এসবিএন ডেস্ক. আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক 'সংকটের' সমাধান না হলে দাবি আদায়ে আন্দোলন ছাড়া কোনো পথ খোলা থাকবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, 'বিএনপি আলোচনা চায়। তবে এদের (ক্ষমতাসীন) সঙ্গে আলোচনা করে ফল পাওয়া যাবে না। তাই ঈদের পর আন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।'
রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে রোববার জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) আয়োজিত ইফতার পূর্ব বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জাতীয় সংসদকে সংদের আড্ডাখানা হিসেবে অভিহিত করে খালেদা জিয়া বলেন, 'সংসদে জনগণের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয় না। সেখানে গান বাজনা আর কবিতা পাঠ করা হয়। সংসদ এখন সংদের আড্ডাখানা।'
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, 'তাদের ৫ ভাগও জনসমর্থন নেই। রমজানে শান্তি নেই। প্রতিনিয়ত মানুষ ক্রয়ক্ষমতা হারাচ্ছে। দারিদ্রতা বাড়ছে।'
২০দলীয় জোটে যোগ দেওয়ার জন্য আরও অনেক দল বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ করছে জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, 'জনগণ চায় জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল একটি সরকার।'
এ সময় ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতার জন্য সরকারকে দায়ী করেন বেগম খালেদা জিয়া।
ইফতার অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, আ স ম হান্নান শাহ, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান উপস্থিত ছিলেন।
২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব আলমগীর মজুমদার, খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মওলানা ইসাহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. ইব্রাহিম বীর প্রতীক, এপিপি চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন মিলু, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদ, মুসলিম লীগ সভাপতি এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মবিন, পিপলস লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট গরীবে নেওয়াজ, ডিএল সাধারণ সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ কমরেড সাঈদ আহমেদ, জামায়েত কর্মপরিষদ সদস্য ড. সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।