Latest News

বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ১ পল্লবসহ ৮০ জনকে আসামী করে এসল্ট মামলা


সুফিয়ান আহমদ,বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ বিয়ানীবাজারে সোমবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের বিবদমান পল্লব গ্রুপ ও জামাল গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিয়ানীবাজার থানার এসআই মিজান বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান  ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম পল্লবকে প্রধান আসামী করে ওই গ্রুপের আরো ৭০/৮০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। আর সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক জামাল হোসেনও আবুল কাশেম পল্লবকে প্রধান আসামী করে আরো ৩০/৪০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকেই পুলিশ পল্লব গ্রুপের কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশী চালাচ্ছে। আটক করা হয়েছে পল্লব গ্রুপের সমর্থক জামাল হোসেন (৩০) কে।তবে এঘটনায় নিজের ও গ্রুপের কেউ জড়িত নয় দাবী করে আবুল কাশেম পল্লব বলেন, সোমবারের ঘটনাটি সম্পূর্ণ অনাকাংখিত। এঘটনায় আমার কোন নেতাকর্মী জড়িত নয় এটা উপজেলার শান্তিপ্রিয় জনতার পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। কেননা বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জামাল গ্রুপ উপজেলাব্যাপী ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সন্ত্রাস,মারামারি ও হানাহানী তারাই করছে যার স্বাক্ষী উপজেলার সাধারণ মানুষ। আর সোমবারই সাধারণ মানুষ সুযোগ বুঝে তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে রাতের আধাঁরে জামাল হোসেনের গ্রুপকে প্রতিহত করে। সাধারণ জনতাই জামাল গ্রুপের কার্যালয় ভাংচুর ও তাদের উপর হামলা করেছে বলে তিনি দাবী করেন। অপর দিকে সংঘর্ষের এঘটনায় পল্লব গ্রুপকে দায়ী করে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক জামাল হোসেন বলেন, আমার কর্মীরা অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে উপজেলায় রাজনীতি করে যাচ্ছে। আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে যাচ্ছি। আমি ও আমার  কোন নেতাকর্মী  উপজেলায় কোন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত নই। কিন্তু পল্লব গ্রুপ বরাবরই আগ বাড়িয়ে উপজেলায় একটা না একটা সংঘর্ষ বাধায়। সোমবার তারাই সংঘর্ষের ঘটনাটির সুত্রপাত করে। আমার দোকান ভাংচুর করে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে । আর এর জন্য তারাই দায়ী।  এদিকে উভয় গ্রুপ যাতে আর কোন ধরণের সংঘর্ষে জড়াতে না পারে সেজন্য পৌরশহরসহ আশপাশ এলাকায় জোরদার করা হয়েছে পুলিশী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

যোগাযোগ করা হলে বিয়ানীবাজার থানার ওসি (তদন্ত) মুস্তাফিজুর রহমান জানান,বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তিনি জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের পল্লব গ্রুপের পল্লবকে প্রধান করে আরো ৭০/৮০ জনকে আসামী করে এসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে ছাত্রলীগের বিবদমান পল্লব গ্রুপ ও জামাল গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে পৌরশহরের দক্ষিণ বাজারে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাত ৮ থেকে ১০টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলা এসংঘর্ষে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ,এসআই জহির, এসআই জহিরুল,সাংবাদিক এম সিন উদ্দিন ও সুফিয়ান আহমদ, কয়েকজন পথচারীসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। পরে সিলেট থেকে এক প্লাটুন অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আর এ ঘটনায় উভয় গ্রুপ পরস্পরকে দায়ী করে।

যোগাযোগ

Editor:Sahadul Suhed, News Editor:Loukman Hossain E-mail: news.spainbangla@gmail.com