এসবিএন ডেস্ক. গাজা থেকে স্থলবাহিনী
সরিয়ে নিচ্ছে ইসরাইল। একই সাথে
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু
বলেছেন টানেল ধ্বংস না
হওয়া পর্যন্ত সামরিক অভিযান
চলবে। তিনি আরো দাবি
করেন গাজার অধিকাংশ টানেল
ধ্বংস করা হয়েছে।এ
ক্ষেত্রে ইসরাইলের সেনাবাহিনী ব্যাপক
সাফল্য অর্জন করেছে। হামাসের রকেট
ছোড়ার ক্ষমতা ধ্বংস করে
দেয়া হয়েছে বলে দাবি
করেন নেতানিয়াহু। কিন্ত আজো ইসরাইলের
বিভিন্ন এলাকায় রকেট ছোড়ার
সাইরেন শোনা যায় বলে
ইসরাইলের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে। অপরদিকে হামাস
বলছে গাজায় স্থলযুদ্ধে ইসরাইলি
সেনাবাহিনী পরাজিত হয়েছে।ইসরাইলের
বিচারমন্ত্রী জি পি
লিভনি গাজায় হামাসের সরকারকে
সরিয়ে দেয়ার আহবান জানিয়েছে। তিনি গাজায়
মাহমুদ আব্বাসের সরকারকে ক্ষমতায়
বসানোর জন্য আর্ন্তজাতিক মহলের
প্রতি এই আহবান জানান। ২০০৬ সালে
গাজায় সাধারন নির্বাচনে হামাস
ব্যাপকভোটে বিজয়ী হয়ে
সরকার গঠন করে। ইসরাইলের দৈনিক
টাইমস অব ইসরাইল ও
মিডিল ইস্ট মনিটর এসব
তথ্য জানিয়েছে।
ইসরাইলের স্থলবাহিনী গাজা-ইসরাইল
সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরাইলের
দিকে ফিরে আসছে।কোনো
যুদ্ধ বিরতি নয় নিজ
সিদ্ধান্তে ইসরাইল সৈন্য
প্রত্যাহার করছে। গত শ্রক্রবার
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর চাচাতো ভাই
সেকেন্ড লেফট্যানেন্ট হাদার গোলদিন
নিহত হওয়ার পর ইসরাইলের
মন্ত্রী পরিষদের দীর্ঘ বৈঠকের
পর
এই
সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। ইসরাইল প্রথমে
এই
সৈন্য হামাস যোদ্ধার আটক
করেছে বলে জানায়। হামাস তা
অস্বীকার করে।
পর
ইসরাইল জানায় গোলদিন যুদ্ধে
নিহত হয়েছে। হামাস নেতা মাহমুদ
আল
জুহার বলেন আমাদের জনগন
দখলদারিত্ব অবসানের জন্য
প্রতিরোধ করে যাচ্ছে। হামাসের অপর
মুখপাত্র সামি আবু জুহারি
অধিকাংশ টানেল ও রকেট
নিক্ষেপের ক্ষমতা শেষ করে
দেয়ার ইসরাইলি দাবি প্রসংগে
বলেন নেতানিয়াহু আমাদের রকেট
নিক্ষেপের ক্ষমতা কিংবা টানেল
ধ্বংস কোনটাই করতে পারেনি।ইসরাইল
এখন কল্পিত বিজয়ের কথা
বলছে। তিনি
বলেন দখলদারদের মূল্য দিতে
হবে। একপক্ষীয়ভাবে
সৈন্য প্রত্যাহার হোক বা
বন্ধ হয়ে যাওয়া আলোচনার
মাধ্যমে হোক ইসরাইলকে অবশ্যই
অপরাধের জন্য মূল্য দিতে
হবে। ইসরাইলের সেনাবাহিনী আজ
বলছে যুদ্ধ শুরু হওয়ার
পর
থেকে গাজা থেকে ৩১২৭টি
রকেট ছোড়া হয়। আজ আবারো
জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে
মিসাইল হামলা চালানো হয়
এতে সাতজন ফিলিস্তিনি মারা
গেছে। জাতিসংঘের
হিসাবে ইসরাইল ১১২ টি
জাতিসংঘ স্থাপনায় হামলা চালিয়ে
আশ্রয় বেসামরিক লোকদের হত্যা
করেছে। গত ৮ জুলাই
থেকে গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর
অভিযান শুরু হওয়ার পর
৬৪
জন
ইসরাইলি সৈন্য ও ৩
জন
ইসরাইলি বেসামরিক লোক নিহত
হয়
বলে ইসরাইলি সেনাবাহিনী স্বীকার
করে। অপরদিকে
ইসরাইলের যুদ্ধ বিমানের হামলা
ট্যাংকের গোলা বর্ষনে সাড়ে
১৭
হাজার বেসামরিক লোক নিহত
হয়। এর বেশিরভাগ
নারী ও শিশু। অবশ্য হামাস
দাবি করেছে ১৫০ জন
ইসরাইলি সৈন্য নিহত হয়েছে।