Latest News

আবার তারেক বোমা

এসবিএন ডেস্ক . বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক নানা মন্তব্যের সাথে  এবার যুক্ত হলো আরেক অভিনব মহা বিতর্কের মন্তব্য। বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকারআখ্যায়িত করে আবার মন্তব্যের বোমা ফাটালেন বৃটেনে থাকা বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যুক্তরাজ্য বিএনপির উদ্যোগে গত ১৫ ডিসেম্বর লন্ডনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শুধু রাজাকারনয় মহান মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামিলীগ নেতাদের ভূমিকা নিয়েও নানা মন্তব্য করেছেন। তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি এই মন্তব্য করেছে বলেও দাবি করেছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রং হেডেডমহিলা বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্যের পর দেশে ও বিদেশে শুরু হয়েছে তোলপাড়। আওয়ামি ঘরাণার লেখক কলামিষ্টরা তাকে উন্মাদবলেও প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন,আর বিএনপির বুদ্ধিজীবিরা বলেছেন এবার সঠিক ইতিহাস বেরুচ্ছে। তবে দেশে আওয়ামী লীগ নেতারা জ্বলে ওঠেছেন তেলে-বেগুনে। সংবাদ সম্মেলন করে এসব মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। গত কদিন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারেক রহমানের নানা মন্তব্যে সরাসরি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করলেও এবার চরম ক্ষুদ্ধ হয়ে হুশিয়ারি দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বলেছেন কু-পুত্রকেসামলাতে। তবে বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, তারেক রহমান সত্য কথা বলায় আওয়ামী লীগের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। এই মন্তব্যের পর বিএনপি চেয়ারপারসনের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কুপুত্রকে জিভ সামলে কথা বলতে বলবেন। নইলে বাংলার মানুষ সহ্য করবে না, বিশ্ববাসীও মেনে নেবে না। মানুষ তো বানাননি। লন্ডনে বসে জঘন্য কথা বলে যাচ্ছে। সত্যি কথা বলতে কি, এদের নাম নিতে আমার ঘৃণা লাগে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লেখাপড়া শেখেনি, জানোয়ারের মতো কথা বলে। জানোয়ারদের কিভাবে শিক্ষা দিতে হয়, মানুষ তা জানে। মানুষের কাছ থেকে জানোয়ার যে শিক্ষা পায়, তাই দেওয়া উচিত এবং মানুষ তা দেবেও।লন্ডনে তারেক রহমানের সভার দুদিন পর ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় একথা বলেন শেখ হাসিনা।
কি কথা বলেছেন তারেক ???
বিজয় দিবস উপলক্ষে গত ১৫ ডিসেম্বর লন্ডনের ঈষ্ট লন্ডনের অ্যাট্রিয়াম ব্যাংকোয়েট হলে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকারআখ্যায়িত করে দাবি করেন, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা আসার ঠিক আগে ইয়াহিয়া খানকে প্রেসিডেন্ট মেনে তার সঙ্গে সমঝোতা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ছিল না দাবি করে এর পক্ষে এ কে খন্দকার এবং বদরুদ্দীন উমরের লেখা উদ্ধৃত করে শোনান তারেক। তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান যদি ৭ মার্চ সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসারদের নিয়ে যুদ্ধ শুরু করতেন, তাহলে যে সামান্য সংখ্যকপাকিস্তানি সৈন্য তখন ছিল, তাদের সহজেই পরাজিত করা যেত; প্রাণহানি ও অর্থনৈতিক ক্ষতি অনেক কমানোযেত।  তারেক রহমান আগত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন এই সব কিছু জানার পর এর জন্য আমরা এককভাবে কাকে দায়ী করতে পারি বলে অবশ্যই শেখ মুজিবকে ; এবং আমরা তাকে যেভাবে রাজাকার বলেছি, আমরা তথ্য প্রমাণ সত্য দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে তাকে বলেছি- রাজাকার। আমরা সত্য ঘটনাবলীর ভিত্তিতে বলেছি সে ছিল পাকবন্ধু। এরপর তারেক বলেন, ‘আজকে যদি আমরা বলি- এই যে লক্ষ লক্ষ মানুষ একাত্তর সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে মারা গেল, এই যে হাজার হাজার মা বোনোর সম্ভ্রম নষ্ট হল, এর জন্য এককভাবে কী শেখ মুজিবকে দায়ী করা যায়? তাহলে এতো মানুষের যে হত্যাকারী তাকে এক বাক্যে কী বলা উচিৎ? যে মানুষ মারে তাকে কি বলা উচিৎ?’ উপস্থিত বিএনপি কর্মীরা এ সময় চিৎকার করে উত্তর দেন- রাজাকার। তারেক রহমান বলতে থাকেন, ‘আওয়ামী লীগ দাবি করে তারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল, মুক্তিযুদ্ধের দল। এই দলকে শেখ মুজিব কি করল- বাতিল করে দিল,সৃষ্টি করলো বাকশাল। শেখ মুজিবের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন আরে তুমি তো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রাজাকাররে ভাই।.. মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের দলকে তুমি ব্যান করে দিলে, তা তো মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বড় বিপক্ষের কাজ হল। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের কাজ কে করবে ভাই? একজন রাজাকারই তো করবে। তাহলে শেখ মুজিবকে কি বলা যায়? বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজাকার...।বিএনপিকর্মীরা তারেকের হয়ে উত্তর দেন রাজাকার, খুনি।   ১৯৭১ সালের ১৭ থেকে ২৫ মার্চের ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরে তারেক বলেন, তখন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সঙ্গে সমঝোতা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর। ১৬ মার্চ ইয়াহিয়া খান ঢাকায় আসেন, ২৫ মার্চ পর্যন্ত ছিলেন ... শেখ মুজিব এক অফিসারকে বলেছিলেন, ১১ জনের বিষয়ে সমঝোতার কথা, তা হয়েছিল এই সময়েই। ১১ জন মন্ত্রীর ব্যাপারে জাতীয় সরকার গঠনের শেখ মুজিবের সঙ্গে ইয়াহিয়ার মতৈক্য হয়েছিল। এখানেই কিন্তু শেষ নয়, ২৪ মার্চ আবার শেখ মুজিব ও ইয়াহিরার প্রতিনিধিদের আলোচনায় চারটি বিষয়ে মতৈক্য হয়েছিল। ... শেখ মুজিব কিন্তু ইয়াহিয়াকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে এক্সসেপ্ট করে নিয়েছিলেন। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এই দখলদার রং হেডেড শেখ হাসিনা একটার পর একটা অপকর্ম করেই চলেছে। যখনই বিপদে পড়ে, বিপদে পড়লেই জনগণকে ধোঁকা দিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।তারেক বলেন, সেজন্য মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগের ভূমিকা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা এখন সময়ের দাবি মনে করেন তিনি। তারেক আবারও তার বাবা জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক ও প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে দাবি করেন। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কয়েস আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোঃ নাছিরউদ্দিনসহ যুক্তরাজ্য বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিক্রিয়া :
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমান আলোচনায় থাকার জন্যই ধারাবাহিকভাবে একই ধরনের জঘন্য, মিথ্যাচারে পূর্ণ বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ আওয়ামী লীগের। দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডঃ হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারেক রহমানের এই ধরনের বক্তব্য নতুন কোনো ঘটনা নয়। ধারাবাহিকভাবে একই ধরনের জঘন্য, মিথ্যাচারে পূর্ণ বক্তব্য দিয়ে আমাদের সু-মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বিতর্কিত করে সে নিজে আলোচনায় থাকতে চায়।গত ১৮ ডিসেম্বর সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর ক্রীড়ানক জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়ার কুপুত্র তারেকের মুখেই মিথ্যাচারে পূর্ণ জঘন্য বক্তব্য শোভা পায়। দীর্ঘ সময় যারা মাদকাসক্ত, নেশাসক্ত জীবন-যাপন করে তারাই এ ধরনের বিকৃত,উন্মাদ, বুনো উন্মত্ততায় দিকভ্রান্ত হয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যে লিপ্ত হয়। এসব বক্তব্য মানসিক বিকার গ্রস্তরাই শুধু বলতে পারে।তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা জিয়াউর রহমান নিজেও যদি বিকারগ্রস্ত তারেক রহমানের এই অশোভন, কুরুচিপূর্ণ ও চরম মিথ্যাচার শুনতে পেতেন তবে তিনি কবরের মধ্যেই হয়তো লজ্জায় কাত হয়ে শুয়ে পড়তেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু লন্ডনে তারেকের বক্তব্যকে পাগলের প্রলাপবলে মন্তব্য করেন। উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য তোফায়েল আহমেদ বেয়াদববলেন আর  খালেদাকে ঘসেটি বেগমআখ্যায়িত করে উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, “ঘসেটি বেগমের ছেলেকে শেষবারের মতো সাবধান করে দিতে চাই, সে সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গেছে। কলামিষ্ট আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী এই মন্তব্যে জন্য তারেক রহমানকে পুরোপুরি উন্মাদ বলে দাবী করেছেন। তিনি বলেন কোনো সুস্থ্য মানুষের পক্ষে বঙ্গবন্ধুকে রাজাকার বলা সম্ভব নয়। এদিকে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আপনারা জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন। আপনারা কাকে রাজাকার বলেন নাই? তাজউদ্দিন আহমেদ,জিয়াউর রহমান,এ কে খন্দকার- কাউকেই আপনারা সম্মান দেন না।প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে। তারেক রহমান ইতিহাসের কিছু সত্য তুলে ধরেছেন মাত্র, তাতেই এতো গাত্রদাহ কেন? আপনারা যে ভাষায় কথা বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াকে নিয়ে যেভাবে কথা বলেন, সেসব বক্তব্য কি আপনারা খেয়াল করে শুনেছেন?’
এ্যাকশন শুরু .
তারেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকারবলায় রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন ঢাকা বারের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল। তাঁর এই  মানহানির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে শুনানি শেষে এ পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইউনূস খানের আদালত। শুনানি শেষে মানহানির অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় রাষ্ট্রের অনুমোদন প্রয়োজন হওয়ায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আমলে নেননি আদালত। বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন অ্যাডভোকেট শাহজাহান রুহুল ও মাজেদা আক্তার সুহি।
হাসিনাকে  খালেদা ‘‘নিজের জিহ্বা ঠিক করুন‘‘
তারেক রহমান সম্পর্কে হুশিয়ারী দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজের জিহ্বা ঠিক করার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, আগে নিজের জিহ্বা ঠিক করেন। নিজের ভাষা সংযত  করুন।  অন্যদের সামলানোর কথা বলার আগে ছাত্রলীগ-গুন্ডালীগকে সামলান বলে খালেদা জিয়া বলেন স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী হলেও এই ভাষায় কেউ কথা বলে না। ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নব্বইয়ের সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য ফোরাম আয়োজিত ছাত্র কনভেনশনে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। ১৭ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারেক রহমানকে অশিক্ষিত, জানোয়ার আখ্যায়িত করে জিহ্বা সামলে কথা বলার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, শেখ হাসিনা দেশটাকে গিলে ফেলেছে। পুরো দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
গাফফার চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জীবন্ত উন্মাদবলার অভিযোগে বিশিষ্ট কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর সকালে বগুড়া জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ মামলা করেন জেলা ছাত্রদলের সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক একেএম জাহিদ মনি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বগুড়া জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এর বিচারক  ফেরদৌস ওয়াহিদ শান্ত মামলার শুনানি অপেক্ষমাণ রেখেছেন।

রাজনীতিক বিশ্লেষকঃ

বিএনপির সিনিয়র তারেক রহমান সাম্প্রতিক সময়ে নানা মন্তব্য করে নেতাকর্মীদের উজ্ঝীবিত করারর চেষ্ঠা করছেন বলে অভিমত বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটিতে পলিটিক্যেল সাইন্সে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে আসা রাজনীতিক বিশ্লেষক ডঃ রমা কবীর। তিনি বাংলা কাগজকে বলেন, আওয়ামিলীগের নানা চাপে থাকা বিএনপির বর্তমান অবস্থায় নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা রেখে দলকে টেকানোর নানা কৌশলে তারেক রহমান এসব বিতর্কিত মন্তব্য করছেন। যুক্তি দিয়ে সকল কিছু  করতে গেলে তা সম্ভব নয়; তারেক যেসব তথ্য ও যুক্তি উপস্থাপন করেছেন তা শুধু যুক্তিতেই খাটে বাস্তবে সম্ভব নয়। অবশ্য তারেক রহমানের পারিপাশ্বিক অবস্থায় এমন মন্তব্য অস্বাভাবিক নয় বলে ডঃ রমা কবীরের বিশ্বাস। তিনি বলেন,তারেক রহমানকে ব্যক্তিগতভাবে আমি জানি,সে এ কয়দিন আগেও পশ্চাদমূখী কথাবার্তা বলতোনা,সবসময় ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিলো তার পরিকল্পনা,কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির প্রতি বর্তমান সরকার যে সব অন্যায় অবিচার ও অগনতান্ত্রিক আচরণ করছে বিশেষ করে তাঁর মাকে বাড়ী থেকে বের করে দেওয়াসহ পালামেন্টও বিভিন্ন সভা সমাবেশে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামিলীগ নেতা কর্মীরা যেসব অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রাখছে তাতে এজন সন্তা হিসেবে তারেক রহমানের এসব উদ্ভট কথাবার্তা বলা আশ্চর্যের বিষয় নয়। ডঃ রমা কবীর বলেন,বঙ্গবন্ধুর দল হয়েও আওয়ামিলীগ যদি তাদের কথাবার্তার চরিত্র না পাল্টায় তবে তারেক রহমান যেভাবে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার নিয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করছে তাতে কিছু রুঢ় সত্যও হয়তো বের হয়ে আসতে পারে। আরেক বিশ্লেষক সোহান আহমেদ বলেন বর্তমান রাজনীতিসহ নানা সমস্যার আবর্তে থাকা বাংলাদেশে তারেক রহমানের এই মন্তব্য বোমায় ঊভয় পক্ষই তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। লন্ডনে থাকা তারেক রহমানের থিম ব্যাংক বলে খ্যাত ব্যরিষ্টার আর সাবেক ছাত্রনেতারা যে পরিকল্পনায় তাকেঁ পরিচালিত করছেন তা খানিকটা হলেও সফল হচ্ছে বলে মনে করেন  সোহান আহমেদ। তাঁর মতে কিছু একটা তো বলতেই হবে সেকারণে বঙ্গবন্ধুকে রাজাকার বলছেন তারেক রহমান। আর আওয়ামিলীগের বিরুদ্ধে চলে যায় এমন কোনো সত্যি কথা বললে বাঘা সিদ্দিকি,একে খোন্দকার,কর্ণেল অলি আহমেদসহঅনেক মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বললে  তারেক রহমান কেনো বঙ্গবন্ধুকে রাজাকার বলতে পারবেনা।

যোগাযোগ

Editor:Sahadul Suhed, News Editor:Loukman Hossain E-mail: news.spainbangla@gmail.com