Latest News

ফ্রান্সে বাংলাদেশীর আতœহত্যা!

যে ভবন থেকে পড়ে সুমন আত্মহত্যা করেনযে ভবন থেকে পড়ে সুমন আত্মহত্যা করেন
মো: লুৎফুর রহমান বাবু: ফ্রান্সের প্যারিসে সুমন দাস (৩৪) নামে এক  বাংলাদেশী আতœহত্যা করেছেন। গত ২৮ জুলাই ভোর রাত ৪:৩০টার দিকে এ আতœহত্যার ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশী  অধ্যুষিত প্যারিসের ক্যাথসিমার একটি পাঁচতলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে পড়ে তিনি আতœহত্যা করেন বলে জানা গেছে। তিনি এ ভবনে বাস করতেন। উপর থেকে কোন কিছু পড়ার শব্দ শুনে ভবনটির বাসিন্দারা নিচে এসে একটি দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তখনও দেহটি জীবিত ছিল এবং মুখ দিয়ে  গোঙানির আওয়াজ হচ্ছিল। তখন বাসিন্দাদের একজন পুলিশকে ফোন দেন। পুলিশ আসার কিছুক্ষন পর সুমনের দেহটি নিস্তেজ হয়ে যায় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ ভবনের একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন। এদিকে তার রুমমেট উত্তম কুমার জানান, সুমন এর আগে দুই দফা আতœহত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হোন। তিনি আরো জানান, সুমন ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকোলজিতে মাষ্টার্স সম্পন্ন করেন। বছর দুই আগে ভাল চাকুরীর আশায় তিনি আইসল্যান্ড এ পাড়ি জমান। সেখানেও  তিনি একদফা আতœহত্যার চেষ্টা করেন। সে যাত্রায় বন্ধুদের সহায়তায়  তিনি রক্ষা পান। একইভাবে বাংলাদেশে থাকাকালীনও একবার আতœহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। উত্তম কুমার আরও জানান, ইতিমধ্যে তাকে মানসিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঐদিনকার ঘটনার বিষয়ে তিনি বর্ননা দেন- তখন আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম।  চেঁচামেচির শব্দে ঘুম থেকে জেগে উঠি। আমাদের  একজন নিচে গিয়ে চেঁচামেচির উতস খুঁজতে গিয়ে সুমনের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তার ফোন পেয়ে আমিও নিচে নামি।" এই ঘটনায় সুমনের রুমমেটদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছে।
যেখানে সুমনের দেহ পড়ে ছিল
জানা যায়, বছরখানেক আগে সুমন দাস ফ্রান্সে আসেন। ইউরোপে থাকার বৈধ কাগজ না পাওয়া আর বেকারত্বের কারনে তিনি দীর্ঘদিন থেকেই হতাশায় ভুগছিলেন। হযতো সে কারনেই তিনি আতœহত্যা করতে পারেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। সুমন দাসের বাড়ি  মাদারিপুর সদরে। বাবা মৃত গৌরাংগ চন্দ্র দাস। তার আতœহত্যার খবর বাড়িতে জানানো হয়েছে বলে উত্তম কুমার জানিয়েছেন। তবে মৃত দেহ দেশে নিয়ে যাবার মত আর্থিক সংগতি তাদের নেই। তাই কমিউনিটির সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ফেইসবুকে প্রচারনাও চালানো হচ্ছে। তবে এ আতœহত্যার ঘটনা নিয়ে গুঞ্জনেরও শেষ নেই। ঐ ভবনের নিচ তলার এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার  শর্তে বলেন, ঘটনার  রাতে তারা উপরে চিৎকার ও চেঁচামেচির শব্দ শুনেছেন। তবে শব্দ কোন ফ্ল্যাট থেকে আসছিল এ বিষয়ে তারা নিশ্চিত নন।

যোগাযোগ

Editor:Sahadul Suhed, News Editor:Loukman Hossain E-mail: news.spainbangla@gmail.com