এসবিএন ডেস্ক : গাজা: গাজায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, বুধবার বিকেলে শুজায়া এলাকায় একটি শাক-সবজি এবং ফলমূলের বাজারে ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত এবং ১৬০জন আহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেছেন শত শত লোক তখন ওই বাজারে কেনা-কাটা করছিলেন।
ইসরাইলের ডাকা চার ঘণ্টার অস্ত্র বিরতির মাঝে এই আক্রমণ ঘটে। তবে গাজায় ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস এই অস্ত্র বিরতি প্রত্যাখ্যান করেছিল।ফিলিস্তিনি ডাক্তাররা বলছেন, গাজার দক্ষিণে খান ইউনুস উদ্বাস্তু শিবিরে আরেক ইসরাইলি হামলায় সাতজন নিহত হয়। অন্যদিকে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, গাজায় সংঘর্ষে তাদের তিনজন সৈন্য নিহত হয়েছে।
ইসরাইলের ডাকা চার ঘণ্টার অস্ত্র বিরতির মাঝে এই আক্রমণ ঘটে। তবে গাজায় ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস এই অস্ত্র বিরতি প্রত্যাখ্যান করেছিল।ফিলিস্তিনি ডাক্তাররা বলছেন, গাজার দক্ষিণে খান ইউনুস উদ্বাস্তু শিবিরে আরেক ইসরাইলি হামলায় সাতজন নিহত হয়। অন্যদিকে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, গাজায় সংঘর্ষে তাদের তিনজন সৈন্য নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের নিন্দা
গাজায় একটি স্কুলের আশ্রয় শিবিরে ইসরাইলি ট্যাংক হামলাকে জাতিসংঘ ‘ধিক্কারজনক’ বলে বর্ণনা করেছে। গাজায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, বুধবার জাতিসংঘ-পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরাইলি ট্যাংকের গোলাবর্ষণে অন্তত ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯০ জন আহত হয়েছে। জাতিসংঘ ত্রাণ সংস্থা ‘আনরো’-র মুখপাত্র ক্রিস গানেস বলেছেন, শিশুদেরকে ঘুমের মাঝে হত্যা করা হয়েছে। “বাচ্চারা তাদের মা-বাবার সাথে জাতিসংঘ-নির্ধারিত আশ্রয় কেন্দ্রের ক্লাসরুমের মেঝেতে ঘুমচ্ছিল। বাচ্চারা ঘুমের মধ্যে নিহত হয়েছে", মি. গানেস বলেন। “এটা নিশ্চয়ই আমাদের সবার জন্য অপমানজনক, সার্বজনীন লজ্জার বিষয়, আজ গোটা বিশ্ব ধিক্কারের মুখে,” তিনি বলেন। গাজায় জাতিসংঘের কার্যক্রমের পরিচালক বব টার্নার বলেছেন, এই স্কুল যে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা ইসরাইলিদের জানিয়ে দেবার পরও কয়েকবার সেখানে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। মি. টার্নার বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা অফিসাররা স্কুলে যেসব গোলা আঘাত হেনেছে, সেগুলোর অবশিষ্ট টুকরোগুলো বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয়েছে যে ইসরাইলিরাই হামলা চালিয়েছিল। জাবালিয়া উদ্বাস্তু শিবিরে অবস্থিত আবু হোসেন স্কুলে প্রায় ৩,০০০ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে তারা ঘটনাটা তদন্ত করে দেখবে।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, জুলাই মাসের ৮ তারিখে শুরু হওয়া ইসরাইলি অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১,৩০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক লোকজন। অন্যদিকে ইসরাইলের ৫৬ জন সৈন্য আর তিনজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে একজন থাই নাগরিক। আমেরিকার মধ্যস্থতায় এবং মিশরিয় সহায়তায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা এখনো সফল হয়নি।
গাজায় ক্ষমতাসীন হামাস সংগঠন বলছে, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে গাজার চতুর্দিকে অবরোধ তুলে নিতে হবে, যে অবরোধ প্রায় আট বছর ধরে চলছে। অন্যদিকে, ইসরাইল বলছে, যুদ্ধবিরতি হলেও তারা হামাস-এর রকেট আক্রমণ বন্ধ আর সুড়ঙ্গপথ ধ্বংস করে দেওয়ার অভিযানের চালিয়ে যাবে। যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে কায়রোতে ফিলিস্তিনি নানা পক্ষের বৈঠকের আগ মুহূর্তে ইসরাইলের সাথে কোন ধরনের যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছেন হামাসের সামরিক বিভাগের কমান্ডার। একটি বেশ কঠোর বার্তায় মোহাম্মদ দিইফ বলেন, তার যোদ্ধারা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। "ইসরাইলি হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এবং ফিলিস্তিনি সীমান্তে ইসরাইলি অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে," তিনি বলেন। সোমবার ঈদের দিন কিছু সময় বিরতি দেবার পর গভীর রাত থেকে পুনরায় ব্যাপক হামলা শুরু হয়ে। স্থল, আকাশ এবং নৌযান থেকে আক্রমণে ১০০রও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে , যার মধ্যে অন্তত সাতটি পরিবার রয়েছে যাদের সবাই মারা গেছেন। গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও আক্রান্ত হবার পর বন্ধ হয়ে গেছে।
গাজায় একটি স্কুলের আশ্রয় শিবিরে ইসরাইলি ট্যাংক হামলাকে জাতিসংঘ ‘ধিক্কারজনক’ বলে বর্ণনা করেছে। গাজায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, বুধবার জাতিসংঘ-পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরাইলি ট্যাংকের গোলাবর্ষণে অন্তত ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯০ জন আহত হয়েছে। জাতিসংঘ ত্রাণ সংস্থা ‘আনরো’-র মুখপাত্র ক্রিস গানেস বলেছেন, শিশুদেরকে ঘুমের মাঝে হত্যা করা হয়েছে। “বাচ্চারা তাদের মা-বাবার সাথে জাতিসংঘ-নির্ধারিত আশ্রয় কেন্দ্রের ক্লাসরুমের মেঝেতে ঘুমচ্ছিল। বাচ্চারা ঘুমের মধ্যে নিহত হয়েছে", মি. গানেস বলেন। “এটা নিশ্চয়ই আমাদের সবার জন্য অপমানজনক, সার্বজনীন লজ্জার বিষয়, আজ গোটা বিশ্ব ধিক্কারের মুখে,” তিনি বলেন। গাজায় জাতিসংঘের কার্যক্রমের পরিচালক বব টার্নার বলেছেন, এই স্কুল যে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা ইসরাইলিদের জানিয়ে দেবার পরও কয়েকবার সেখানে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। মি. টার্নার বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা অফিসাররা স্কুলে যেসব গোলা আঘাত হেনেছে, সেগুলোর অবশিষ্ট টুকরোগুলো বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয়েছে যে ইসরাইলিরাই হামলা চালিয়েছিল। জাবালিয়া উদ্বাস্তু শিবিরে অবস্থিত আবু হোসেন স্কুলে প্রায় ৩,০০০ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে তারা ঘটনাটা তদন্ত করে দেখবে।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, জুলাই মাসের ৮ তারিখে শুরু হওয়া ইসরাইলি অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১,৩০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক লোকজন। অন্যদিকে ইসরাইলের ৫৬ জন সৈন্য আর তিনজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে একজন থাই নাগরিক। আমেরিকার মধ্যস্থতায় এবং মিশরিয় সহায়তায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা এখনো সফল হয়নি।
গাজায় ক্ষমতাসীন হামাস সংগঠন বলছে, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে গাজার চতুর্দিকে অবরোধ তুলে নিতে হবে, যে অবরোধ প্রায় আট বছর ধরে চলছে। অন্যদিকে, ইসরাইল বলছে, যুদ্ধবিরতি হলেও তারা হামাস-এর রকেট আক্রমণ বন্ধ আর সুড়ঙ্গপথ ধ্বংস করে দেওয়ার অভিযানের চালিয়ে যাবে। যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে কায়রোতে ফিলিস্তিনি নানা পক্ষের বৈঠকের আগ মুহূর্তে ইসরাইলের সাথে কোন ধরনের যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছেন হামাসের সামরিক বিভাগের কমান্ডার। একটি বেশ কঠোর বার্তায় মোহাম্মদ দিইফ বলেন, তার যোদ্ধারা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। "ইসরাইলি হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এবং ফিলিস্তিনি সীমান্তে ইসরাইলি অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে," তিনি বলেন। সোমবার ঈদের দিন কিছু সময় বিরতি দেবার পর গভীর রাত থেকে পুনরায় ব্যাপক হামলা শুরু হয়ে। স্থল, আকাশ এবং নৌযান থেকে আক্রমণে ১০০রও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে , যার মধ্যে অন্তত সাতটি পরিবার রয়েছে যাদের সবাই মারা গেছেন। গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও আক্রান্ত হবার পর বন্ধ হয়ে গেছে।
হামাসের ওপরচাপ
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলছেন, ইসরাইলিদেরকে একটি দীর্ঘ অভিযানের জন্য তৈরি হতে হবে। ইসরাইলের একজন সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, এই আক্রমণগুলো হামাসের ওপর চাপ ক্রমশ বৃদ্ধি করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইসরাইলি হামলায় হামাস-পরিচালিত টেলিভিশন এবং রেডিও স্টেশন, তিনটি মসজিদ, চারটি কারখানা এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সহ কয়েকটি সরকারি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে গাজার সামুদ্রিক বন্দর ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘে কর্মরত লোকজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা র মুখপাত্র ক্রিস গানেস টুইটারে জানিয়েছেন, তাদের কয়েকজন কর্মী নিহত হবার খবর পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘ গাজায় ৮২টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় দু’লক্ষ ফিলিস্তিনির দেখা-শোনা করছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলছেন, ইসরাইলিদেরকে একটি দীর্ঘ অভিযানের জন্য তৈরি হতে হবে। ইসরাইলের একজন সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, এই আক্রমণগুলো হামাসের ওপর চাপ ক্রমশ বৃদ্ধি করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইসরাইলি হামলায় হামাস-পরিচালিত টেলিভিশন এবং রেডিও স্টেশন, তিনটি মসজিদ, চারটি কারখানা এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সহ কয়েকটি সরকারি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে গাজার সামুদ্রিক বন্দর ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘে কর্মরত লোকজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা র মুখপাত্র ক্রিস গানেস টুইটারে জানিয়েছেন, তাদের কয়েকজন কর্মী নিহত হবার খবর পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘ গাজায় ৮২টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় দু’লক্ষ ফিলিস্তিনির দেখা-শোনা করছে।