এসবিএন ডেস্ক 'আমরা সরকারি বাহিনীকে যেমন ভয় পাই, তেমনি বিদ্রোহীদের নিয়ে আতঙ্কিত। যা কিছু নড়াচড়া করছে, তার ওপরই গুলি ছুড়ছে সেনাদের হেলিকপ্টার। আমরা যেতে চাই, কিন্তু পারছি না।'
ইরাক প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক শেখ বেলাল টেলিফোনে তার এই দুর্গতির কথা জানান। শুক্রবার ইউএনবির খবরে এ কথা জানানো হয়।বেলাল জানান, গত বুধবার তিকরিত শহরে ইরাকি সেনা ও সুনি্ন জঙ্গিদের মধ্যে যখন সংঘর্ষ চলছে, এ সময় গোলাগুলি থেকে রক্ষা পেতে শেখ বেলাল ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন বাংলাদেশি শ্রমিক একটি গুদামে গুটিসুটি মেরে লুকিয়ে ছিলেন। এ সময় ইরাকে বাংলাদেশি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা সংঘর্ষ থামলে উদ্ধার করা হবে বলে আশ্বাস দেন। পরে দূতাবাসের সহায়তায় তারা মুক্তি পান।
আক্ষেপ করে বেলাল বলেন, এটি তাদের দুর্ভাগ্য। তারা সবাই ইরাকে শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে কাজ করতে চান।
২৯ বছরের বেলাল বাংলাদেশের একজন কৃষক। তিনি গত বছর ইরাকে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যান। বেশি উপার্জনের আশায় ইরাকে যাওয়ার পর বাংলাদেশি, ভারতীয় ও নেপালি শ্রমিকদের জীবন রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে। তাদের প্রায়ই জঙ্গি ও সেনাদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়তে হয়। জীবন থাকে হুমকির মুখে।
ইরাকে অস্থিতিশীলতা সত্ত্বেও অভিবাসী শ্রমিকদের বড় একটি অংশ সেখানে যাচ্ছেন। তারা বেশির ভাগই নির্মাণশ্রমিক, সেবিকা, গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন। ইরাকে ভারতের ১০ হাজার ও বাংলাদেশের ৩৫ হাজার শ্রমিক অভিবাসী হিসেবে কাজ করছেন।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শওকত হোসেন বলেন, সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজনে ইরাক থেকে বাংলাদেশি অভিবাসীদের দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, বাগদাদের বাংলাদেশি দূতাবাস ৫১ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে গত মাসে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মসুল থেকে সরিয়ে নিয়ে আসতে সহায়তা করেছে। কিন্তু অভিবাসী শ্রমিকরা বাংলাদেশে ফিরতে চান না; বরং তারা ইরাকের অন্য কোথাও থেকে কাজ করতে চান।