এসবিএন ডেস্ক. ইসরাইল রোববার গাজার
আরেকটি জাতিসঙ্ঘ-পরিচালিত স্কুলে
হামলা চালিয়েছে।
এতে খাবার সংগ্রহ করতে
লাইনে দাঁড়ানো নারী ও
শিশুসহ ১০ উদ্বাস্তু নিহত
হয়েছে। গাজা
থেকে ইসরাইল ট্যাঙ্ক সরিয়ে
নিচ্ছে। ইসরাইল
দাবি করেছে, হামাসের সুড়ঙ্গ
ধ্বংসের কর্মসূচি শেষ হয়ে
গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে জানান,
স্কুলটির প্রবেশপথে ইসরাইল বিমান
থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। নতুন করে
ইসরাইল হামলা শুরুর পর
এসব লোক সেখানে আশ্রয়
নিয়েছিল। হামলার
পর
পরই হতাহত প্রায় ৩০
জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়। মাত্র চার দিন
আগে ইসরাইল অপর একটি
জাতিসঙ্ঘ-পরিচালিত স্কুলে হামলা
চালিয়ে অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনিকে
হত্যা করেছিল।
সোমবার এ পর্যন্ত অন্তত
৩০
জন
নিহত হয়েছে।
এদের মধ্যে নয়জন একই
পরিবারের সদস্য। এদিকে গাজা উপত্যাকা
থেকে ইসরাইলি ট্যাঙ্ক সরে
যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। নিরাপত্তা সূত্র
দাবি করেছে, তারা গাজায়
হামাসের বিপুলসংখ্যক সুড়ঙ্গ ধ্বংস
করেছে। গাজায় অভিযান অব্যাহত
রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। আমন্ত্রণ জানানো
সত্ত্বেও মিশরের রাজধানী কায়রোয়
যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ
নিতে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে না
দেশটি। এমনকি
হামাসের তৈরি করা টানেলগুলো
ধ্বংস করার পরেও ইসরাইলি
সেনা গাজায় অভিযান চালাবে
জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন
নেতানিয়াহু।
এদিকে ২৭দিনে গাজায় নিহতের
সংখ্যা ১৭শ' ছাড়িয়ে গেছে। খবর বিবিসি। নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলী
নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না
হওয়া পর্যন্ত গাজায় অভিযান
চলবে। গাজায়
যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার
আশায় মিশরের কায়রোতে যে
আলোচনা চলছে নেতানিয়াহুর বক্তব্যে
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবার
সেই আশা শূন্যে
মিলিয়ে গেছে বলেই ধারণা
করা হচ্ছে।
তবে জবাবে হামাস বলছে,
তাদের লক্ষ্য পূরণ না
হওয়া পর্যন্ত তারাও তাদের
লড়াই চালিয়ে যাবে। গাজার চারদিকে
ইসরাইলের যে ভূ-অবরোধ
আছে, তা তুলে নেয়ার
দাবি করছে হামাস।সর্বশেষ
খবরে জানা গেছে, গাজার
কিছু কিছু এলাকা থেকে
ইসরাইলী সৈন্যদের সরিয়ে নেয়া
হচ্ছে। এদিকে গাজায় জাতিসংঘের
একজন মুখপাত্র সতর্ক করে
দিয়ে বলেছেন যে, সেখানকার
বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মারাত্মক
পর্যায়ে পৌঁছেছে।
জাতিসংঘের কর্মকর্তা ক্রিস গুয়েনেস
বলেছেন, গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থা
সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে। তিনি বলছেন,
হাসপাতাল ক্লিনিক এবং এ্যাম্বুলেন্স
ধ্বংস হয়ে গেছে এবং
চল্লিশ শতাংশের বেশি চিকিৎসা
কর্মী অক্ষম হয়ে পড়েছেন। গাজায় শুক্রবারের সাময়িক
যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ার
পর
ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২০০
ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। । ইসরায়েলি
হামলার অন্যতম লক্ষ্যস্থল ছিল
রাফাহ, যেখানে ফিলিস্তিনিদের হাতে
একজন ইসরায়েলি সৈন্য ধরা
পড়েছে বলে মনে করা
হয়। নিহতদের বেশিরভাগই
বেসামরিক লোক।
প্রচন্ড গোলাবর্ষণের কারণে রাফাহ'র
প্রধান হাসপাতাল থেকে লোকজনকে
সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে গাজায়
ইসরায়েলি বিমান ও স্থল
অভিযানে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা
এক
হাজার ৭৫০ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে
শিশু ৩৯৮, নারী ২০৭
জন
এবং বয়স্ক লোক রয়েছেন
৭৪
জন। ইসরায়েলি পক্ষে
৬৩
জন
সৈন্য ও দুজন বেসামরিক
ব্যক্তি নিহত হয়েছে।