![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEizWqm-B9ZwYPG8giEzGJYGpRBWhOghyphenhyphen15zGss2cA9WxgBJXV5FQGd1kcSh_dKphoAdgVlgO8m6EQLUQTSEHdG_gM3uSFBByctshJibIaZuW__tfTyzvGGJRqjb_QzyyXP8mZCoaYxfXSA/s1600/1e25f8cb5490bca46bbb241df23cdc9b_XL.jpg)
এসবিএন ডেস্ক : জম্মু-কাশ্মিরের আরএস পুরা সেক্টরে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর
মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত দুই গ্রামবাসী নিহত হয়েছে। আজ (শনিবার) ভোর রাতের সংঘর্ষে আহত হয়েছে আরো সাত জন। আশঙ্কাজনক
অবস্থায় আহত বিএসএফ এবং কয়েকজন গ্রামবাসীকে জম্মু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়েছে। এখনো সংঘর্ষ চলছে বলে বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে। বিএসএফ অভিযোগ করেছে, খুব ভোরে আর এস
পুরা সেক্টরে ১৫টি সীমান্ত চৌকি লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালায় পাক সেনারা। এ সময়
গুলিতে মারা যান মুহাম্মদ আকরাম এবং তার ছেলে। এছাড়া, আহত হন আকরামের স্ত্রী ও মেয়েসহ সাত জন। তড়িঘড়ি সীমান্তের ৩টি গ্রাম
থেকে প্রায় ২,০০০ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়। পুলিশ সূত্র
বলছে, সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। গত দু’সপ্তাহে পাঁচবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্ত সংঘর্ষে জড়ায় ভারত ও
পাকিস্তানের সেনারা। গত ১১ আগস্ট আরনিয়া সেক্টরে পাক সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন
দু’জন বিএসএফ জওয়ান। একইভাবে ১৭ ও ১৮ আগস্ট জম্মু-কাশ্মিরের আরনিয়া এবং
আর এস পুরা সাব-সেক্টরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সারারাত সংঘর্ষ চলে। এতে একজন নিহত
হয়। এছাড়া,
১৯ আগস্ট দু’বার যুদ্ধবিরতি ভেঙে পুঞ্চের হামিরপুর সাব-সেক্টরের নিয়ন্ত্রণরেখা
বরাবর ভারতীয় সেনা চৌকি লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাক সেনারা। গত ২০ আগস্ট ফের দু’বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে জম্মু-কাশ্মিরের রাজৌরির মাঞ্জাকোট ও
পুঞ্চের হামিরপুর সাব-সেক্টরে সংঘর্ষ হয়। এরপর পাক-ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের
বৈঠক ভেস্তে যায়। এতে দু দেশের সম্পর্কে চিড় ধরেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ।