
এসবিএন ডেস্ক :
আইন পরিবর্তন করে কাদের মোল্লার ফাঁসি দেয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য
করেছেন ঢাকায় সফররত যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল ক্রিমিনাল জাস্টিস বিষয়ক অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ স্টিফেন জে র্যাপ
। তিনি বলেন, প্রথম আদালতে কাদের মোল্লার
ফাঁসি দেয়া হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে যে বিচার হয় সেখানে তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। তাই সে ব্যাপারে
উদ্বেগ জানিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার বিকালে ঢাকায় অবস্থিত আমেরিকান সেন্টারে আয়োজিত
এক সংবাদ সম্মেলনে
তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মঙ্গলবার সকালে স্টিফেন
জে র্যাপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, যথাযথ প্রমাণ পেলে মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার হতে পারে। তবে কোনো দল বা সংগঠনের
বিচার সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া শুধুমাত্র ব্যতিক্রমী ও সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত অপরাধীরই মৃত্যুদন্ডের শাস্তি হওয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে-ব্যাক্তিগত অন্যায়ের কারণে কোন সংগঠন কিংবা সংস্থাকে দোষী করা কখনো ঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেন সফররত এই দূত। স্টিফেন র্যাপ বলেন, আমি পঞ্চমবারের মত বাংলাদেশ
আসলাম। যুদ্ধাপরাধের বিচার যেন আন্তর্জাতিক মানে হয় সে বিষয়টিকে লক্ষ্য রেখেই আমি বিভিন্ন পরামর্শ
দিয়ে গেছি। গাজায় ইসরায়েলি হামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন র্যাপ বলেন, সেখানে যুদ্ধাবস্থা রয়েছে তাই যুদ্ধাপরাধের ব্যাপারটি আসতে পারে। তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি আরও বিচার বিবেচনার বিষয়। উল্লেখ্য, সোমবার
দুই দিনের সফরে ঢাকা আসেন জে র্যাপ। সফরের প্রথম দিনে স্টিফেন জে র্যাপ ট্রাইব্যুনালের আসামিপক্ষের আইনজীবী, প্রসিকিউশন টিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সোমবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনে এসে স্টিফেন দুই ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা সৌজন্য
সাক্ষাতে বসেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে এটি তার পঞ্চম বাংলাদেশ
সফর।