এসবিএন ডেস্ক: কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকরে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। ফাঁসির মঞ্চ ধোয়া-মোছার কাজও শেষ । ফাঁসির দড়িও প্রস্তুত। এ ছাড়া
অন্যান্য প্রস্তুতি যেমন বিদ্যুৎ সংযোগ, শামিয়ানা তৈরির কাজও গুছিয়ে রাখা
হয়েছে। ফাঁসির মঞ্চের চারপাশে হাইভোল্টেেজর বাতিও লাগানো হয়েছে। ফাঁসি কার্যকরে জল্লাদও প্রস্তুত। ৩ নভেম্বর ও ৪ নভেম্বর রাতে ফাঁসির মহড়াও দিয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। এখন শুধু বিচারিক আদালত (ট্রাইব্যুনাল) থেকে পাঠানো লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যুপরোয়ানার অপেক্ষা । মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সোহাগপুরের গণহত্যার অপরাধে কামারুজ্জামানের
বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেই ৩ নভেম্বর সোমবার তার রায় ঘোষণা
করে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রস্তুতি নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। রায়ের পরদিনই (মঙ্গলবার) জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে কাসিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কারাগারের চারপাশে ও নাজিমউদ্দিন রোডসহ আশপাশের
এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সশস্ত্র কারারক্ষীরা ছাড়াও পুলিশ,
র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা কারাগারের চারপাশে টহল দিচ্ছে।
গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী বলেন, কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রস্তুতি চলছে। আগামী ৯ নভেম্বর রোববারের মধ্যে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে এরপর যে কোনো সময় রায় কার্যকর করা হবে। এক্ষেত্রে জেল কোড ও আইন মেনে কারা কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় নয়, সংক্ষিপ্ত রায়ের লিখিত কপি দিয়েই এ রায় কার্যকর করা যাবে। কারণ আইনের কোথাও পূর্ণাঙ্গ রায় দিয়ে তা কার্যকরের কথা বলা নেই। এ প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গত ৫নভেম্বর বলেন, আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হয়েছে। এখন সরকার চাইলেই কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে। কেননা বিশেষ আইনে চলা এ মামলায় আপিলের চূড়ান্ত রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করার সুযোগ নেই। তবে আসামি প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। সেজন্যও আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপির প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, রিভিউর সুযোগ না থাকায় আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পর আর কোনো আইনি প্রক্রিয়া এ মামলায় অবশিষ্ট নেই। তাই এখন আপিল বিভাগের নির্দেশনা ট্রাইব্যুনালে গেলেই সেখান থেকে মৃত্যুপরোয়ানা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও কামারুজ্জামানের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন রিভিউ আবেদন করার আগে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল ৫ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের আগেও রিভিউ আবেদন করা হয়েছিল। রিভিউ আবেদনের ওপর দুদিন শুনানির পর আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। কামারুজ্জামানেরও রিভিউর সুযোগ আছে। আমরা পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি হাতে পাইনি। কপি পেলে রিভিউ আবেদন করব। রিভিউ নিষ্পত্তি হওয়ার আগে যেন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না হয় সেই আহ্বান জানাচ্ছি সংশ্লিষ্টদের প্রতি।
‘রিভিউর সুযোগ নেই' আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনে করি সুযোগ আছে। আর যদি আইনে সুযোগ নাও থাকে সেেেত্র আপিল বিভাগ নিজে থেকে ন্যায়বিচারের স্বার্থে অনেক বিষয় বিবেচনা করতে পারেন। কামারুজ্জামানের আরেক আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, রিভিউ আবেদন করার অধিকার প্রতিটি আসামির সাংবিধানিক অধিকার। তাই কামারুজ্জামানকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে তা হবে সংবিধান লঙ্ঘন।
গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী বলেন, কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রস্তুতি চলছে। আগামী ৯ নভেম্বর রোববারের মধ্যে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে এরপর যে কোনো সময় রায় কার্যকর করা হবে। এক্ষেত্রে জেল কোড ও আইন মেনে কারা কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় নয়, সংক্ষিপ্ত রায়ের লিখিত কপি দিয়েই এ রায় কার্যকর করা যাবে। কারণ আইনের কোথাও পূর্ণাঙ্গ রায় দিয়ে তা কার্যকরের কথা বলা নেই। এ প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গত ৫নভেম্বর বলেন, আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হয়েছে। এখন সরকার চাইলেই কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে। কেননা বিশেষ আইনে চলা এ মামলায় আপিলের চূড়ান্ত রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করার সুযোগ নেই। তবে আসামি প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। সেজন্যও আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপির প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, রিভিউর সুযোগ না থাকায় আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পর আর কোনো আইনি প্রক্রিয়া এ মামলায় অবশিষ্ট নেই। তাই এখন আপিল বিভাগের নির্দেশনা ট্রাইব্যুনালে গেলেই সেখান থেকে মৃত্যুপরোয়ানা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও কামারুজ্জামানের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন রিভিউ আবেদন করার আগে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল ৫ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের আগেও রিভিউ আবেদন করা হয়েছিল। রিভিউ আবেদনের ওপর দুদিন শুনানির পর আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। কামারুজ্জামানেরও রিভিউর সুযোগ আছে। আমরা পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি হাতে পাইনি। কপি পেলে রিভিউ আবেদন করব। রিভিউ নিষ্পত্তি হওয়ার আগে যেন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না হয় সেই আহ্বান জানাচ্ছি সংশ্লিষ্টদের প্রতি।
‘রিভিউর সুযোগ নেই' আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনে করি সুযোগ আছে। আর যদি আইনে সুযোগ নাও থাকে সেেেত্র আপিল বিভাগ নিজে থেকে ন্যায়বিচারের স্বার্থে অনেক বিষয় বিবেচনা করতে পারেন। কামারুজ্জামানের আরেক আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, রিভিউ আবেদন করার অধিকার প্রতিটি আসামির সাংবিধানিক অধিকার। তাই কামারুজ্জামানকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে তা হবে সংবিধান লঙ্ঘন।