স্ত্রী শারমিন হাসান, যার অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় স্বাবলম্বী মেহেদী হাসান |
কবুতর বিক্রি করে তিনি জমি কিনে গড়েছেন পাকা বাড়ি। মেহেদী হাসান এখন বেকার যুবকদের অনুপ্রেরণা। প্রতিদিনই দেশের দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছে মেহেদী হাসানের বাড়ীতে। তিনি জানান, স্ত্রী শারমিন হাসানের সহযোগিতায় বাড়ির আঙ্গিনায় গড়ে তুলেছেন প্রিজন ফার্ম। তার খামারে ৫০ প্রজাতির বিদেশি কবুতর রয়েছে। এর মধ্যে ৪২ হাজার টাকা জোড়া মূল্যের ইয়োলো বোখরা, ১০ হাজার টাকা মূল্যের মডেনা ব¬ু কিং, ম্যাগপাই ও আওল এবং ৬ হাজার টাকা মূল্যের বিউটি হুমার উল্লেখযোগ্য। আছে ৬ থেকে ২০ হাজার টাকা মূল্যের পাকিস্থানি ব¬ু সিরাজি, কালো কিং, লাল কিং, হলুদ কিং, হোয়াইট কিং, সাটিং, শ্যালো, নানপারভিন, সিংহ ও হাইপিলার, ৬ হাজার টাকা মূল্যের অস্ট্রেলিয়ার কিং, ২ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় বোম্বাই ও লোটন এবং দেশি সোয়াচন্দন। মেহেদি হাসান জানান, ২০ হাজার টাকা খরচ করে এক জোড়া বিদেশি কবুতর পুষলে বছরে সব খরচ বাদ দিয়ে ৩০ হাজার টাকা লাভ থাকে। ৪ বছর খামারে উৎপাদিত বাচ্চা ও কবুতর বিক্রি করে উলে¬খযোগ্য আর্থিক পরিবর্তন আনতে পেরেছেন মেহেদী। প্রতিবেশী স্কুল ছাত্র সাব্বির হোসেন জানান, মেহেদি হাসানের কাছ থেকে কবুতর কিনে লালন-পালন করে বিক্রি করে নিজের খরচ চালাচ্ছেন তিনি। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: কানাই লাল স্বর্ণকার জানান, মেহেদি হাসান বিদেশী বিভিন্ন জাতের কবুতর পালন করে আজ স্বাবলম্বী। যেকোন প্রকার সমস্যা নিয়ে সে আসলে তাকে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়। মেহেদী হাসানকে অনুকরণ করে দেশের অনেকেই এখন কবুতর পোষার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।