সুফিয়ান
আহমদ,বিয়ানীবাজার
প্রতিনিধিঃ বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগের বিবদমান পাভেল
ও পল্লব
গ্রুপের কর্মীদের
মধ্যে পাল্টাপাল্টি
হামলায় ২
ছাত্রলীগ কর্মী
আহত হয়েছেন। আহতরা
হলেন পাভেল গ্রুপের সানী (২০)
ও পল্লব গ্রুপের রনি(১৯)।
গতকাল রাতে ঘটে এঘটনা।
আর তাদের
এ পাল্টাপাল্টি
হামলায় আবারো
উত্তপ্ত হয়ে
উঠেছে বিয়ানীবাজার
পৌরশহরসহ আশপাশ
এলাকা।
বিরাজ করছে
থমথমে পরিস্থিতি। আজ
তারা উভয়
গ্র“পই
প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে সর্বশক্তি নিয়ে
বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজে অবস্থান নেয়। কিন্তু কড়া পুলিশী নিরাপত্তার
কারণে তারা
সংঘর্ষে জড়াতে
পারেনি।
যার ফলে
দুপুরে তারা
পৌরশহরে মিছিল
দিয়ে পল্লব
গ্র“প
উপজেলার দক্ষিণ
বাজারে ও
পাভেল গ্র“প উপজেলা
পয়েন্টে গিয়ে
অবস্থান করে। দু’গ্রুপই নিজ নিজ অবস্থান
থেকে শক্তি
সঞ্চার করছে। যেকোন
সময় গ্রুপ দুটি রক্তক্ষয়ী
সংঘর্ষে জড়িয়ে
পড়তে পারে
বলে আশংকা
করা হচ্ছে। যার
কারণে পৌরশহরসহ
আশপাশ এলাকায়
থমথমে পরিস্থিতি
বিরাজ করছে। তবে
অনাকাংখিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ
পয়েন্টে পুলিশ
মোতায়েন করা
হয়েছে। জানা যায়, গতকাল
বুধবার দুপুরে
ছাত্রলীগের পাভেল গ্রুপের ৪/৫ জন কর্মী বিয়ানীবাজার
উপজেলা পরিষদের
সাবেক ভাইস
চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লবের গ্র“পের কর্মী
রনিকে (১৯)কে স্থানীয়
জামান প্লাজা
মার্কেটে মারধর
করে।
এরই জের
ধরে রাত
আনুমানিক ৯টার
দিকে পল্লব
গ্রুপের কিছু
কর্মী পাভেল
গ্রুপের সানী (২০)
কে মারধর
করে গুরুত্বর
আহত করে। আহত
সানী বিয়ানীবাজার
উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে চিকিৎসা
নিয়েছে।
সানীর উপর
হামলার ঘটনায়
রাতেই পাভেল
গ্রুপের কর্মীরা পাল্টা
হামলার চেষ্টা
করলেও পুলিশের
তৎপরতায় তা
সম্ভব হয়নি।
এদিকে
আজ বুহস্পতিবার
সকাল থেকেই
পাভেল গ্রুপের কর্মীরা শক্তি
সঞ্চার করে
বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসে আসে। পল্লব
গ্রুপ ও তাদের নির্ধারিত
স্থানে এসে
অবস্থান নেয়। তবে
কলেজ ক্যাম্পাসে
বিপুল সংখ্যক
পুলিশ মোতায়েন
থাকায় উভয়
গ্রুপ কোন ধরনের
সংঘর্ষে জড়াতে
পারেনি।
তারা উভয়েই
কলেজ ক্যাম্পাসে
মিছিল দিয়ে
বের হয়ে
যায়।
যেকোন সময়
উভয় গ্রুপ আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে
জড়িয়ে পড়তে
পারে বলে
আশংকা করা
হচ্ছে।
যার জন্য
বিয়ানীবাজার পৌরশহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ
করছে।
তবে অনাকাংখিত
পরিস্থিতি এড়াতে পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে
পুলিশ মোতায়েন
করা হয়েছে
বলে জানান
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল
কালাম আজাদ। তিনি
বলেন, বর্তমানে
পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ছাত্রলীগের
দু’গ্র“প আর যাতে সংঘর্ষে
জড়িয়ে পড়তে
না পারে
সেজন্য আমরা
সতর্ক অবস্থানে
রয়েছি।