পর্তুগাল : মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল পর্তুগালের উদ্দেগে ২৯ মার্চ রবিবার পর্তুগালের রাজধানি
লিসবনের একটি অডিটোরিয়াম এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।পর্তুগাল বিএনপির সভাপতি
অলিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহসাধারন সম্পাদক ইউসুফ তালুকদার পরিচালনায় সভা
অনুষ্টিত হয়। ।পর্তুগাল বিএনপির সিনিয়ার সহসভাপতি নজরুল ইসলাম সিকদার,সহসভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা এমদাদ মিয়া এবং সাধারন সম্পাদক
মহিন উদ্দিন সহ সভায় বক্তারা বলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতার
ঘোষক,আধুনিক বাংলার রুপকার,এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্টাতা। যেভাবে বাংলাদেশের জ্ঞানী-গুনীরা নির্যাতিত হতো পাকিস্তানীদের হাতে, যেভাবে নির্যাতিত হতো বাংলাদেশের
সম্মানিত নাগরিকগণ, বুদ্ধিজীবীগন
শেখ মুজিবের সময় বাকশালী সরকারের মাধ্যমে ঠিক একইভাবে আমরা দেখছি বর্তমানে
বাংলাদেশের সম্মানিত নাগরিক, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, আইনজীবী সবাই নির্যাতিত হচ্ছে
হাসিনা সরকারের মাধ্যমে। সাবেক ছাএদল
নেতা রনি মোহাম্মদ, আল-মাসুদ সুমন,সাব্বির আহমেদ বলেন গণতন্ত্র, সমতা ও মানবাধিকারের লক্ষ্য অর্জনে যারা অকাতরে প্রাণ
দিয়েছেন আজ স্বাধীনতার ৪৪ বছরেও আমরা সেই লক্ষ্য অর্জনের ধারের কাছেও পৌঁছতে পারি
নাই। যন্ত্রণাবিদ্ধ শহীদী আত্মা বিপন্ন বিষ্ময়ে দেখছে তাদের স্বপ্নের সোনার বাংলায়
গণতন্ত্র নিহত, স্বাধীনতা লুণ্ঠিত ও মানবাধিকার
প্রতিদিন ক্রসফায়ারে প্রাণ হারাচ্ছে। সীমান্তে কাটাতারের বেড়ায় ঝুলন্ত প্রতিকারহীন
ফেলানীর গুলিবিদ্ধ লাশ। রক্তে ভেজা বাংলার মাটি থেকে হারিয়ে যাওয়া সালাউদ্দিন, ইলিয়াসদের অনাথ সন্তানদের জিজ্ঞাসা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি
খায় না মাথায় মাখে? স্বাধীনতা
যুদ্ধের উত্তরাধিকার হিসেবে এই অন্তহীন প্রশ্নের জবাব দেবার যোগ্যতাও আমরা
হারিয়েছি। এক অদৃশ্য অশুভ শক্তির ইশারায় সম্ভাবনাময় জাতিকে আমরা কসাইর মত খণ্ড-বিখণ্ড ও টুকরো টুকরো করেছি।
অপসীয়মান অতিতের ধ্বংসাবশেষ
যারা, বর্তমান অবস্থাকে টিকিয়ে রেখে তাদের নগদ প্রাপ্তি হতে পারে। কিন্তু ভবিষ্যৎ
বাংলাদেশের কি হবে? কোনকিছু
প্রাপ্তির আশা না করে জাতির যে দামাল ছেলেরা স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে সে জাতি কখনোই
কৃতদাসের শাসন কিংবা ভিনদেশীদের অঙ্গুলীর ইশারায় চলতে পারে না। একাত্তর ছিল
স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের লড়াই। ২০১৫ সাল হচ্ছে স্বাধীনতা রক্ষা ও গণতন্ত্র
পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম। লাখো শহীদের উচ্চারণহীন লাখো প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
আমাদের অঙ্গীকার হোক তোমাদের অর্জন বৃথা যাবে না, বৃথা হতে দেয়া হবে না। তাই আজ জিয়াউর রহমানের আদর্শে উদ্বোদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র
মুক্তির আন্দোলনে সকলকে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, পর্তুগাল
বিএনপির সহসভাপতি মোহাম্মেদ লাবু, সহসাধারন
সম্পাদক আমির সোহেল,ক্রিড়া সম্পাদক
সেলিম চৌধুরী,বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন সাবেক
ছাএদল এ বি সামাদ,এনামুল হোসাইন
রতন,জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ কমিউনিটির সাংগটনিক সম্পাদক আবু তাহের,মাতৃমনিজ জামে মসজিদের ২য় খতিব মোহাম্মেদ যুবায়ের প্রমুখ।