এসবিএন ডেস্ক : প্রবাসী
২৮
বাংলাদেশিকে গুলি করার
কথা স্বীকার করার পরও
স্থানীয় কৃষকদের বেকসুর খালাস
দিয়েছেন গ্রিসের একটি আদালত। এ ঘটনায়
প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে
খোদ গ্রিসেই।
আদালতের এ বৈষম্যমূলক রায়ে
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন
অনেক গ্রিক নাগরিক। গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত
প্রতিবেদনে বলা হয়,
গ্রিসের রাজনীতিবিদ, ইউনিয়ন কর্মী
এবং বর্ণবাদ বিরোধী গোষ্ঠীগুলো
অব্যাহতভাবে আদালতের এ
রায়ের নিন্দা করে যাচ্ছেন। তারা একে
সে
দেশের বিচারের ইতিহাসে ‘একটি
কালো অধ্যায়’ হিসেবে বর্ণনা
করেছেন। নিহতদের আইনজীবী মোসিস
কারাবেইদিস রায়ের পর
প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে
বলেছেন, একজন গ্রিক হিসেবে
এ
রায়ে আমি লজ্জিত। আদালতের এ
সিদ্ধান্ত পক্ষপাতমূলক এবং অমর্যাদাকর। এর মাধ্যমে
ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি একটি
সাংঘাতিক মনোভাব প্রকাশ করেছেন
আদালত। এসময় আদালত মানবপাচারের
দায়ে অভিযুক্ত দুই স্ট্রবেরি
খামারের মালিককেও মুক্তি দেন। এ রায়ের
বিরুদ্ধে আদালতের বাইরে বিক্ষোভ
করেন অভিবাসী শ্রমিকরা। এ রায়ে
বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেক
বাংলাদেশি শ্রমিক- অনেককে কাঁদতেও
দেখা গেছে। এছাড়া অভিযুক্ত বাকি
দু’জনকে
হামলা এবং অবৈধ অস্ত্র
রাখার দায়ে ১৪ বছর
৭
মাস এবং ৮ বছর
সাত মাস কারাদন্ডে দন্ডিত
করা হয়েছে।
তবে বর্তমানে তারাও জামিনে
আছেন। এ প্রসঙ্গে গ্রিসের বামপন্থী
বিরোধী দল সিরিজা পার্টির
এমপি ভাসিলিকি কাতরিভানো বলেন,
এ
রায় আমাদের এ বার্তা
দেয় যে, স্ট্রবেরি বাগানে
কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের কুকুরের
মতো গুলি করে হত্যা
করা যায়! তিনি বলেন, এসব
শ্রমিকদের বিদেশ থেকে আনা
হয়
এবং মানোলাদার হত্যাকান্ড কোনো
বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গ্রিক খামার
মালিকরা এ মামলার জন্য
দেশের প্রথম শ্রেণীর আইনজীবীদের
শরণাপন্ন হয়েছিলেন।
গত
এক
মাসের বেশি সময় ধরে
তারা বিচারের নামে আদালতে
একটি নাটক চালিয়ে গেছেন। ‘মুভমেন্ট
এগেনস্ট রেসিজম অ্যান্ড দ্য
ফেসিস্ট থ্রেট’ নামক সংগঠনের
সমন্বয়কারী পেত্রোস কনস্তেনতিনাউ
বলেন, আমরা সকল ইউনিয়ন
এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোকে
এ
অভূতপূর্ব বর্ণবাদী কলঙ্কের বিরুদ্ধে
প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার
আহ্বান জানিয়েছি।
শ্রমিকদের গুলি করে স্ট্রবেরি
শিল্প থেকে হাজার হাজার
কোটি ডলার মুনাফা করা
যাবে না।