এসবিএন ডেস্ক: কেবল সাধারণ জনগণ নয়; একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়
উৎকন্ঠা জেঁকে বসেছে সরকারের ভেতরেও। সম্প্রতি দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনার তদন্ত কূলে ওঠার আগেই ৩১ অক্টোবর ঘটে গেল আরও একটি প্রাণহানির ঘটনা। খুন করা হল প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে, হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে আহত করা হল প্রকাশনী সংস্থার আরও তিনজন-আহমেদুর রশীদ টুটুল, তারেক রহিম ও রণদীপম বসুকে। ২২ অক্টোবর রাজধানীর গাবতলীতে চেকপোস্টে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যার রেশ না কাটতেই
৪ নভেম্বর আবার আশুলিয়ায় পুলিশ কনস্টেবল মুকুল হোসেনকে হত্যা করা হলো।
সর্বশেষ এই ঘটনাগুলো নিয়ে এখন রাখঢাক না রেখেই সরকারের মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদের
উৎকন্ঠার কথা জানিয়েছেন।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgJM6exLJnYnPjfmVonUT7ATUb0JxEVnizVajPTp9WRgactrcOSbReFV1tGfUozofz2QOoYodMMTOPOtnmTFcR2ulRGY9aXx1CDW_KQfsIQCobU0rb2kdtOMyfucwsKt7DK-aOuVQF0D6A/s200/police+mukul.jpg) |
পুলিশ কনস্টেবল মুকুল হোসেন |
সন্ত্রাসী হামলায় আহত শুদ্ধস্বরের স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুলকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, গোপন-অতর্কিত হামলা থেকে কেউই নিরাপদ নয়, আমিও নই। তিনি বলেন, পুলিশ নাশকতা দমনে যেভাবে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে সেভাবে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে দক্ষতা দেখাতে পারেনি। একের পর এক ব্লগার হত্যার তদন্তে সুস্পষ্ট কোনো অগ্রগতি আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক আবহের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে বলে এ নিয়ে তাড়াহুড়ো করা যাচ্ছে না।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গণজাগরণ মঞ্চ গঠিত হওয়ার পর থেকে প্রায় একই কায়দায় ছয়জন মুক্তমনা লেখককে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের পর জঙ্গিবাদী সংগঠনগুলোর পক্ষে হত্যার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ওইসব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়া ও বিচার নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgZVZSWjmvhjXMcJsX7akUQ4xtOTORyxEXe-3hOLBS6rtaQNDZN4P63rdTOqbbMAeolHfRKFRGY21f9oiaVhxqViRHqvU-essXgMQ49326qIlkT6UFqtW-6nnBX1c4ueMvGCShWaO3ble8/s200/dipon.jpg) |
প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন |
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের প্রকাশকসহ আহত তিন ব্লগারকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, দেশে কোনো হত্যা হলেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের কাছ থেকে শুনতে পাই, খুব শিগগির অপরাধীদের ধরা হবে। অপরাধীরা শনাক্ত হয়েছে, চিহ্নিত হয়েছে। এ ধরনের ঘুমপাড়ানি বক্তব্য শুনতে চাই না। তিনি আরো বলেন, একের পর এক মুক্তমনা লেখকদের হত্যা করা হবে আর পুলিশ আশার বাণী শুনিয়েই যাবে তা হতে পারে না। এভাবে চলতে থাকলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা থাকবে না। আগের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারলে আজকের এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।