এসবিএন ডেস্ক. ইরাকের প্রধান তেল শোধনাগার বাইজি রিফাইনারি ও উত্তরাঞ্চলীয় তাল আফার বিমানবন্দরে সুন্নি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর তুমুল লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।
বিমানবন্দর ও তেল শোধনাগারের বেশির ভাগ অংশ নিজেদের দখলে রয়েছে বলে বিদ্রোহীরা দাবি করেছে।আজ শুক্রবার বিবিসির অনলাইনের খবরে বলা হয়, রাজধানী বাগদাদ
থেকে ৭০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের মুথান্না এলাকার পরিত্যক্ত একটি অস্ত্র কারখানা দখল করেছে বিদ্রোহীরা।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ওই কারখানায়
এমন কিছু নেই যা তারা রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।এদিকে, কট্টরপন্থী দমনে
ইরাক সরকারকে সহায়তা দিতে ৩০০ সামরিক উপদেষ্টাকে বাগদাদে পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
এ
জন্য ওয়াশিংটন সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে বলে জানান তিনি।
ওই
উপদেষ্টারা কট্টরপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইরাকি বাহিনীকে কীভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় বা রসদ দেওয়া যায়, তা খতিয়ে
দেখবে। আর
ওয়াশিংটন ইতিমধ্যে ইরাক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও দেশটিতে নিজেদের গোয়েন্দা সামর্থ্য বাড়িয়েছে।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি শিগগিরই ইরাক সফরে যাবেন বলে জানা গেছে।
তিনি ইরাকে আরও জনপ্রতিনিধিত্বশীল মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে জোর দেবেন।
দেশটির শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যকার বিভেদ কমাতে মার্কিন সরকার এ বিষয়টির ওপর জোর দিচ্ছে। ইরাকে বর্তমান সংকটের জন্য নুরি আল-মালিকির নিপীড়নমূলক ও বৈষম্যমূলক শাসনই দায়ী বলে মনে করে সুন্নি সম্প্রদায়।
এদিকে, মার্কিন সরকার বলেছে, দেশটির সামরিক
দল
সে
দেশে যাওয়ার মালিকিকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি ইরানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, মালিকি ক্ষমতায়
থাকলে ইরাকে শিয়া-সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় ।