
এসবিএন ডেস্ক : কুষ্টিয়ার
দৌলতপুর উপজেলার বৈরাগীর চর
এলাকায় পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির
ঘটনায় নিখোঁজ ১২ জনের
লাশই উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর
১টার মধ্যে ১১ জনের
লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে
বুধবার সন্ধ্যায় একজনের লাশ
উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া মৃতদেহগুলোর
মধ্যে ৮ জনের দাফন
সম্পন্ন হয়েছে।
বাকি মৃতদেহগুলো দৌলতপুরে এসে
পৌঁছালে তাদের নিজ নিজ
পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা
হবে। এদিকে নিহতদের লাশ
দাফনের জন্য সরকারের পক্ষ
থেকে প্রত্যেককে ২০ হাজার
টাকা করে দেয়া হবে
বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক
সৈয়দ বেলাল হোসেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার
পর
থেকে দুপুর ১টার মধ্যে
কুষ্টিয়া খেয়াঘাট থেকে ১,
খোকসার আমবাড়িয়া থেকে ২,
বৈরাগির চর থেকে ১
এবং পাবনার সুজানগর থেকে
আরো ১ জন লাশ
উদ্ধার করা হয়। এর আগে
ভেড়ামারা উপজেলার রায়টা পাথরঘাটা
এলাকার পদ্মা নদী থেকে
ভাসমান অবস্থায় কালু শেখ
(১৮), শিখা (১৮) ও
শাহাজুলের (২৮) মৃতদেহ উদ্ধার
করে পুলিশ। দৌলতপুর উপজেলার মরিচা
ইউনিয়নের কোলদিয়ার এলাকার পদ্মা
নদী থেকে ভাসমান অবস্থায়
শিপন (২৮) নামে আরো
একজনের লাশ উদ্ধার হয়।
অপরদিকে সকাল ৮টার
দিকে মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া
এলাকার পদ্মা নদী থেকে
বিথী (১৪) ও বিভা
(২০) নামে আরো ২
জনের লাশ উদ্ধার করে
পুলিশ। এ ছাড়াও বুধবার রাতে
কুমারখালী উপজেলার গড়াই নদী
থেকে মালা আক্তার পলি
নামে এক নারীর লাশ
উদ্ধার করা হয়। ভেড়ামারা থানার ওসি
মামুন খান জানান, ভেড়ামারার
রায়টা এলাকায় পদ্মা নদীতে
লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা
খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে
গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ঈদের
দিন বিকাল ৩টার দিকে
ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ২০/২২
জন
যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা
দৌলতপুর উপজেলার বৈরাগীর চর
এলাকা থেকে পদ্মা নদীর
মধ্যবর্তী একটি জেগে ওঠা
চরে যাওয়ার সময় প্রবল
স্রোতের মুখে পড়ে ডুবে
যায়।