![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiY6JWPlK5EHuNWJlMwK9RSJPtRWqw02gd0En9VpWXKkhve057D1S9Yjrbm0daUAga0rz2_yqUZKdLyESSaKht3akLvMep6YUqGrYNuuIVKEEoQDQzQRHpJnRkpBdTmIBwpOcDDvlPtMLo/s1600/descarga.jpg)
সুফিয়ান
আহমদ,বিয়ানীবাজার
প্রতিনিধিঃ সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির মেধাবী
ছাত্র খালেদ
হত্যা মামলার
প্রধান আসামী
হুমায়ুন কবির
সিলেটের চীফ
জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। এসময়
তার সাথে
তার পিতা
সাইব উদ্দিনও
আত্মসমর্পণ করে। তারা উভয়েই
জৈষ্ঠ্য বিচারিক
জেরিন সুলতানা এর আদালতে বৃহস্পতিবার
বেলা ২টায়
আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে
বিজ্ঞ আদালত
তাদের কারাগারে
পাঠানোর নির্দেশ
দেন।
ধৃত কবিরের
বাড়ি বিয়ানীবাজার
উপজেলার আলীনগর
ইউপির উত্তর
চান্দ্রগ্রামে। এর আগে বুধবার
বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ কবিরের বাড়ি
থেকে তার
মা রিনা
বেগম,দু’বোন ফারজানা ডলি
( ১৮) ও
ফারহানা লাকি(১৯) কে
আটক করে। মা
ও বোন
আটকের খবর
পেয়ে কবির
আদালতে আত্মসমর্পণ
করে।
আত্মসমর্পণের আগ পর্যন্ত সন্ত্রাসী কবির
ও তার
পিতা পলাতক
ছিল।
এসময় কবিরের
সাথে তার
মা ও
বোনদেরকেও আদালতে নিয়ে আসা হয়। আটককৃতদের
ছাড়াও এর
আগে এমামলার
এজাহারনামীয় আসামী ধৃত কবিরের বন্ধু
জকিগ্ঞ্জ উপজেলার
বিলের বন
গ্রামের মৃত
আব্দুল মান্নানের
পুত্র মুকিত
আল মাহমুদ
ও বিয়ানীবাজার
উপজেলার ঢাকা
উত্তর নিজ
মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত জোয়াদ আলীর
পুত্র গৌউছ
উদ্দিনকেও আটক করে বিয়ানীবাজার থানা
পুলিশ।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে এমামলার
তদন্তকারী কর্মকর্তা বিয়ানীবাজার থানার এসআই
মনজুর মোর্শেদ
বলেন, খালেদ
অপহরণ ও
হত্যা মামলার
প্রধান আসামী
হুমায়ুন কবিরকে
রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
এর বেশি
কিছু বলতে
তিনি রাজি
হননি।
প্রসঙ্গত, গত ২১শে জুলাই সিলেটের
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ছাত্র ও গোলাপগঞ্জ
উপজেলার হেতিমগঞ্জের
পশ্চিম নিমাদল
গ্রামের ছল্লুছ
মিয়ার পুত্র
খালেদুজ্জামান খালেদ অপহরণ হয়।
নিজের ব্যবহৃত
ল্যাপটপ বিক্রির
জন্য সিলেটের
করিম উল্লাহ
মার্কেটে খালাতো
ভাই জহিরকে
নিয়ে গেলে
ল্যাপটপ ক্রয়ের
কথা বলে
সেখান থেকে
তাদেরকে সুকৌশলে
অপহরণ করে
অপহরণকারী হুমায়ুন কবির। এরপর
সে তার
বাড়ি বিয়ানীবাজারের
রামধা বাজারস্থ
উত্তর চান্দ্রগ্রামে
নিয়ে তাদের
আটক করে।
মুক্তিপণ দাবী করে সে খালেদের
পরিবারের কাছে
ফোন দেয়। এর
একপর্যায়ে কবির ও তার সহযোগীরা
খালেদের খালাতো
ভাই জহিরকে
ছেড়ে দিলেও
খালেদকে আটকে
রাখে।
ছেলে উদ্ধারের
জন্য পুলিশের
সহযোগীতা চেয়ে
থানায় থানায়
দৌড়ঝাঁপ করলেও
ছেলেকে বাঁচাতে
পারেননি খালেদের
বাবা।
এর ঠিক
৪দিন পর
২৬শে জুলাই
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মানিককোণা এলাকায় অবস্থিত
কুশিয়ারা নদীর
শাখা নদী
থেকে খালেদুজ্জামান
খালেদের হাত-পাঁ বাধা
লাশ উদ্ধার
করে পুলিশ। এরপর
খালেদের পিতা
বাদী হয়ে
বিয়ানীবাজার থানায় অপহরণকারী হুমায়ুন কবির
ও তার
সহযোগীদের নাম উল্লেখ করে হত্যা
মামলা দায়ের
করেন।
এদিকে
খালেদ হত্যার
পর থেকে
তার ইউনিভার্সিটিসহ
আরো কয়েকটি
ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা খালেদ হত্যাকারীদের আটক
করে ফাসীর
দাবীতে জন্য
মানববন্ধন,প্রতিবাদ সভা ও রাস্তা
অবরোধ করে। তাদের
এই কর্মসূচীগুলো
এখনো অব্যাহত
রয়েছে।
খালেদের সহপাঠিসহ
সবার দাবী
খালেদ হত্যাকারী
সন্ত্রাসী হুমায়ুন কবিরকে যেন ফাসিঁতে
ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড
দেয়া হয়
। যাতে করে আর কোন
মেধাবী ছাত্রের
এভাবে নির্মম
পরিণতি বরন
করতে না
হয়।