ঢাকা: এখন নিশ্চয়ই মুদ্রার উল্টো পিঠটা বুঝতে পারছে স্পেন। যে তিকিতাকার সভ্যতা রাঙিয়ে তুলেছিল একটি সোনালী প্রজন্মকে, সেই তিকিতাকাতেই ডুবে গেল স্প্যানিশ স্বপ্ন। অনেকটা মর্মান্তিক টাইটানিক বিপর্যয়ের ন্যায়। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফুটবলের তীর্থ ভূমিতে এসে একেবারে শূন্য হাতেই ফিরতে হচ্ছে ‘লা রোজা’দের। গ্রুপ পর্বে নেদারল্যান্ডস ও চিলির নিকট টানা দুই হারে ফুটবলযজ্ঞের প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে পড়তে হচ্ছে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা-সার্জিও রামোসদের।আবারো মারকানাজোর (মারকানা বিপর্যয়) শিকার স্পেন। রিও ডি জেনিরোর মারকানা স্টেডিয়ামের ‘কুফা’ কাটাতে পারলো না ২০১০ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ব্রাজিলের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়ামটিতে ১৯৫০ সালে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হারের পর ২০১৩ সালেও ওই ভেন্যুটিতে লজ্জা পায় স্পেন। যখন কনফেডারেশনস কাপে তরুণ ব্রাজিল দলের বিপক্ষে ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে উড়ে যায় ব্যাক টু ব্যাক ভাবে ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরো জেতা লাল জার্সিধারীরা। কিন্তু উন্মাসিক স্প্যানিয়ার্ডদের জন্য এবারের সমীকরণটা একটু ভিন্ন ছিল। বিশ্বকাপ স্বপ্ন টিকে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না ভিসেন্ত দেল বস্কের শিষ্যদের। অর্থাৎ, ডু অর ডাই ম্যাচ। কিন্তু এই সমীকরণ জেনেও কিছুই করতে পারেনি ডেভিড সিলভা-ডিয়াগো কস্তা-সার্জিও রামোসরা। বুধবার ‘বি’ গ্রুপের খেলায় চিলির বিপক্ষে বাঁচন-মরণ ম্যাচ খেলতে নেমে ২-০ ব্যবধানে হেরে যায় বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ফলে টুর্নামেন্ট থেকে ছুটির ঘণ্টা বাজে তাদের।
এদিন ‘ডাচ লজ্জা’ থেকে পরিত্রান পেতে তেড়েফুঁড়ে শুরু করে স্পেন। তিকিতাকার মূলসূত্র মেনে পাসের ফোয়ারা ছোটায় তারা। মাঝ মাঠেও রাজত্ব কায়েম করে। ছোট ছোট পাসের মাধ্যমে বারবার আক্রমণে ওঠে। ঠিক এই সুযোগটি নেয় কাউন্টার অ্যাটাকধর্মী ফুটবল খেলা চিলি। তিকিতাকার অ্যান্টিডোট হিসেবে চকিৎ আক্রমণকে মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করে তারা। এই রকম একটি আক্রমণ থেকেই ম্যাচের ১৯ মিনিটে এগিয়ে যায় চিলি। আলেক্সিজ সানচেজের বাড়ানো বলে এদুয়ার্দো ভার্গাস চিলিকে প্রথমবার আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন। এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই বিরতির ঠিক আগে আবারো উচ্ছ্বাসে ভাসে মার্সেলো ডিয়াজ ও আর্তুলো ভিদালরা। যখন চার্লস আরানগুয়িজ জর্জ সাম্পাওলির মুখের হাসিটাকে আরো চওড়া করে স্কোরলাইন ২-০ করেন। অবশ্য এদিন স্পেন যে একেবারে ঘুমিয়ে খেলেছে কিংবা নির্বিষ ছিল এমনও নয়। আসলে ম্যাচ ডে ফরটুন বা দিনের খেলার ভাগ্য সহায় ছিল না স্প্যানিয়ার্ডদের। যদি তারা ভাগ্যের সহায়তা পেত তাহলে ৩-২ কিংবা ৪-২ ব্যবধানে জিততে পারত।
এদিন ‘ডাচ লজ্জা’ থেকে পরিত্রান পেতে তেড়েফুঁড়ে শুরু করে স্পেন। তিকিতাকার মূলসূত্র মেনে পাসের ফোয়ারা ছোটায় তারা। মাঝ মাঠেও রাজত্ব কায়েম করে। ছোট ছোট পাসের মাধ্যমে বারবার আক্রমণে ওঠে। ঠিক এই সুযোগটি নেয় কাউন্টার অ্যাটাকধর্মী ফুটবল খেলা চিলি। তিকিতাকার অ্যান্টিডোট হিসেবে চকিৎ আক্রমণকে মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করে তারা। এই রকম একটি আক্রমণ থেকেই ম্যাচের ১৯ মিনিটে এগিয়ে যায় চিলি। আলেক্সিজ সানচেজের বাড়ানো বলে এদুয়ার্দো ভার্গাস চিলিকে প্রথমবার আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন। এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই বিরতির ঠিক আগে আবারো উচ্ছ্বাসে ভাসে মার্সেলো ডিয়াজ ও আর্তুলো ভিদালরা। যখন চার্লস আরানগুয়িজ জর্জ সাম্পাওলির মুখের হাসিটাকে আরো চওড়া করে স্কোরলাইন ২-০ করেন। অবশ্য এদিন স্পেন যে একেবারে ঘুমিয়ে খেলেছে কিংবা নির্বিষ ছিল এমনও নয়। আসলে ম্যাচ ডে ফরটুন বা দিনের খেলার ভাগ্য সহায় ছিল না স্প্যানিয়ার্ডদের। যদি তারা ভাগ্যের সহায়তা পেত তাহলে ৩-২ কিংবা ৪-২ ব্যবধানে জিততে পারত।