Latest News

নির্বাচন নিয়ে সরকার-বিএনপি সমঝোতা!

এসবিএন ডেস্ক : সরকার ও বিএনপির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে গোপন সমঝোতার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। বিদেশি কূটনৈতিকদের মাধ্যমে এ সমঝোতা হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সুত্র জানিয়েছে। এ সমঝোতার প্রেক্ষিতে শীগগীরই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলেও আভাস পাওয়া গেছে। অপরদিকে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বর্হিবিশ্বেও চাপ অব্যাহত রয়েছে। ৪ গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ৯ রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের পর সরকারের সঙ্গে বিএনপির সমঝোতা হয়েছে বলে জানিয়েছে কয়েকটি সূত্র। সূত্রটি জানায় আগামী দেড় বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ কারণেই ২০ দলীয় জোটের কর্মসূচিতে ভাটা নেমে এসেছে। এ সূত্র ধরেই বিএনপি সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। নির্বাচন শেষে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা হতে পারে বলেও জানা গেছে।
গত ৪ মার্চ খালেদা জিয়ার সঙ্গে ৯ রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের পর, বৈঠক শেষে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার গ্রেগ ইউলকক বলেন, দেশের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে আমাদের দেয়া পূর্বের বিবৃতি এবং জাতিসংঘ প্রদত্ত বিবৃতিগুলো উদ্ধৃত করে আমরা চলমান সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছি। আমরা দুপক্ষের মধ্যে আস্থা স্থাপনের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহ দিয়েছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা, প্রগতি, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছি। বাংলাদেশের বন্ধু এবং অংশীদার হিসেবে আমরা বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে বৈঠকের সুযোগকে স্বাগত জানাই। আমরা সকল দলের প্রতি আমাদের অভিন্ন প্রত্যাশা ব্যক্ত করা অব্যাহত রাখব।

সন্ধ্যা পৌনে ৭টার সময় রাষ্ট্রদূতরা একটি মাইক্রোবাসে করে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান। পরে তারা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ২ ঘন্টা বৈঠক করেন। বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স বলুম বার্নিকাট, অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত গ্রেগ উইলকক, ইইউ রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ৮টি দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। ইইউভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, সুইডেন, স্পেন ও ডেনমার্কের কূটনীতিকরা ছিলেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের আসার পর বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বার্নিকাটের এটাই প্রথম সাক্ষাত। ইতিমধ্যে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলে ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের আলোচনায় উঠে আসছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর যে কোনো সময় সব দলের অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ। স্বল্প সময়েই দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন তিনি। ৩০ মার্চ সোমবার দুপুরে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিস্থিতিবিষয়ক আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সভায় এ কথা বলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমরা আশা করছি পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে পারব। কারণ, জনগণ ভোটের বিষয়ে চিন্তা করতে শুরু করেছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর যে কোনো সময়ে আরেকটি নির্বাচন হতে পারে; যাতে অংশ নিতে পারে সব রাজনৈতিক দল। এদিকে জাতীয় নির্বাচনকে নিযে বর্হিবিশ্বের চাপ অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশে নতুন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া সরকার আগের অবস্থান বদলায়নি বলে ১ এপ্রিল এক চিঠিতে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশফ এমপি। গত ২ মার্চ বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ একটি চিঠি দেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির ডেপুটি লিডার জুলি বিশফ এমপিকে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়সহ নতুন জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়ার বিষয়ে আস্ট্রেলিয়া সরকারের অবস্থান কী তা জানতে চাওয়া হয় চিঠিতে।

যোগাযোগ

Editor:Sahadul Suhed, News Editor:Loukman Hossain E-mail: news.spainbangla@gmail.com