এসবিএন ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশে
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা
রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার
ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলমের বেঞ্চ এ রায় দেন। একইসঙ্গে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে
‘না ভোটের বিধান’ সংযোজনের নির্দেশনা চেয়ে করা
অপর রিটটিও আদালত খারিজ করে দেয়। রায়ে আদালত বলেছেন, সংবিধানের
সঙ্গে আরপিও’র সংশ্লিষ্ট ধারাটি সাংঘর্ষিক নয়। তাই
বর্তমান আইনি কাঠামোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া নিয়ে
প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। এ
রিটটি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ৬ জন এমিকাস কিউরির মতামত গ্রহণ করেন আদালত। তাদের
মধ্যে মাহমুদুল ইসলাম, আজমালুল হোসেন কিউসি এবং রোকন উদ্দিন মাহমুদ
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা বৈধ বলে মত দেন। অন্যদিকে, ড. কামাল হোসেন, রফিক-উল হক এবং বদিউল আলম
মজুমদার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা অবৈধ বলে মত দেন। মামলার রায়ে এমিকাস কিউরিদের মতামতের প্রতিফলন নিয়ে মিশ্র
প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। এ মামলার এমিকাস কিউরি, সিনিয়র
আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক বলেন, বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি বৈধতা পাওয়া উচিৎ নয়। ড. কামাল হোসেনসহ
অনেকেই তাই মনে করেন কিন্তু আদালত তা মনে করেনি। আর এমিকাস কিউরির মতামত মানতেই
হবে এমন কোন বিধান নেই।
আদালতের রায়ে ক্ষমতাসীন সরকারের প্রভাব দেখছেন সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের অন্যসব বিভাগের মতো বিচার বিভাগও যে স্বাধীন নয়, তা এসব রায় দেখে বোঝা যায়। এ প্রসঙ্গে সাবেক প্রধান বিচারপতির উদাহরণ টানেন তিনি। আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, কোনো বিষয়ে ব্যাখ্যার প্রয়োজনবোধ করলে আদালত এমিকাস কিউরিদের মতামত গ্রহণ করেন। এসব মতামত কখনো রায়ে প্রতিফলিত হয় আবার কখনো তা হয় না। সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী সংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামত রায়ে প্রতিফলিত হয় নি। আবার এ মামলার ক্ষেত্রে এমিকাস কিউরিদের বিভক্ত অবস্থান দেখেছি। একপক্ষের মতামত নিয়েই রিট নিষ্পত্তি করেছেন আদালত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, এমিকাস কিউরিদের মতামত গ্রহণ করতেই হবে এমন কোন বিধান নেই। নিজের বিচারবুদ্ধি ও অন্যান্য দিক বিবেচনা করেই বিচারক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। অন্য সব মামলার ক্ষেত্রেও আইনজীবীদের মতামতের ওপর বিচারক রায় দেন এমনটা নয়।কোনো সংসদীয় আসনে একক প্রার্থী থাকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা বিষয়ক গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৬ ফেব্র“য়ারি এ রিট দায়ের করেছিলেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার আবদুস সালাম।
আদালতের রায়ে ক্ষমতাসীন সরকারের প্রভাব দেখছেন সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের অন্যসব বিভাগের মতো বিচার বিভাগও যে স্বাধীন নয়, তা এসব রায় দেখে বোঝা যায়। এ প্রসঙ্গে সাবেক প্রধান বিচারপতির উদাহরণ টানেন তিনি। আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, কোনো বিষয়ে ব্যাখ্যার প্রয়োজনবোধ করলে আদালত এমিকাস কিউরিদের মতামত গ্রহণ করেন। এসব মতামত কখনো রায়ে প্রতিফলিত হয় আবার কখনো তা হয় না। সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী সংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামত রায়ে প্রতিফলিত হয় নি। আবার এ মামলার ক্ষেত্রে এমিকাস কিউরিদের বিভক্ত অবস্থান দেখেছি। একপক্ষের মতামত নিয়েই রিট নিষ্পত্তি করেছেন আদালত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, এমিকাস কিউরিদের মতামত গ্রহণ করতেই হবে এমন কোন বিধান নেই। নিজের বিচারবুদ্ধি ও অন্যান্য দিক বিবেচনা করেই বিচারক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। অন্য সব মামলার ক্ষেত্রেও আইনজীবীদের মতামতের ওপর বিচারক রায় দেন এমনটা নয়।কোনো সংসদীয় আসনে একক প্রার্থী থাকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা বিষয়ক গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৬ ফেব্র“য়ারি এ রিট দায়ের করেছিলেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার আবদুস সালাম।