বাংলাদেশের পণ্যের নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি এবং রফতানি আয় বাড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মিশন এবং বাণিজ্যিক শাখা রয়েছে। কিন্তু নতুন বাজার সৃষ্টি বা রফতানি আয় বাড়ানোর কোনো কাজই ঠিক মতো করতে পারছে না মিশনগুলো।
২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ৫৩টি মিশনের মধ্যে ৩৪টিই ব্যর্থ হয়েছে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে। আর ১৭টি বাণিজ্যিক উইংয়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে ১৩টি।
লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ মিশনগুলোর মধ্যে রয়েছে— মাদ্রিদ, ওয়াশিংটন, বার্লিন, লন্ডন, প্যারিস, রোম, দ্যা হেগ, স্টকহোক, অটোয়া, ব্রাসেলস, বেইজিং, টোকিও, আঙ্কারা, সিউল, মস্কো, হংকং, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, ম্যাক্সিকো সিটি, জেনেভা, জাকার্তা, হ্যানয়, লিসবন, তেহরান, ব্যাঙ্কক, কুয়েত, কলম্বো, আম্মান, দোহা, মাস্কাট, বৈরুত, ত্রিপলি, মানামা এবং পোর্ট লুইস। যে ১৯টি মিশন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ক্যানবেরা, নয়াদিল্লি, দুবাই, রিয়াদ, ব্রাসিতিয়া, প্রিটোরিয়া, কায়রো, ইসলামাবাদ, ম্যানিলা, এথেন্স, ইয়াঙ্গুন, নাইরোবি, তাসখন্দ, কাঠমান্ডু, রবাত, থিম্পু, মালে, বাগদাদ ও ব্রুনাই। বিদেশে অবস্থিত ১৭টি কমার্শিয়াল উইংয়ের মধ্যে যে চারটি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পেরেছে তাদের মধ্যে রয়েছে—ক্যানবেরা, নয়াদিল্লি, দুবাই ও ইয়াঙ্গুন। আর লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হওয়া বাণিজ্যিক উইংয়ের মধ্যে রয়েছে—ওয়াশিংটন, বার্লিন, লন্ডন, প্যারিস, মাদ্রিদ, অটোয়া, ব্রাসেলস, বেইজিং, টোকিও, মস্কো, কুয়ালালামপুর, জেনেভা এবং তেহরান।
২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে মোট রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৩২০ কোটি ডলার। এর বিপরীতে রফতানি আয় হয়েছে ৩ হাজার ১১৯ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। সুতরাং পুরো অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কম হয়েছে ২০০ কোটি ডলারেরও বেশি। রফতানিকারকরা বলেন, অদক্ষ জনবলের কারণেই বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনগুলোতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মিশনগুলোতে যেসব কর্মকর্তা দায়িত্বপালন করেন তাদেরকে দেশের পণ্য এবং রফতানি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। বিভিন্ন সময় মিশনের উদ্যোগে সেমিনার, মেলার আয়োজন করে বাংলাদেশী পণ্য সম্পর্কে বিদেশীদের আকৃষ্ট করতে হবে। তাহলেই রফতানিখাতে বাংলাদেশের মিশনগুলো লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে।