এসবিএন : পুরো মিডিয়া এবং
ন্যান্সি ভক্তদের মাঝে এখন একটাই আলোচনার বিষয় ‘কেন ন্যান্সির এই
আত্মহত্যার চেষ্টা?’। ন্যান্সির বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠজন, ন্যান্সির
নেত্রকোণার বাসার পাশের প্রতিবেশী নানা জনের সঙ্গে কথা বলে এই প্রশ্নের উত্তর
খোঁজার চেষ্টা করলে সবাই একই কথা জানালেন। স্বামী
নাজিমুজ্জামান জায়েদের কারণেই তিনি এ আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ন্যান্সিকে যখন বাসা
থেকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো, তখন ন্যান্সি তার
স্বামীকে উদ্দেশ্য করে গালাগালি করছিলেন। যদিও তখন তার স্বামী সেখানে উপস্থিত
ছিলেন না। ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন জানান, ন্যান্সি বারবার তখন
বলছিলেন, ‘জায়েদ আমার জীবনটা নষ্টা করে দিয়েছে।’ আরো একটি সূত্র জানায়, গত প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে ন্যান্সির
নম্বরটি বন্ধ ছিলো। তিনি আচমকা সবার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
স্বামীর সন্দেহপ্রবণতা, সংসারে অশান্তি এসব কারণেই ন্যান্সি এই
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও জানান কয়েকজন। এদিকে বেশ কয়েকমাস ধরে গানের জন্য স্বামীর বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় বসবাস
করছিলেন ন্যান্সি। ঢাকায় তার সঙ্গে দুই মেয়ে রোদেলা আর নায়লাকে নিয়ে থাকতেন তিনি।
দুই মেয়েকে নিয়ে তিনি মাঝে মধ্যে স্বামীর কাছে যেতেন। কিন্তু স্বামী জায়েদ
এটা মেনে নিতে পারছিলেন না। ন্যান্সিও গানের জায়গায় কোনো ছাড় দিতে নারাজ। এই নিয়ে
দুজনার মধ্যে চলছিলো দীর্ঘদিনের মানসিক দ্বন্দ্ব এবং ন্যান্সির প্রতি সন্দেহ
বাড়ছিলো জায়েদের। আর এ থেকেই শুরু হয় অশান্তি। যদিও একটু শান্তি আর ভালোবাসার জন্যই প্রথম স্বামী সৌরভকে ডির্ভোস
দিয়ে জায়েদকে বিয়ে করেন এই কণ্ঠশিল্পী। কিন্তু এখানেও সুখ মিলল না তার। আর সৌরভের
মাধ্যমেই জায়েদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিলো ন্যান্সির। ১৬ আগস্ট দুপুরে ব্রোমাজিপাম গ্রুপের ৪০টি জিওনিল ট্যাবলেট ও
ঘণ্টাখানেক পর আরো ২০টি ল্যাক্সিল ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ন্যান্সি।
বর্তমানে তিনি ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।