সুফিয়ান আহমদ,নিজস্ব প্রতিনিধিঃবিয়ানীবাজার পৌরশহরের শ্রীধরা গ্রামে এক
বখাটের রোষানল
থেকে বাচঁতে
পুকুরে ঝাঁপ
দিয়ে আত্মহত্যা
করেছে এক
কলেজ ছাত্রী। নিহত
তরুণী ইসমত
জাহান ইশমা
(১৮) বিয়ানীবাজার
সরকারী কলেজের
২য় বর্ষের
ছাত্রী।
সে পৌর
শহরের শ্রীধরা
গ্রামের ময়না
মিয়ার কণ্যা। এঘটনায়
পুলিশ নিহতের
তথাকথিত প্রেমিক
দাবীদার জিবান
(১৯) কে
আটক করেছে। সেও
একই কলেজের
ছাত্র এবং
ইশমার সহপাঠি। পৌরশহরের
কসবা গ্রামের
মঈন উদ্দিনের
পুত্র সে। তবে
সে দাবী
করেছে, ইশমা
তার প্রেমিকা
এবং তাকে
(জিবান) ইশমার
ভাইয়েরা মারধর
করার দৃশ্য
সহ্য করতে
না পেরে
ইশমা পানিতে
পড়ে আত্মহত্যা
করেছে।
গতকাল রোববার
ভোর ৬
টার দিকে
এ ঘটনা
ঘটে।
খবর পেয়ে
বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ গিয়ে লাশ
উদ্ধার করে
ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে
প্রেরণ করেছে।
নিহত কলেজ ছাত্রীর
মামা আব্দুল
মতিন জানান,-কলেজে যাতায়াতের
পথে তার
ভাগ্নীকে নিয়মিত
যৌন হয়রানী
করতো বখাটে
জিবান।
এমনকি তার
ভাগ্নীকে বিরক্ত
করতে প্রায়ই
তাদের বাড়ীর
পাশে সন্দেহজনকভাবে
ঘুরাফেরা করে
সে ।
অনেকদিন তাকে
এভাবে বাড়ির
আশপাশে ঘোরাফেরা
করতে নিষেদ
করলেও সে
তা শুনেনি। গতকাল রোববার
ভোরে ওই
বখাটে তার
ভাগ্নীকে একা
পেয়ে ধাওয়া
দিলে আত্মরক্ষার্থে
সে পুকুরে
ঝাঁপ দেয়। তিনি
এজন্য জিবানকেই
দায়ী করেন। তিনি
বলেন,তার
জন্যই আমার
ভাগ্নির এ
অবস্থা।
এদিকে পুলিশ হেফাজতে
থাকা জিবান
জানায়- ইশমা
সেহরী খাওয়ার
পর তাকে
ফোন করে
বাড়ীতে গিয়ে
দেখা করতে
বলে।
ফোন পেয়ে
তিনি দেখা
করতে যান
এবং তাদের
দু’জনের
মধ্যে বেশ
কিছু সময়
অন্তরঙ্গ কথাবার্তা
হয়।
একপর্যায়ে ঘটনাটি ইশমার পরিবারের সদস্যরা
দেখা ফেললে
তাকে আটক
করে বেদম
মারধর শুরু
করেন।’
সে আরো
জানায়,-নিজ
চোখে ইশমা
তাকে মারধরের
বিষয়টি দেখে
পরিবারের সদস্যদের
উপর অভিমান
করে পুকুরের
পানিতে ডুবে
আত্মহত্যা করে।
এব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার
অফিসার ইনচার্জ
(ওসি) আবুল
কালাম আজাদ
বলেন, আমরা
খবর পেয়ে
লাশ উদ্ধার
করেছি।
তবে ময়তদন্তের
রিপোর্ট না
পেলে কিছু
বলা যাচ্ছে
না।
আটক যুবককে
চিকিৎসার জন্য
এবং নিহত
তরুণীকে ময়না
তদন্তের জন্য
হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের পরিবারের
পক্ষ থেকে
মামলার প্রস্তুতি
চলছে বলে
তিনি জানান।