এসবিএন ডেস্ক : ১৬ ডিসেম্বর ১৯৯৫। অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও পূর্ব আকাশে বিজয় দিবসের রক্তিম সুর্য উদয় হয়েছিল। অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও বিজয় দিবসের বাতাস হু হু হয়ে বইছিল। আর এই বাতাসের মধ্যে কি যেন এক হাহাকার ভরা বেদনা ছিল কুলাউড়াবাসীর জন্য তাইবা কে জানত? কুলাউড়ার ডাকবাংলো মাঠে বিজয় মেলা-৯৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠান চলছিল। কুলাউড়াবাসীর কাছে সম্পূর্ণ অপরিচত ৭ জন যুবক মেলায় অনেকক্ষন ঘুরাফেরা কওে মেলা থেকে বেরিয়েই প্রায় ৩০০ গজ উত্তরে গিয়ে রাস্তায় একটি লাইটেস দাড়ানো দেখে ড্রাইভারকে তারা জানায় যে, তারা ঢাকার বাসিন্দা। মাধবকুন্ড জলপ্রপাত দেখতে এসেছিলেন। তারা ঢাকায় ফেরত যেতে চায়। লাইটেসের ড্রাইভার তাদেরকে ৩৫০০ টাকা ভাড়া দাবী করে। ড্রাইভার গিয়াস যখন যুবকের সাথে আলাপ করে তখন গাড়ীর মালিক আব্দুল হান্নান
তখন সেখানে উপস্থিত হয়। আব্দুল হান্নান অবশেষে ঢাকার মালিবাগে যুবকদের নিয়ে যেতে রাজি হন। ১২০০ টাকা অগ্রীম এবং বাকী টাকা ঢাকা যাবার পর দেবার সিদ্ধান্ত হয়। তখন সন্ধ্যা ৭টা বাজে। লাইটেস নং (ঢাকা মেট্রো-চ-০২-৪৫৭৭) ড্রাইভার গিয়াস যাত্রীবেশী কথিত যুবক ও গাড়ীর মালিক আব্দুল হান্নানকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। আব্দুল হান্নান ও ড্রাইভার গিয়াস গাড়ীসহ অপরহন করা হয়েছে বলে ঘটনার দু’দিন পর অনুমান করা হয়। তারা ফিরে না আসাতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কুলাউড়া থানায় জিডি করা হয়। জিডি নং- ৬৫১ তাং- ১৮.১২.১৯৯৫ এবং পরে এজাহার (নং-১৫ তাং-২৫/১২/১৯৯৫) দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে ডিবি মৌলভীবাজারে স্থানান্তরিত হয়। ১৫ এপ্রিল ৯৬ ইং ডিবি থেকে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু অদ্যাবধি নিখোঁজ ব্যক্তিদ্বয়সহ ছিনতাইকৃত লাইটেস নং (ঢাকা মেট্রো-চ-০২-৪৫৭৭) উদ্বার করা সম্ভব হয়নি।
আব্দুল হান্নান কুলাউড়া পৌরশহরের উছলাপাড়া নিবাসী মরহুম আব্দুস ছত্তারের ১ম পুত্র। কুলাউড়ার পরিচিত মুখ সদা হাস্যোজ্জ্বল আব্দুল হান্নান নিজ গাড়ী ও ড্রাইভার গিয়াসকে যাত্রীবেশী কতিপয় যুবক অপহরন হওয়ার ঘটনার ২০ বৎসর অতিবাহিত হলেও হান্নান ও তার সহযোগী আজও ঘরে ফেরেননি। হান্নান নিখোঁজের ৭ মাস পর স্ত্রী শেফালীর গর্ভে জম্ম নেয় পুত্র পায়েল। আব্দুল হান্নানের ৩ পুত্রের মধ্যে রুবেল বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং-এ সৌরভ মাষ্টার্সে ও পায়েল হিফজ শেষ করে আলিম এ অধ্যয়নরত। নিখোঁজ হান্নানের পুত্র পায়েলের মনে আজও প্রশ্ন জাগে বাবা ফিরবেতো, বাবাকে স্বচক্ষে দেখতে পারবেতো ?
সদা হাসোজ্জল হান্নান দীর্ঘ ২ দশক থেকে নিখোঁজ। মরে গেছেন না বেচে আছেন, কেউ জানেনা। কুলাউড়ার জনগণের মধ্যে সেই থেকে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। জলজ্যান্ত দুটি মানুষ গাড়ী সহ উধাও হয়ে গেল। অথচ জনগণ কি প্রশাসন আজও তাদের কোন সন্ধান দিতে পারলনা। স্ত্রী শেফালী অশ্রুশিক্ত নয়নে পথপানে আজও তাকান স্বামী ফিরবেন এ আশায়। হান্নানের ভাই বোন ও সন্তানেরা এখনও অপেক্ষায় আছেন। তারা হান্নানের সন্ধান চান। জানতে চান তাদের হান্নান বেঁচে আছে নাকি আদৌ পৃথিবী থেকে চলে গেছে।
তখন সেখানে উপস্থিত হয়। আব্দুল হান্নান অবশেষে ঢাকার মালিবাগে যুবকদের নিয়ে যেতে রাজি হন। ১২০০ টাকা অগ্রীম এবং বাকী টাকা ঢাকা যাবার পর দেবার সিদ্ধান্ত হয়। তখন সন্ধ্যা ৭টা বাজে। লাইটেস নং (ঢাকা মেট্রো-চ-০২-৪৫৭৭) ড্রাইভার গিয়াস যাত্রীবেশী কথিত যুবক ও গাড়ীর মালিক আব্দুল হান্নানকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। আব্দুল হান্নান ও ড্রাইভার গিয়াস গাড়ীসহ অপরহন করা হয়েছে বলে ঘটনার দু’দিন পর অনুমান করা হয়। তারা ফিরে না আসাতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কুলাউড়া থানায় জিডি করা হয়। জিডি নং- ৬৫১ তাং- ১৮.১২.১৯৯৫ এবং পরে এজাহার (নং-১৫ তাং-২৫/১২/১৯৯৫) দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে ডিবি মৌলভীবাজারে স্থানান্তরিত হয়। ১৫ এপ্রিল ৯৬ ইং ডিবি থেকে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু অদ্যাবধি নিখোঁজ ব্যক্তিদ্বয়সহ ছিনতাইকৃত লাইটেস নং (ঢাকা মেট্রো-চ-০২-৪৫৭৭) উদ্বার করা সম্ভব হয়নি।
আব্দুল হান্নান কুলাউড়া পৌরশহরের উছলাপাড়া নিবাসী মরহুম আব্দুস ছত্তারের ১ম পুত্র। কুলাউড়ার পরিচিত মুখ সদা হাস্যোজ্জ্বল আব্দুল হান্নান নিজ গাড়ী ও ড্রাইভার গিয়াসকে যাত্রীবেশী কতিপয় যুবক অপহরন হওয়ার ঘটনার ২০ বৎসর অতিবাহিত হলেও হান্নান ও তার সহযোগী আজও ঘরে ফেরেননি। হান্নান নিখোঁজের ৭ মাস পর স্ত্রী শেফালীর গর্ভে জম্ম নেয় পুত্র পায়েল। আব্দুল হান্নানের ৩ পুত্রের মধ্যে রুবেল বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং-এ সৌরভ মাষ্টার্সে ও পায়েল হিফজ শেষ করে আলিম এ অধ্যয়নরত। নিখোঁজ হান্নানের পুত্র পায়েলের মনে আজও প্রশ্ন জাগে বাবা ফিরবেতো, বাবাকে স্বচক্ষে দেখতে পারবেতো ?
সদা হাসোজ্জল হান্নান দীর্ঘ ২ দশক থেকে নিখোঁজ। মরে গেছেন না বেচে আছেন, কেউ জানেনা। কুলাউড়ার জনগণের মধ্যে সেই থেকে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। জলজ্যান্ত দুটি মানুষ গাড়ী সহ উধাও হয়ে গেল। অথচ জনগণ কি প্রশাসন আজও তাদের কোন সন্ধান দিতে পারলনা। স্ত্রী শেফালী অশ্রুশিক্ত নয়নে পথপানে আজও তাকান স্বামী ফিরবেন এ আশায়। হান্নানের ভাই বোন ও সন্তানেরা এখনও অপেক্ষায় আছেন। তারা হান্নানের সন্ধান চান। জানতে চান তাদের হান্নান বেঁচে আছে নাকি আদৌ পৃথিবী থেকে চলে গেছে।