সুফিয়ান আহমদ,বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ মোবাইল ফোনে হুমকি ও পল্লব গ্রুপের এক কর্মীকে মারধরের জের
ধরে বিয়ানীবাজারে মুখোমুখী অবস্থানে রয়েছে
উপজেলা ছাত্রলীগের বিবদমান মুলধারা গ্রুপ ও পল্লব গ্রুপ। দু’গ্রুপই নিজ নিজ অবস্থান থেকে শক্তি সঞ্চার করছে। যেকোন সময়
গ্রুপ দুটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। যার কারণে
পৌরশহরসহ আশপাশ এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে অনাকাংখিত পরিস্থিতি
মোকাবেলায় পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রাপ্ত সূত্র মতে জানা
যায়, সোমবার বিয়ানীবাজার সরকারী (অনার্স) কলেজ
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মূলধারা গ্রুপের ৪/৫ জন কর্মী বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের
সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লবের গ্রুপের কর্মী জাকির (২৪)কে একা পেয়ে
মারধর করে। তাদের অভিযোগ,জাকির তাদের
মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে জাকির হোসেন বলেন, আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই মূলধারা গ্রুপের কিছু কর্মী আমাকে
মারধর করে। তবে আমাদের গ্রুপ থেকে তাদের উপর কোন হামলা করা হয়নি। সোমবারই জাকির
নিজের নিরাপত্তা চেয়ে ও মূলধারা গ্রুপের ওই কর্মীদের নাম উল্লেখ করে বিয়ানীবাজার
থানায় জিডি দায়ের করেন। এদিকে আজ
মঙ্গলবার সকাল থেকেই পল্লব গ্রুপের কর্মীরা শক্তি সঞ্চার করে বিয়ানীবাজার সরকারী
কলেজ ক্যাম্পাসে আসে। মুলধারা গ্রুপও তাদের নির্ধারিত স্থানে এসে অবস্থান নেয়। তবে
কলেজ ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকায় উভয় গ্রুপ কোন ধরনের সংঘর্ষে
জড়াতে পারেনি। তারা উভয়েই কলেজ ক্যাম্পাসে মিছিল দিয়ে বের হয়ে যায়। এরপর দুপুরে
পল্লব গ্রুপের কিছু কর্মী পৌরশহরের উত্তর বাজারে মূলধারা গ্রুপের কয়েকজন কর্মীকে
ধাওয়া করলে তারা বিয়ানীবাজার থানার নিচের একটি দোকানে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে রক্ষা
পায়। আর এঘটনার পর থেকেই মূলধারা গ্রুপ আবারো তৎপর হয়ে উঠে। তারা পৌরশহরের উত্তর
বাজারে এবং দক্ষিণ বাজারে পল্লব গ্রুপ তাদের শক্তি সঞ্চার করে মুখোমুখী অবস্থান
নেয়। যেকোন সময় উভয় গ্রুপ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
যার জন্য বিয়ানীবাজার পৌরশহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে অনাকাংখিত
পরিস্থিতি এড়াতে পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ছাত্রলীগের দু’গ্রুপ আর যাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য আমরা
সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। প্রসঙ্গত, বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগ
৬টি গ্রুপে বিভক্ত। নিজ নিজ অবস্থান সুসংহত করতে প্রায় প্রতিনিয়ত তারা অভ্যন্তরীণ
দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এরপর শুরু হয় তাদের শক্তি
প্রদর্শন। অবনতি হয় উপজেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতির।