Latest News

বিয়ানীবাজারে নাবালিকা গণধর্ষণ ধর্ষিতার পরিবারকে এলাকা ছাড়ার হুমকি



সুফিয়ান আহমদ,বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃসিলেটের পৌরসভা বিয়ানীবাজারে ১২ বৎসরের নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনায় একদিন অতিবাহিত হলেও এখনো ধর্ষক যুবলীগ ক্যাডার আকুল ও তার সহযোগীদের আটক করতে পারেনি বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। ধর্ষণকারীরা ক্ষমতাসীন যুবলীগের ক্যাডার হওয়ায় তাদের আটক করতে দায়ছাড়া অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। অপরদিকে ধর্ষিতারা বহিরাগত হওয়ায় তাদেরকে নানান ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে ধর্ষক যুবলীগ ক্যাডারের সহযোগীরা এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। যার জন্য ভয়ে তটস্থ হয়ে পড়েছে ধর্ষিতার পরিবার। যার জন্য ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় তারা হন্যে হয়ে ছুটছে থানাসহ স্থানীয় মোড়লদের কাছে। শেষ পর্যন্ত ধর্ষিতার পরিবার, ন্যায় বিচার পাবে নাকি ক্ষমতাসীনদের রোষানলে পড়ে এলাকা ত্যাগ করতে হবে এমন আশংকা অনেকের। তবে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্য আবুল কালাম আজাদ দৃঢ়কন্ঠে বলেছেন, আসামী যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তাকে ও তার সহযোগীদের  আটক করা হবে। আর তাদের আটকে আমরা অভিযান অব্যহত রেখেছি। আর ধর্ষিতা নাবালিকার পরিবারকে আমরা সর্বাত্তক সহযোগীতা করে যাচ্ছি। এদিকে বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাইয়ে তিনমাস পূর্বে স্কুলছাত্রী দুবোন গণধর্ষণের স্বীকার হওয়ার পর রোববারের নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনায় অনেকটা ভাবিয়ে তুলেছে উপজেলার অভিভাবক ও সচেতন মহলকে। নিজেদের স্কুল-কলেজগামী মেয়েদের নিয়ে তারা আতংকিত হয়ে পড়েছেন। তাদের সবার একটাই দাবী, ধর্ষণকারী যে দলের লোকই হোক না কেন তাকে যদি আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয়, তাহলে ধর্ষণকারীরা এরকম ঘৃণ্য কাজ আর কেউ করতে পারবে না।   এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বলেন, আমি ঘটনা শোনার পর ধর্ষিতার পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছি। সবধরণের সহযোগীতা আমি তাদের দিয়ে যাবো। তিনি বলেন, ধর্ষণকারী সমাজের এসব কিটদের আমরা যদি প্রতিহত করতে না পারি তাহলে ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা আরো ঘটবে। তাই আমাদের সবার উচিত ধর্ষণকারীদের সমূলে প্রতিহত করা। উল্লেখ্য, বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের ফেনগ্রামের আতিকুর রহমানের কলোনীতে বসবাসকারী ১২ বৎসরের নাবালিকা  রোববার দুপুরে কলোনীর অদূরে একটি পুকুরে গোসল করতে নামলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা যুবলীগ ক্যাডার আকুল ও তার সহযোগী খলিল ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপর আকুলের বাড়ীতে নিয়ে তারা নাবালিকাকে উপর্যুপুরী ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে রক্তাক্ত নাবালিকা তার বাসায় গিয়ে এসব কথা বলার পর তার পিতা ও এলাকাবাসীর সহায়তায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি)তে প্রেরণ করা হয়। ধর্ষিতার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নখের আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান বিয়ানীবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক। ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষিতার পরিবার গত কয়েক বছর থেকে ওই কলোনীতে বসবাস করে আসছে। তাদের মূল বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলায়। ধর্ষণকারী যুবলীগ ক্যাডার মামুনুর রশীদ আকুল (৩২) ফেনগ্রামের মৃত ছিফত আলীর পুত্র ও খলিল আহমদ (৪০) একই গ্রামের মৃত জোয়াইদ আলীর পুত্র ।  স্থানীয়ভাবে তারা এলাকায় যুবলীগ নেতা নামে পরিচিত। এদিকে ধর্ষিতা নাবালিকার পিতা অভিযোগ করে বলেন, বহিরাগত জেলার বাসিন্দা হওয়ায় মামলা না করতে তার পরিবারের সদস্যদের অবিরত হুমকি দেয়া হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৎপরতা চালাচ্ছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

যোগাযোগ

Editor:Sahadul Suhed, News Editor:Loukman Hossain E-mail: news.spainbangla@gmail.com