এসবিএন ডেস্ক. ইউক্রেনের
প্রধানমন্ত্রী আর্সেনি ইয়ােসনিউক পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশটির সংসদ
অধিবেশন চলাকালে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'সরকারের কার্যক্রমে
বাধা দেয়া এবং পার্লামেন্টে কোয়ালিশন সরকার অকার্যকর হয়ে যাওয়ায় আমি পদত্যাগ
করছি।'দেশটির ক্ষমতাসীন কোয়ালিশন সরকারের ওপর থেকে অন্য দলগুলো সমর্থন
প্রত্যাহার করে নেয়ায় ইয়ােসনিউক পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
তার পদত্যাগের আগে পার্লামেন্টের স্পিকার আলেকজান্দার তুর্চিনভ পার্লামেন্টের
অবলুপ্তির ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কোকে আগামী
মাসে নির্বাচনের ঘোষণার অনুরোধ জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার দিনের প্রথমভাগে
দেশটির জোট সরকার থেকে দু'টি দল বেরিয়ে যায়। দল দু'টি নতুন পার্লামেন্ট
গঠনের লক্ষ্যে দ্রুত নির্বাচন দেয়ার দাবি জানায়। তাদের এই দাবির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত
করেন দেশটির পোরোশেঙ্কো। ইয়াতসেনিউক পার্লামেন্টে দেশটির পাইপলাইন সিস্টেমের ওপর নিয়ন্ত্রণ
সহজতর করার ব্যাপারে একটি আইন পাস করতে ব্যর্থ হন। পদত্যাগ করার আগে পার্লামেন্টে
দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, রাজনীতিকরা ইউক্রেনীয় জনগণের সমর্থন হারানোর
ঝুঁকিতে রয়েছেন। তিনি আরো বলেন, 'ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।' উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মূল ব্যক্তি হচ্ছেন ইয়াতসেনিউক। বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী
নিয়োগের আগ পর্যন্ত তাকেই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে।
ইয়াতসেনিউকের পদত্যাগ দেশটির বর্তমান পরিস্থিতির জন্য একটি বড় ধরনের শূন্যতার
সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে দেশটির পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থি বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে
অর্থ যোগানোর বিষয় ও মালয়েশীয় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের
ক্ষেত্রে শূন্যতার সৃষ্টি হতে পারে। গত ফেব্রুয়ারিতে রুশপন্থি প্রেসিডেন্ট ভিক্টর
ইয়ানুকোভিচকে উত্খাতের পর থেকেই দেশটিতে মধ্যবর্তী নির্বাচনের আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
নিয়মানুযায়ী দেশটিতে ২০১৭ সালে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে সরকার ভেঙ্গে যাওয়ায়
খুব সমপ্রতিই হয়তো দেশটিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।