Latest News

লাপাত্তা লতিফ!

এসবিএন ডেস্ক: সব হারিয়ে নিস্ব হওয়া আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর কোনো খোঁজ নেই আওয়ামী লীগ বা তার ঘনিষ্ঠজনের কাছে। তিনিও এখন আর কারো সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন না। তার বিষয়ে এখন আর আওয়ামী লীগের নেতারাও কথা বলতে চাইছেন না। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘তিনি এখন আওয়ামী লীগের কেউ নন, সাধারণ মানুষ। তার বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকার কথা না।’
গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে কটূক্তি করায় আবদুল লতিফ সিদ্দিকী মন্ত্রিসভা এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য থেকে বহিষ্কৃত হন। এরপর গত ১২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে তাকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার এবং দলে প্রাথমিক সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়। একই বৈঠকে তাকে কেন দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সাত কার্যদিবস সময় বেঁধে নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত ১৪ অক্টোবর তাকে চিঠি পাঠানো হয়। ১৫ অক্টোবর তার স্থায়ী ঠিকানা টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পৌঁছে নোটিস। গত ১৬ অক্টোবর চিঠিটি ব্যক্তিগত ই-মেইলে লতিফ সিদ্দিকীর হাতে পৌঁছে। এরপর গত ২২ অক্টোবর  আবদুল লতিফ সিদ্দিকী আত্মপক্ষ সমর্থন করে চিঠির জবাব দেন। চিঠি পাওয়ার পর গত ২৪ অক্টোবর  দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে তার প্রাথমিক সদস্যপদ স্থায়ীভাবে বাতিল করে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
লতিফ সিদ্দিকী নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন হয়ে কলকাতা যান। সর্বশেষ গত ১৩ অক্টোবর কলকাতায় বসে তিনি বিবিসি বাংলাসহ বেশকিছু গণমাধ্যমে সাক্ষাত্কার দেন; কিন্তু এর পরদিন থেকে আর কোনো খোঁজ নেই তার। ধারণা করা হচ্ছে— আত্মগোপনে চলে গেছেন টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে পাঁচবারের নির্বাচিত এই এমপি। এছাড়া ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন লতিফ। সবদিক ব্যর্থ হয়ে লতিফ সিদ্দিকী যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন তার স্বজনরা। তারাও এখন তার বিষয়ে কথা বলতে চাইছেন না।
জানা গেছে, কলকাতা যাওয়ার পর লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের কয়েক নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তাদের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাননি। কারণ কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাননি।

যোগাযোগ

Editor:Sahadul Suhed, News Editor:Loukman Hossain E-mail: news.spainbangla@gmail.com