Latest News

মিরপুর হযরত শাহ আলী মহিলা কলেজের মালি পিয়ন সুইপার নির্বাচনী কর্মকর্তা!

এসবিএন ডেস্ক : মিরপুর হযরত শাহ আলী মহিলা কলেজের সবাইকে আসন্ন সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ তালিকায় কলেজের মালি, পিয়ন, সুইপার, দারোয়ান, ঝাড়ুদার, আয়া, নৈশপ্রহরীসহ সবাইকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এদের জোর করে পোলিং অফিসার করা হয়েছে বলে ইসিতে অভিযোগ করেছেন চতুর্থ শ্রেণীর ১১ কর্মচারী। সামান্য অক্ষরজ্ঞান থাকায় এসব দায়িত্ব পালনে অক্ষম বলে তারা ১৬ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার ইসিতে আবেদন করেন এবং দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান। এ বিষয়ে ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং অফিসার মোঃ শাহ আলমের কাছে এ ঘটনার একটি লিখিত অভিযোগ ইসিতে এসেছে বলা হলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তা অবশ্যই বাতিল করা হবে।

ইসির ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার নিয়োগপত্রে তাদের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটির মিরপুর এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৮৬,পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামের ভোট কেন্দ্রে তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।  নির্বাচনী মালামাল ২৭ এপ্রিল রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে বিতরণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে রিটার্নিং অফিসার ও ইসি বরাবর আবেদনে তারা উল্লেখ করেছেন, ‘আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারী মিরপুর হযরত শাহ আলী মহিলা কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। ইতোপূর্বে আমরা কখনো রাষ্ট্রীয় অধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করি নাই।
আমরা সামান্য অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন কর্মচারী। নির্বাচনী বুথে ভোটারদের অঙ্গুলিতে কালি লাগানো ছাড়া অন্যান্য কার্য সম্পাদন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। অতএব, মহোদয়ের কাছে আকুল আবেদন ঢাকা  উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে আমাদের অব্যাহতির জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।’

ওই চিঠির ওপর হযরত শাহ আলী মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল ময়েজ উদ্দিনের স্বাক্ষর সংবলিত সুপারিশ রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘আবেদনকারীদের অক্ষরজ্ঞান কম। দায়িত্ব পালনে শুধু কালির ব্যবহার ছাড়া অন্য কাজ করতে কষ্টকর হবে।’ এদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেন, জোর করে আমাদের এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ ১১ জন হলেন মিরপুর হযরত শাহ আলী মহিলা কলেজের দারোয়ান মোঃ শাহজাহান, মোঃ শক্কুর আলী, মোঃ মোজাম্মেল হক, মোঃ সামসুল হক, নৈশপ্রহরী মোঃ জামাল, মালি মোঃ একরামুল হক, সুইপার মোঃ কবির হোসেন, আয়া পারুল আক্তার, অফিস সহকারী মনোয়ারা বেগম এবং ঝাড়ুদার দেলোয়ারা খাতুন ও রুনা আক্তার।
পরে ইসি সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনিও আকাশ থেকে পড়েন। তিনি বলেন, তাই নাকি! বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নেই। অভিযোগটি আমার কাছে এলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ধরনের ব্যক্তির পোলিং অফিসার হওয়ার সুযোগ নেই। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইসির সঙ্গে উত্তরের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মতবিনিময় সভায় এক মেয়র প্রার্থী কয়েকটি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীকে জোর করে প্রভাবশালী সংসদ সদস্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে বাধ্য করার অভিযোগ তোলেন। তবে এ বিষয়ে সেদিন ইসির পক্ষ থেকে কিছুই বলা হয়নি।

যোগাযোগ

Editor:Sahadul Suhed, News Editor:Loukman Hossain E-mail: news.spainbangla@gmail.com