Latest News

মৌলভীবাজারে অধ্যক্ষ নির্যাতন: আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি পুলিশ!

এসবিএন ডেস্ক:  মৌলভীবাজার সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ,  সিলেট এমসি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ও বর্তমান মখলিছুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ ননী গোপাল রায়কে নির্যাতনের তিনদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখোনো মামলা নেয়নি  (সূত্র: মৌলভীবাজারের স্থানীয় পত্রিকা ’পাতা কুঁড়ির দেশ’, ২৮ সেপ্টেম্বর)। গত ২৫ সেপ্টেম্বর মখলিছুর রহমান কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভায় অধ্যক্ষ ননী গোপাল রায় তাঁর ৪ বছর ২ মাসের অর্ধেক বেতন ও চলতি ৫ মাসের পূর্ণ বেতন আটকা পড়ায় আসন্ন পূজা উপলক্ষে তিনি তার পাওনা চান। পাওনা চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এমএ রহিম শহিদ ও তার ছোট ভাই মুজিবুর রহমান অধ্যক্ষ ননী গোপাল রায়ের উপর অমানবিক শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছিলেন। কিল ঘুষি এমনকি মাটিতে ফেলে পা দিয়ে লাথি মারতেও কার্পণ্য করেনি ঐ দুই ভাই। এই সময় উপস্থিত অন্যান্য সদস্যরা এগিয়ে গিয়ে অধ্যক্ষকে রক্ষা করেন। পরে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা দুই ভাই রিজাইন লেটার লিখিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর রাখেন অধ্যক্ষের।  পরে অধ্যক্ষ ননী গোপাল রায় মৌলভীবাজার থেকে আগোচরে সিলেটের বাসায় চলে আসেন। সেখানে অসুস্থবোধ করায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
অধ্যক্ষ ননী গোপাল রায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সাংবাদিককের জানান, এ বিষয়ে কারো সাথে কথা বললে পার্শ¦বর্তী সূর্যপাশা গ্রামের আত্মীয়স্বজনকে আগুনে পুড়িয়ে মারার হুমকিও দেয়া হয়েছিল তাঁকে। তিনি আরও জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলা বিভাগের অধ্যাপক দীপংকর সিংহকে তার কয়েক মাসের পাওনা বেতন চাইলে তাকেও একটি কক্ষের মধ্যে আটকিয়ে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। অশ্র“ভেজা কন্ঠে তিনি বলেন, ৪০ বছরের চাকুরী জীবনে এমন অপমানের ছোঁয়া পাইনি; যেভাবে  অপমানিত হয়েছি, তা নিয়ে বেঁচে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। সৃষ্টি কর্তা আমাকে এ পৃথিবী থেকে নিয়ে গেলে সব অপমান মুছে যাবে।
উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ ননী গোপাল রায় ২০০৮ সালে  মৌলভীবাজার সরকারী কলেজে অধ্যক্ষ থাকাকালীন সময়ে অবসরে যাওয়ার পর ২০১০ সালে সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নে অবস্থিত আলহাজ্ব মখলিছুর রহমান কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। তার অক্লান্ত শ্রমে কলেজটি পরিচিতিও লাভ করে।
অধ্যক্ষ ননী গোপাল রায়ের এ লাঞ্জনার ঘটনায় তাঁর কলেজের সহকর্মী শিক্ষকবৃন্দ - ছাত্র ছাত্রী, মৌলভীবাজার সরকারী কলেজ ও এমসি কলেজের তাঁর সাবেক ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

যোগাযোগ

Editor:Sahadul Suhed, News Editor:Loukman Hossain E-mail: news.spainbangla@gmail.com