কোনো কিছুর কম্পনের ফলে বাতাসে যে তরঙ্গের সৃষ্টি হয় সেটাই আমাদের কানে এসে পৌঁছায়, সেটাই শব্দ ৷ কিন্তু বস্তুর কতটুকু কম্পন মানুষ শুনবে তারও একটা সীমা আছে। তার কম হলেও শুনেনা বেশি হলেও শুনে না ৷ ((humans has frequencies from about 20 Hz to 20,000 Hz. In air at standard temperature and pressure) কিন্তু কুকুর বিড়াল গরু ছাগলসহ অন্যান্য জীবজন্তু এই নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সির বাইরের শব্দও শুনতে পায় ৷ তার একটি চমৎকার উদাহরণ হলো ডগ হুইসেল ৷ মানুষ শুনতে পারেনা; কিন্তু কুকুর অনেক দূর থেকে তা শুনে ৷ আমার খুব জানতে ইচ্ছে হয়, যারা আল্লাহ মানেন না, যাদের পরকালের উপর বিশ্বাস নেই তাদের কাছে বিষয়টির ব্যাখ্যা কি ?
’যে কেউ নিজেকে নবী রাসূল কিংবা আল্লাহ বলে দাবী জানাতেই পারে’- ব্লগার আসিফ মহি উদ্দিনের একটি লেখার উদ্ধৃতি! কত জঘন্য তাদের স্রষ্টা সম্পর্কে ধারণা ৷ আসিফ মহিউদ্দিনই বলেন আর তসলিমা নাসরিনই বলেন, তাদের চিন্তাচেতনা সবই এক ৷ এদের মত মানুষ যুগের পর যুগ একই কায়দায় ধর্মের বিরদ্ধে কাজ করছে ৷ এরা গালাগালি আর মানুষের সেন্টিমেন্টে আঘাত করলে মোটেও আক্রমনাত্মক হয় না; কিন্তু সাধারণ মুসলমান ধর্মের পক্ষে দুই এক কথা লেখলেই মৌলবাদী ৷ দু:খ লাগে যখন তাদের মত মানুষের নেতৃত্বে গণজাগরণ মঞ্চ হয় আর আমার মত আধা মুসলমানরা তাদের রসদ যোগায় ৷ তারা আল্লাহ আর তার রাসুল (স:) সম্পর্কে এত জঘন্য ভাষায় লেখালেখি করে যা চিন্তার বাইরে ৷
গত কয়েকদিন আগে ভিনদেশী এক নাস্তিকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পরলাম ৷ তার এক কথা, সে না দেখে কিছুই বিশ্বাস করেনা ৷ তার মাথার উপর ঝুলছে তাদের পরিবারের ফটো ৷ তাকে জিজ্ঞাস করলাম ছবির বয়স্ক পুরুষ মানুষটি কে ৷ বলল তার বাবা ৷ বললাম কি ভাবে জানলে, তুমিতো না দেখে কিছুই বিশ্বাস করনা ৷ বললাম তুমি মিথ্যুক। না দেখে আরো কত কিছুই বিশ্বাস কর ৷ কেউ কাগজে তিনটা টান দিয়ে বলে দিল এটা 'A' এটা 'B' আর তুমি এমনি মেনে নিলে ৷ শুধু মেনে নিয়েছ বললে ভুল হবে এটা মেনে না নিলে তোমার পড়াশুনা কিছুই হত না ৷ বললাম আকাশের কোন জায়গায় লেখা পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিন ৷ এগুলো বিশ্বাস করতে হয়। নাহলে জাহাজ, উড়োজাহাজ কিছুই চলত না ৷ শেষ পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে উঠে চলে গেল ৷
লন্ডন।