এসবিএন ডেস্ক :‘বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারকারীদের নাম সুইস ব্যাংকের কাছে চাওয়া হয়েছে এমন লোভ দেখিয়ে লাভ নেই। কারণ সুইস ব্যাংক অর্থ পাচারকারীদের তালিকা দেবে না।’
দশম জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের শেষ কার্য দিবসে বৃহস্পতিবার পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এ কথা বলেন।
ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘সুইস ব্যাংক টাকা পাচারকারীদের নামের তালিকা পাঠাতে বাধ্য নয়। নিজেদের গোপনীয়তার স্বার্থে তারা এটা কখনই করবে না।’
তিনি বলেন, ‘যখন বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার হয় তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো কথা বলে না। টাকা চলে যাওয়ার পরে নামের তালিকা চায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ দ্বিমুখি ভূমিকায় ব্যাংকিং খাতের উপর মানুষের আস্থা হারাচ্ছে। আস্থা হারালে ব্যাংকে মানুষ আর টাকা রাখবে না। টাকা চলে যাবে অন্যত্র।’ অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
জাপা নেতা বলেন, ‘সরকারি ব্যাংকের কিছু লোক এবং পরিচালকদের ঘনিষ্ঠরা প্রতিনিয়ত টাকা নিয়ে যাচ্ছে। পরিচালকদের প্রভাব এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, যে তাদের এখন আর নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বেসিক ব্যাংক’র পরিচালনা পর্ষদ এবং চেয়ারম্যান এতই শক্তিশালী হয়েছে যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যাংক থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। এ টাকা জনগণের টাকা। এখন পর্যন্ত বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভাঙা হলো না। কারও কিছুই হলো না।’
জাতীয় পার্টির এ সদস্য আরও বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা হতে এলসি’র নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে গেল। তাদের একজনেরও বিচার হলো না। হল-মার্ক কেলেঙ্কারি ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায়। সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে কেন্দ্রীয় ব্যংকের তদারকিতে যে দুর্বলতা ছিল সরকার তা এখন পর্যন্ত বের করতে পারেনি। শুধুমাত্র কারা টাকা নিয়েছে এইটুক জানানো হয়েছে। কিছু উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা যারা লুট করল তাদের বিচার অতীত হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যাংকিং খাতে আর আস্থা থাকবে না।’