এনায়েত
হোসেন সোহেল ,ফ্রান্স : বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়ন ফ্রান্সের উদ্যোগে সংবর্ধনা ও প্রতিবাদ
সভায় বক্তারা বলেছেন,
মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং তার
স্ত্রী এটিএন বাংলা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি হত্যাকান্ডের ৩ বছর পার
হলেও অধরাই রয়ে গেছে আলোচিত এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতরা। সরকার ইচ্ছা করলেই পারে
এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচার ব্যবস্থা করতে । ৪৮ ঘন্টার কথা বলে আজ ৩ বছর হতে চললো
কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার হলো না । এই হত্যাকান্ডের বিচার
নিয়ে সাংবাদিক সমাজ আজ ও শঙ্কিত ।রোববার ফ্রান্সের প্যারিসের ম্যাক্সধর্মিতে
বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়ন ফ্রান্স আয়োজিত বিশিষ্ট সাংবাদিক ,লেখক
তারেক সাইদের সম্মানে আয়োজিত সংবর্ধনা ও সাগর -রুনি হত্যা কান্ডের প্রতিবাদ সভায়
ফ্রান্সের বসবাসরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এ কথা
গুলো বলেন । বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়ন ফ্রান্সের সভাপতি এম এ মান্নান আজাদের
সভাপত্বিতে এবং সাংবাদিক মাহবুব হোসাইনের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির
বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক,
কলামিষ্ট ও নাট্য ব্যক্তিত্ব তারেক সাঈদ । অন্যন্যের
বক্তব্য রাখেন,একাত্তর টিভির ইউরোপিয় অঞ্চলের প্রতিনিধি নুরুল ওয়াহিদ, বিশিষ্ট
কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব হেনু মিয়া,ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক এনায়েত হোসেন সোহেল,এস এ
টেলিভিশনের ফ্রান্স প্রতিনিধি মাম হিমু, অন লাইন ফ্রান্স বাংলা দর্পনের
সম্পাদক সামছুল ইসলাম,
বাংলা ভিশন ফ্রান্স প্রতিনিধি ফয়ছল আহমদ দীপ, সাংবাদিক
লুৎফুর রহমান বাবু,
দৈনিক কাল বেলার সাংবাদিক সৈয়দ সাহিল, দৈনিক
সংগ্রাম প্রতিনিধি তোফায়েল আহমদ, সাংবাদিক মোহাম্মদ ইবরাহিম, দৈনিক জালালাবাদ প্রতিনিধি ইমরান
আহমদ, ইমন আহমদ, তারেক আহমদ প্রমুখ । সভায় বক্তরা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সব সরকারই
গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অবস্থা নিয়েছে। অসংখ্য গণমাধ্যম বন্ধ ও সম্পাদক-সাংবাদিকদের
গ্রেফতার করে নির্যাতন করেছে। এ সরকারের আমলে অব্যহত রয়েছে সাংবাদিকদের উপর জুলুম, নির্যাতন, নীপিড়ন
ও হত্যা। বর্তমানে ও অনেক সাংবাদিক মিথ্যা মামলায় কারাগারে আছেন । এমন কি
টেলিভিশনের মালিকদেরকে গ্রেফতার করে নির্যাতন করা হচ্ছে । বক্তরা বলেন, গণমাধ্যমের
স্বাধীনতা খর্ব করে টেলিভিশনে সংবাদ ও মতামত প্রকাশের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হলে
দেশে গণতন্ত্র বিঘ্নিত হবে। কোন সরকারের উচিত নয়, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন বা
নীতিমালা প্রণয়ন করা। এতে গণতন্ত্রের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। পেশাগত দায়িত্ব পালন
করতে গিয়ে যে সকল সাংবাদিকদের পুলিশ ও অন্যদের দ্বারা হয়রানি ও নির্যাতন হচ্ছেন
তাদের প্রতিও ঘৃণা প্রকাশ করেন সাংবাদিকরা । সভায় উপস্থিত সাংবাদিক বৃন্দরা
সাগর-রুনি, বিশিষ্ঠ সাংবাদিক সৈয়দ ফারুক আহমদ, বালু, গৌতম
দাশসহ সকল সাংবাদিকের হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচারের দাবীসহ অবিলম্বে গ্রেপ্তার হওয়া
মিডিয়ার মালিক, সম্পাদক ও সাংবাদিকদের মুক্তি দিয়ে গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়ার
আহবান জানান।
পরে
আমন্ত্রিত অতিথিকে উপহার সামগ্রী প্রধান করা হয়।