সুফিয়ান আহমদ,বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ বিয়ানীবাজারের সীমান্তবর্তী দুবাগ আইডিয়াল একাডেমিতে কয়েকদিন ধরে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে প্রায় অচল হয়ে পড়েছে স্কুলটি। প্রধান শিক্ষক ও তার সহযোগীর যৌন হয়রানীর ঘটনায় এখানে দফায়-দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। গত দু’সপ্তাহে এ প্রতিষ্টানে অন্তত: ৬ বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয় বিদ্যালয়ের কম্পিউটারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার স্থানীয়রাও বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও শংকিত ও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বিদ্যালয়ের এ অবস্থায়। শিক্ষার্থীরা জানায়, গত মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষক বেলাল আহমদ বিদ্যালয়ে অবস্থান নেন। তার এ অবস্থানকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের দশম এবং নবম শ্রেণীর ছাত্ররা পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষে ৭ জন আহত হয়। বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষককে একটি কক্ষে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে বরখাস্ত করতে ব্যপক ভাংচুর করে শিক্ষার্থীরা। তারা এলাকায় বিক্ষোভ করে সড়ক অবরোধও করে রাখে। বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সুমি, রেহান ও নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী উজ্জল অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক বেলাল আহমদ এবং তার সহযোগী মারুফ আহমদ শ্রেণীকক্ষে ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল কথাবার্তা বলেন। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার নিয়ে ছাত্রীদের সাথে অশালীন কথা বলেন। দুই শিক্ষক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বেশী নম্বর দেয়ার কথা বলে জিম্মী করে ফেলেন। শিক্ষার্থীদের বাবা-মা তুলে গালি দেন। শিক্ষক মারুফের বিরুদ্ধে তারা প্রধান শিক্ষক বেলাল আহমদের কাছে নালিশ দিলেও তিনি এটার সুরাহা না করে উল্টো ওই শিক্ষকের পক্ষ নেন। আর এসবের প্রতিবাদে তারা আন্দোলনে নেমেছেন বলে দাবী করেন। জানা যায়, শিক্ষকদের এসব কর্মকান্ডের প্রতিবাদে গত ২৫ আগষ্ট বিদ্যালয়ের প্রায় দু’ শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোদ্ধ হয়ে অফিস কক্ষে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় তারা ৩টি কম্পিউটার, চেয়ার, টেবিল ও ডেক্স-বেঞ্চ ভাংচুর করে। তাদের বিক্ষোভকালে প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন। এরপর থেকে বিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থির হয়ে ওঠে। এব্যাপারে দুবাগ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন বলেন, গত প্রায় ৩ মাস থেকে শিক্ষকদ্বয়ের হয়রানীর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে দফায়-দফায় বিভিন্নজনের কাছে নালিশ জানিয়েছে। এমনকি স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ও ইউএনও শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর কাছেও অভিযোগ করেছে। কিন্তু তাতে কোন সুফল না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোব্দ হয়ে ওঠে। উদ্বূদ পরিস্থিতি মোকাবেলায় এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক এক সভায় মিলিত হয়ে প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিন ও মারুফ আহমদকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম। এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীরা এলাকার কতিপয় লোকের ইন্ধনে এমন কাজ করেছে। তিনি কারো সাথে কোন রকমের খারাপ আচরণ করেননি বলে দাবী করেন। এবিষয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে শিক্ষকদের বরখাস্থ করা হবে।
বিয়ানীবাজারের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগে, একাডেমী অচলাবস্থা
সুফিয়ান আহমদ,বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ বিয়ানীবাজারের সীমান্তবর্তী দুবাগ আইডিয়াল একাডেমিতে কয়েকদিন ধরে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে প্রায় অচল হয়ে পড়েছে স্কুলটি। প্রধান শিক্ষক ও তার সহযোগীর যৌন হয়রানীর ঘটনায় এখানে দফায়-দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। গত দু’সপ্তাহে এ প্রতিষ্টানে অন্তত: ৬ বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয় বিদ্যালয়ের কম্পিউটারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার স্থানীয়রাও বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও শংকিত ও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বিদ্যালয়ের এ অবস্থায়। শিক্ষার্থীরা জানায়, গত মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষক বেলাল আহমদ বিদ্যালয়ে অবস্থান নেন। তার এ অবস্থানকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের দশম এবং নবম শ্রেণীর ছাত্ররা পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষে ৭ জন আহত হয়। বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষককে একটি কক্ষে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে বরখাস্ত করতে ব্যপক ভাংচুর করে শিক্ষার্থীরা। তারা এলাকায় বিক্ষোভ করে সড়ক অবরোধও করে রাখে। বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সুমি, রেহান ও নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী উজ্জল অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক বেলাল আহমদ এবং তার সহযোগী মারুফ আহমদ শ্রেণীকক্ষে ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল কথাবার্তা বলেন। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার নিয়ে ছাত্রীদের সাথে অশালীন কথা বলেন। দুই শিক্ষক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বেশী নম্বর দেয়ার কথা বলে জিম্মী করে ফেলেন। শিক্ষার্থীদের বাবা-মা তুলে গালি দেন। শিক্ষক মারুফের বিরুদ্ধে তারা প্রধান শিক্ষক বেলাল আহমদের কাছে নালিশ দিলেও তিনি এটার সুরাহা না করে উল্টো ওই শিক্ষকের পক্ষ নেন। আর এসবের প্রতিবাদে তারা আন্দোলনে নেমেছেন বলে দাবী করেন। জানা যায়, শিক্ষকদের এসব কর্মকান্ডের প্রতিবাদে গত ২৫ আগষ্ট বিদ্যালয়ের প্রায় দু’ শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোদ্ধ হয়ে অফিস কক্ষে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় তারা ৩টি কম্পিউটার, চেয়ার, টেবিল ও ডেক্স-বেঞ্চ ভাংচুর করে। তাদের বিক্ষোভকালে প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন। এরপর থেকে বিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থির হয়ে ওঠে। এব্যাপারে দুবাগ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন বলেন, গত প্রায় ৩ মাস থেকে শিক্ষকদ্বয়ের হয়রানীর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে দফায়-দফায় বিভিন্নজনের কাছে নালিশ জানিয়েছে। এমনকি স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ও ইউএনও শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর কাছেও অভিযোগ করেছে। কিন্তু তাতে কোন সুফল না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোব্দ হয়ে ওঠে। উদ্বূদ পরিস্থিতি মোকাবেলায় এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক এক সভায় মিলিত হয়ে প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিন ও মারুফ আহমদকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম। এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীরা এলাকার কতিপয় লোকের ইন্ধনে এমন কাজ করেছে। তিনি কারো সাথে কোন রকমের খারাপ আচরণ করেননি বলে দাবী করেন। এবিষয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে শিক্ষকদের বরখাস্থ করা হবে।
বিয়ানীবাজারের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগে, একাডেমী অচলাবস্থা
Reviewed by spain bangla news
on
September 11, 2014
Rating: 5