Latest News

পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন : গতানুগতিক ইসি আ'লীগ ও বিএনপি'র মন্তব্য

এসবিএন ডেস্ক : প্রথমবার দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিপুল জয় পেয়েছে। সর্বশেষ বেসরকারিভাবে ২৩৩ পৌরসভার মেয়র পদের ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে ১৮১টি পৌরসভায় বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২৪টি পৌরসভায় বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়াও লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টি-জাপার ১ জন, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ১৬, বিএনপি বিদ্রোহী ২ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৯ জন জয়লাভ করেন।
৩০ ডিসেম্বরের এ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমশনার, আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির নেতারা বিভিন্ন মন্তব্য করেন। বাংলাদেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সূত্র ধরে এ প্রতিবেদন ।

কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে -  কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার
কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। তিনি বলেছেন, অনিয়ম ও সহিংসতার কারণে ৫০টি ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়েছে এবং একটি  পৌরসভা নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ধানের শীষের লোকজন আমাদের এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে - এইচ টি ইমাম,  আ'লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান

প্রধান মন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও  আ'লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম ব্যথিত হয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনে ধানের শীষের লোকজন আমাদের এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে। পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট ঠিক মতো কাজ করছে না। ৩০ ডিসেম্বর, বুধবার আগারগাঁও-এ নির্বাচন কমিশনে তিনি এ কথা বলেন।  এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবার সঙ্গে সমান ব্যবহার করছে না বলেও তিনি অভিযোগ করেন।  সাংবাদিকদের এক  প্রশ্নের উত্তরে এইচ টি ইমাম বলেন, এবারের নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হচ্ছে। কেন্দ্রীয় হাই কমান্ড থেকেও স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে হবে। ৩ হাজার ৫৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪টি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ হওয়ার ঘটনা তেমন কিছু না। বিএনপির বিভিন্ন অভিযোগকে মনগড়া অভিযোগ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারা দেশে সুন্দর, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে পৌরসভা নির্বাচন চললেও কয়েকটি স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাড়াবাড়িতে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে।
পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিএনপির অনেক প্রার্থী নিজেরাই গায়েব হয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এটা নতুন কিছু নয়, বিএনপি গায়েব হওয়ার গালগল্প বলে যাচ্ছে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য শুনেছি অনেক টাকা দিয়ে লাঠিয়াল বাহিনী ভাড়া করে ভোটারদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে নির্বাচনকে বানচাল করে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।


সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব 

৩০ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। আমারা যে আশঙ্কা করেছিলাম, তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। আমরা বার বার বলেছি, পৌর নির্বাচন একটি প্রহসনে পরিণত হবে। সারাদিন গণমাধ্যম ও সোস্যাল মিডিয়ায় ভোটগ্রহণের যে চিত্র আমরা দেখেছি, তা গণতন্ত্র সম্পর্কে জনগণকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে তুলেছে।

অন্তত ২০০ পৌরসভার ভোটকেন্দ্র দখল করা হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ওইসব কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে পুনরায় ভোটের দাবি জানিয়েছেন।
১৫৭টি পৌরসভার সহস্রাধিক কেন্দ্র দখলের খবর এসেছে দাবি করে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, এটা আরো বেশি হবে; ২০০-এর কম হবে না। এখনো আমাদের কাছে সব তথ্য এসে পৌঁছায়নি।

যোগাযোগ

Editor:Sahadul Suhed, News Editor:Loukman Hossain E-mail: news.spainbangla@gmail.com