Latest News

মানুষকে গিনিপিগ বানাতে যাচ্ছে ফেসবুক

এসবিএন ডেস্ক . মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে, ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে গিনিপিগের মতো নিয়ন্ত্রণ করার উপায় বের করছে। গোপনে ব্যবহারকারীর তথ্য নিয়ে গবেষণা করায় সমালোচনার মুখে পড়েছে ফেসবুক যাতে যেকোনো বিষয়েই ফেসবুক ব্যবহারকারীর মনোভাব বদলে দিতে পারে।

৬ লাখ ৮৯ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য নিয়ে গোপনে এই গবেষণা চালিয়েছে ফেসবুক। মানুষের মেজাজ মর্জি কীভাবে ফেসবুক পোস্টের কারণে পরিবর্তিত হয়, তা নিয়ে এই গবেষণা। ফেসবুকের এই গোপন গবেষণা নিয়ে প্রযুক্তি-বিশ্বে সমালোচনার ঝড় বইছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ভোটের রাজনীতিতেও কাজে লাগানো হতে পারে ফেসবুকের গোপন গবেষণার ফল। বিষয়টি নিয়েই দ্য গার্ডিয়ান প্রকাশ করেছে একটি প্রতিবেদন। এদিকে, সিএনএন একই খবরের হেডিং করেছে, ‘ফেসবুক আপনাকে ল্যাব-এর ইঁদুর হিসেবে ব্যবহার করছে'।

অন্যদিকে, নিউইয়র্ক টাইমস প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, ইউনিভার্সিটি অব কালিফোর্নিয়া, সান-ফ্রান্সিস্কো ও কর্নেল এই ৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় ৭ লাখ ইউজারের মতামত নিয়ে বলেছে, ফেসবুক আপনার চিন্তা ও আবেগকে প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত করতে পারে।

আপনি যদি ফেসবুক ব্যবহারকারী হন, তবে একা আছেন, নাকি কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন, কোন স্কুলে প্রথম গেছেন, আপনি কি পছন্দ করেন, তার সবই জানে ফেসবুক। তবে বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগের এই সাইটটিকে এখন সমালোচনার ঝড় সইতে হচ্ছে। কারণ, ফেসবুক সম্প্রতি গোপনে এমন একটি গবেষণা চালিয়েছে যাতে কম্পিউটারের কয়েকটি স্ট্রোকেই আপনাকে খুশি করা বা দুঃখ দেওয়ার পদ্ধতিটি বের করে ফেলেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কী বলছে? গবেষণা প্রসঙ্গে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা আমাদের সেবা উন্নত করতে, প্রাসঙ্গিক কনটেন্ট দেখাতে ও ব্যবহারকারীকে আরও বেশি ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত রাখতে এই গবেষণা করেছি।’

গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস সাময়িকীতে। ফেসবুকের মুখপাত্র আরও দাবি করেন, এই গবেষণার বড় একটি অংশ ছিল বিভিন্ন ধরনের কনটেন্টের ক্ষেত্রে মানুষ কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায়, সেটা জানা। ব্যবহারকারীর বন্ধুর পোস্ট করা কোনো খবর বা অনুসরণ করা পাতায় কোনো খবরে নেতিবাচক নাকি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া থাকে, সেটা জানার প্রয়োজনে এ গবেষণা।

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আরও উন্নত সেবা দেওয়ার কথা বলে এ গবেষণার কারণ ব্যাখা দিলেও অনেকেই তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ফেসবুকের এই প্রক্রিয়াটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে কোনো বিশেষ দলকে জয়ী হতে সাহায্য করতে পারে কিংবা ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের ধরে রেখে তাদের কাছে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে ভিন্নদিকে মনোযোগ কেড়ে নিতে পারে

যোগাযোগ

Editor:Sahadul Suhed, News Editor:Loukman Hossain E-mail: news.spainbangla@gmail.com