সুন্নি বিদ্রোহীদের
দমনে ইরাকে আবারো সামরিক অভিযানে চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।বিমান হামলা চালাতে ইরাক সরকারের অনুরোধে এই ঘোষণা
দিলেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে যুদ্ধ করতে কোনো সৈন্য পাঠানো হবে না বলেও জানিয়ে
দিয়েছেন তিনি।সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনীর
বিমান হামলার এক যুগ পর সুন্নি বিদ্রোহীদের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটে আবার
একই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইরাকবাসী।ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকির
অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ওবামা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশটিতে
ইসলামপন্থি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যখন প্রয়োজন হবে তখনি ‘সুনির্দিষ্ট
সামরিক অভিযান’ শুরু করতে প্রস্তুত ওয়াশিংটন।এ বিষয়ে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে আলাপ
করবেন বলেও জানিয়েছেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়।জর্জ বুশের সময় ইরাকে
পাঠানো সেনাদের ফিরিয়ে আনা ওবামা এটা স্পষ্ট করেছেন, ইরাকে সরাসরি
যুদ্ধ করতে কোনো সৈন্য পাঠানো হবে না।তার পরিবর্তে সুন্নি জঙ্গিদের প্রতিহত করতে
ইরাক সরকারের সহায়তার জন্য তিন শতাধিক সমর বিশেষজ্ঞ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন
তিনি।সামরিক সহায়তার পাশাপাশি ইরাকের গোষ্ঠীগত সমস্যার সমাধানে ‘নিয়ম মাফিক
পরিকল্পনা’ গ্রহণের ওপরও জোর দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।পশ্চিমা সামরিক
অভিযানে সাদ্দামের পতনের পর ইরাকের নতুন সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শিয়া মুসলিম নুরি
আল মালিকি।সাদ্দামের সময়ে কর্তৃত্বে থাকা সুন্নি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একচেটিয়া নীতি
অবলম্বন করছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছিল।এর মধ্যেই চলতি বছর উত্থান ঘটে
সুন্নি মতাবলম্বী ও আল কায়েদা মদদপুষ্ট সংগঠন ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড
লেভেন্ট (আইএসআইএল)।সম্প্রতি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার
পর রাজধানী বাগদাদের উত্তরে ইরাকের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগারের দখলও এই দলটি। এই বিদ্রোহীদের
কাছে পরাস্ত হওয়ার পর কয়েকদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়ে আসছিলেন
প্রধানমন্ত্রী মালিকি।ইরাকের সরকারি বাহিনী দিয়ালা এবং সালাহদ্দিন প্রদেশে আইএসআইএল
এর সুন্নি মুসলিম মিত্রদেরকে হটিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। গত সপ্তাহে মসুল প্রদেশের
নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর শুরু হয়েছে এ অভিযান।ইরাকে আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট সুন্নি
বিদ্রোহীদের উত্থানের ঘটনায় আগেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।