এসবিএন ডেস্ক. সাংবাদিকদের
অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। সিলেটে আয়োজিত এক
অনুষ্ঠানে আঞ্চলিক ভাষায় মন্ত্রী যখন সাংবাদিকদের গালি দিচ্ছিলেন তখন অনুষ্ঠানের
অতিথিরাও লজ্জায় মুখ লুকান। পরে তারা সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমাও চান। তবে মন্ত্রী
শেষ অবদি তার কথার আক্রমন চালিয়ে যান। এর প্রতিবাদে উপস্থিত সাংবাদিকরা তাৎক্ষনিক
প্রতিবাদ ও অনুষ্ঠান বয়কট করেন। অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী ছিলেন
সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত। মঞ্চে ওঠেই তিনি মাইক নিয়ে সাংবাদিকদের অনুষ্ঠানস্থল
ত্যাগের নির্দেশ দেন। কিন্তু পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকরা সেখানে থেকে গেলে
বক্তৃতার সময় তিনি অকথ্য ভাষায় ক্ষোভ ঝাড়েন। সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন- ‘সাংবাদিকদের
ঠিক করতে নীতিমালা হয়েছে। ওই দিন কেবিনেট মিটিংয়ে আমি থাকলে সাংবাদিকদের শাসিত
ধরতাম। সাংবাদিকদের এখন এমনভাবে ঠিক করা হবে যাতে নিজের স্ত্রীকে পাশে নিয়েও
শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না। সাংবাদিকরা বদমাইশ, চরিত্রহীন, লম্পট। বক্তব্য চলাকালে
সমাজকল্যাণমন্ত্রীর শিষ্টাচার বর্হিভূত এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন উপস্থিত
সাংবাদিকরা। এসময় অনুষ্ঠানস্থলে হট্টগোল শুরু হলে মহিলা এমপি কেয়া চৌধুরী ও সাবেক
সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের কাছে করজোড়ে ক্ষমা চান। কিন্তু
সমাজকল্যানমন্ত্রী তার অশ্লীল বক্তব্য চালিয়ে গেলে সাংবাদিকরা অনুষ্ঠান বয়কট করে
চলে আসেন। সাংবাদিকরা অল্প শিক্ষিত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন- আমার মেয়ে
সাংবাদিকতায় মাস্টার্স। আর যারা পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে লেখালেখি করে তারা দু’এক
কলম পড়ালেখা করেছে। আমি বলি একটা, তারা লিখে আরেকটা। দুই টাকা
খেয়ে তারা আমার ... (অকথ্য শব্দ) দিয়ে বাঁশ ঢুকাতে চায়। আমার শ্বশুর বাড়ি সিলেটে।
সাংবাদিকদের পেছনে সিলেটের মানুষ লেলিয়ে দিতে আমার সময় লাগবে না। সাংবাদিকরা আমার
...(অকথ্য শব্দ) ছিঁড়তে পারবে না। মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে বিরুপ
মন্তব্য করায় সিলেটে মহসিন আলীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে। এর আগে একটি
বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে মঞ্চে বসে প্রকাশ্যে ধূমপান করে সমালোচিত হন মন্ত্রী মহসিন
আলী।