পৃথিবী দেখার সুযোগ হতো না। মুখ লুকিয়ে ক্লাসের পেছন বেঞ্চে মাথা নিচু করে থাকা নাদান মানুষটি দেশের গৌরব মুক্তিযোদ্ধা হতে পারতাম না। পেতাম না বঙ্গবন্ধুকে। হতাম না মুক্তিযোদ্ধা, থাকতাম না বেঁচে, দেখতাম না গণতন্ত্রের এমন কলঙ্ক। এসবই সম্ভব হয়েছে মমতাময়ী মায়ের জন্য। মনে হয় আমার তখন ১৩-১৪ বছর। কোন কিছু নষ্ট করেছিলাম বা কোন কিছু ভেঙেছিলাম মা রাগ করে দরজার ডাব দিয়ে একটা বাড়ি দিয়েছিলেন। বাড়িতে মোটেই জোর ছিল না, তাই ব্যথা পাইনি।
কি আর ব্যথা পাবো, ছেলেবেলায় আমার নিয়মিত পাওনা ছিল বাবা, চাচা, বড় ভাইয়ের মার। দু’-একদিন হয়তো খাবার না খেলেও চলতো, কিন্তু পড়াবার বাহানায় বেত না খেলে চলতো না। তাই মায়ের আঘাতে কি ব্যথা পাবো! মা সেদিন আমাকে মেরে শুধু কাঁদেননি, হাজার কথার মধ্যে যখনই বলতাম, মা আমাকে দরজার ডাব দিয়ে একদিন বাড়ি দিয়েছিল। মা পরে কখনও মনে করতে পারতেন না তিনি আমাকে মেরেছিলেন। আর আমি কখনও মায়ের ডাবে বাড়ি ভুলতে পারতাম না, আজও পারি না। আমার কাছে মনে হতো মা’র সেই বাড়ির মাধ্যমে তিনি আমাকে সারা জগৎ দিয়েছিলেন। জগতের সব মায়া মমতা জ্ঞান একত্র করে সঁপে দিয়েছিলেন। হিন্দু শাস্ত্রে এক মহামানব বর্তমান যুগের অবতার দক্ষিণবঙ্গের শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব একবার গিরিশ ঘোষের নটী বিনোদিনী নাটকের মঞ্চায়ন দেখে তার খড়ম ছুড়ে মেরেছিলেন। বলেছিলেন, নাটকে লোক শিক্ষা হয়, তোকে আমি বগলমা দিলাম। তিনি হিন্দু, আমি মুসলমান। কিন্তু সেদিন না চাইতেই মায়ের দোয়া আমার দেহমনে অন্তরাত্মায় শত্রুর অনিয়ম, দুর্নীতি, অসত্যের বিরুদ্ধে এক মহা বর্মাস্ত্র হয়ে আছে।
মনের ভিতর শ’ শ’ প্রশ্ন তোলপাড় করছে। কোনটা রেখে কোনটা বলবো। আমি যেমন আমার ভালমন্দ শিশুকালের সুখ দুঃখের স্মৃতি ভুলতে পারি না। আজকের শিশুদের যদি ওরকম হয় স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে কি তাদের এটাই পাওনা? তাই যেদিন সবচেয়ে খুশি হওয়ার কথা সেদিন মনটা বেদনায় খান খান হয়ে যাচ্ছে। আমি আওয়ামী লীগে ছিলাম। আমি আওয়ামী ঘরানারই একজন, আওয়ামী লীগের জন্মদাতা হুজুর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, জননেতা শামসুল হক তারা আমার হৃদয়জুড়ে। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে আওয়ামী লীগের মাধ্যমে জননী জন্মভূমিকে স্বাধীন করেছেন, সেই আওয়ামী লীগের জন্য আমি আমার অনেক রক্ত-ঘাম ঝরিয়েছি। আমার বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজন শুধু আওয়ামী লীগের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন অমন পরিবার খুঁজলে প্রথম হতে না পারি, একেবারে পেছনের কাতারে পড়বো না।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পরিবার ভাগাভাগি হওয়ার সুযোগ ছিল না। সবকিছু ফেলেফুলে আমরা সবাই মুক্তিযুদ্ধে ছিলাম। যে যেভাবে পেরেছে কাজ করেছে। হানাদাররা আমাদের বাড়িঘর পুড়ে ছারখার করে দিয়েছে। আমাকে ধরে দেয়ার জন্য লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে। কোন কিছু দমাতে পারেনি। অন্যেরা কেন, কিভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে বলতে পারবো না, কিন্তু আমি কেন অংশ নিয়েছিলাম তার সব কারণ না হলেও বড় বড় মূল কারণ অবশ্যই বলতে পারি। আমি সে সময় আয়ুব-মোনায়েম-ইয়াহিয়াবিরোধী আন্দোলনে শরিক থেকে তারস্বরে যখন বলতাম, প্রয়োজন হলে বুকের রক্ত দেবো! অমন বক্তৃতা না করলে হয়তো প্রত্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা হতাম না। হয়তো পালিয়ে জীবন বাঁচাতাম। লম্বা মানুষ বুঝ-বিবেচনা খুব একটা চৌকস ছিল না।
তাই যখনই মনে হয়েছে প্রয়োজনে রক্ত দেবো, এখন রক্ত দেয়ার সময় পালিয়ে গেলে কখনও যদি দেশ স্বাধীন হয় তখন না কত পিছে পড়বো। ভীরু ভেবে কেউ যদি দাঁত কেলিয়ে হাসে সেটা সহ্য করবো কি করে? তাই কারও মুচকি হাসির চাইতে জীবন যায় যাক সেটাই ভাল। তাছাড়া যৌবনে কাউকে ভাল না বাসলেও নেতার মাধ্যমে প্রেমিকার মতো দেশকে ভালবেসেছিলাম। সেই দেশ রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত সহ্য করতে পারিনি। সহ্য করতে পারিনি শক্ত সামর্থ্য থাকতে চোখের সামনে মা-বোনের সম্মান সম্ভ্রম হারানো। তাই জীবনের মায়া না করে শক্ত পায়ে দাঁড়িয়েছিলাম পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে। দাঁড়িয়েছিলাম দেশ ও জাতীয় সম্মান সম্ভ্রম ও অধিকার রক্ষা করতে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত আমাদের হাতে পশ্চিমারা শাসন ক্ষমতা ছেড়ে দিতে চায়নি।
অজুহাত দেখিয়েছে পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা তাদের হাতছাড়া হলে পাকিস্তান থাকবে না। যে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছে তা ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই জনগণের রায় পাকিস্তানি শাসকরা মানেনি। শেষ পর্যন্ত নিরস্ত্র বাঙালির উপর অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। লাখ লাখ গ্রামগঞ্জের সবুজ প্রাণ রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে একটা স্বতন্ত্র ভূখণ্ড সৃষ্টি করেছি। কিন্তু তবু গণতন্ত্রের সম্মান রক্ষা করেনি হানাদাররা, আমাদের ন্যায্য দাবি মানেনি। কেন যেন আজও ঠিক তেমনই চলেছে। মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে চেতনার কথা বলে সবাইকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পৃথিবীর কেউ দেখেনি ৩০০ আসনের ১৫৩টি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, বাকি ১৪৭ আসনে যে প্রহসন করা হলো সেখানেও এক দেখাবার মতো ব্যাপার।
মহাজোটের ৩-৪টি দলের নির্বাচনে সিট ভাগাভাগি। কোন মরার উপর শকুনির মতো নির্বাচনকে এমন খুবলে খেতে পৃথিবী কখনও দেখেনি। জোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রতীক বরাদ্দ করেননি, শুধু এই শর্তেই আরও ৫৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাবে। ১০৫ জন স্বতন্ত্র, তার ৮ জন বাদে সবাই আওয়ামী লীগ, মানে নিজেরা নিজেরাই। যখন লিখছি নির্বাচনে প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা হয়ে গেছে। এখনও ২ শতাংশ ভোট পড়েনি, তারপরও নির্বাচন? এমন চুরি চামারি, ভোট ডাকাতির গিনেজ বুকে স্থান পাবে না তো কি?
বৃহত্তর ময়মনসিংহে এক নেত্রী, সারা জীবন সবাইকে শুধু ভেংচিই দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ঢোল আর হাড্ডিগোর দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছেন, বরিশালের হয়েও নকলা-নালিতাবাড়ীতে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন- এবার আমার এক সহকর্মী বদিউজ্জামান বাদশার কাছে তিনি প্রায় ভিটাছাড়া। হালিম, জিন্নাহ, জসিম, পাইলট, গৌরাঙ্গ, বাহাদুর- ওরা ছিল আমার ’৭৫-এর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ সংগ্রামের সঙ্গী। সেই সময় বাদশা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এক সময় যারা জাতির পিতাকে জুতার ফিতা বলতো তারা প্রিয়, আর যারা বঙ্গবন্ধুর জন্য, স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছে তারা অপ্রিয়। এ দ্বন্দ্বের হাত থেকে জাতির বহু আগেই বেরিয়ে আসা উচিত ছিল। কিন্তু ব্যর্থ নেতৃত্বের কারণে তা পারেনি।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে প্রকৃত আত্মীয়কে অস্বীকার করে স্বার্থকে আলিঙ্গন করা হচ্ছে। শিবচরের ইলিয়াস দাদাভাই বিয়ে করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর বড় বোনকে। বঙ্গবন্ধুর বোনেরা সব ক’জন ছিলেন ভাইয়ের জন্য অন্তর্গত প্রাণ। সেইখানে মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের জাফর উল্যাহ যার মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ভূমিকা ছিল পাকিস্তানি হানাদার জেনারেলদের সঙ্গে হেলিকপ্টারে করে ঘুরে বেড়ানো। তার পিতা ছিলেন পাকিস্তানিদের দালাল, শান্তি কমিটির লোক। সে সময় আর যা-ই হোক মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী ওসবের সঙ্গে ছিল না, তার বাবা-চাচাও না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বলে যুদ্ধাপরাধীদের কাছে রাখা, কোলে তোলা কোন ভাল কথা নয়। ফরিদপুর শান্তি কমিটির সভাপতি নুরু মিয়ার নাতির সঙ্গে নেত্রীর মেয়ের বিয়ে কি উচিত হয়েছে? কথাগুলো আজ বুকের ভেতর থেকে জোর করে বেরিয়ে আসছে তাই ধরে রাখতে পারলাম না।
১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে এ নির্বাচন এতদিন লাইফ সাপোর্টে ছিল। ৫ তারিখ তার জানাজা হলো, সামনে কুলখানি ও চল্লিশা।

যোগাযোগ

Editor:Sahadul Suhed, News Editor:Loukman Hossain E-mail: news.spainbangla@gmail.com