সাহাদুল সুহেদ: স্পেনে আবাসন সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে রাজধানী শহর মাদ্রিদ ও পর্যটননগরী বার্সেলোনায় এ সমস্যা সবচেয়ে বেশি। ফ্ল্যাটের মালিকরা স্বল্প সময়ের জন্য পর্যটকদের ভাড়া দিয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন। আর তাই ঘর/ফ্ল্যাট এর ভাড়া বেড়ে যাচ্ছে- এমন অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ আবাসন সমস্যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশি অভিবাসীদের উপরও।
স্পাউস ভিসা বা বাংলাদেশ থেকে ফ্যামিলি নিয়ে আসার জন্য স্পেনে ঘর ভাড়ার চুক্তিপত্র প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু ভাড়া নেয়ার জন্য ঘর কিংবা সামর্থ অনুযায়ী ঘর ভাড়া না পেয়ে বিপাকে আছেন অনেকেই। তেমনই একজন মাদ্রিদের আফজাল হোসেন। জানালেন, প্রায় ১ বছর ধরে স্পাউস ভিসার জন্য ঘরের চুক্তিপত্রের জন্য ঘর খুঁজছেন। বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা লাভাপিয়েস ও এর আশেপাশে যে ঘরগুলো পাওয়া যাচ্ছে; ভাড়া আকাশচুম্বী। এক বেডরুমের ঘরের ভাড়া ৮শ’ থেকে ৯শ’ ইউরো দাবি করা হচ্ছে। নিজাম উদ্দিন তুহিন এর মা,বাবা ও বোন মাদ্রিদে আসছেন আগামী আগষ্ঠে। মাদ্রিদ সেন্টারে তিনি কাজ করেন। তাই সেন্টারেই বাসা খুঁজছেন দুই মাস ধরে। আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী বাসা পাচ্ছেন না।
বার্সেলোনায়ও একই অবস্থা। ওয়াজিজুর রহমান মুজিব রাভাল এলাকায় একটি ব্যাচেলর মেসে আছেন ৮ বছর ধরে। স্ত্রী ও সন্তানকে স্পেনে নিয়ে আসার আবেদন করেছেন ঘর ভাড়ার চুক্তি দেখিয়েই। কিন্তু ঐ চুক্তি করেছেন অর্থের বিনিময়ে। অন্য একজনের ঘর নিজের নামে করে চুক্তি করতে তাকে গুনতে হয়েছে আড়াই হাজার ইউরো। অথচ তিনি ঐ ঘরে থাকছেন না। ঘর সঙ্কটের অজুহাতে ঘরের চুক্তি করার মাধ্যমে অনেকেই হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। তবে ওয়াজিজুর রহমান এটাকে মন্দের ভালো হিসেবে দেখছেন।
বললেন, স্পাউস ভিসা আবেদনের জন্য ঘরের চুক্তি করতে যত অর্থ ব্যয় হবে, তার থেকে এভাবেই অন্যের ঘরের চুক্তি দেখানো অধিকতর সাশ্রয়ী। তবে ভিসা পেয়ে স্ত্রী সন্তান যখন বার্সেলোনায় আসবেন; তাদের জন্য ঘর খোঁজা নিয়ে এখনই চিন্তিত তিনি।
স্পেনে আবাসন সমস্যা প্রসঙ্গে মাদ্রিদে মানবাধিকার সংস্থা ‘ভালিয়েন্তে বাংলা’র সভাপতি ফজলে এলাহি বলেন, পর্যটকদের স্বল্প সময়ের জন্য ফ্ল্যাট ভাড়া দেয়ার যে হিড়িক পড়েছে; তার জন্যই স্পেনে আবাসন সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময় মাদ্রিদ সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগ করেছি।
ওয়েবসাইট ও অ্যাপসের মাধ্যমে পর্যটকদের স্বল্প সময়ের জন্য ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে ফ্ল্যাটের মালিক লাভবান হচ্ছেন। এক্ষেত্রে লাইসেন্স নেই অধিকাংশরই। সরকারও পাচ্ছে না ট্যাক্স। তাছাড়া রেন্ট কোম্পানির মাধ্যমেও ফ্ল্যাটের ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে - এমন অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে সিটি কাউন্সিলগুলোতে। আবাসন সমস্যা নিয়ে মাদ্রিদসহ স্পেনের বিভিন্ন পর্যটন শহরে বিক্ষোভ র্যালি সমাবেশ করে স্থানীয় অধিবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এরই মধ্যে আবাসন সমস্যা সমাধানে দেশটির দ্বীপ শহর পালমায় আগামী জুলাই থেকে পর্যটকদের অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে মালিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পালমা সিটি কাউন্সিল। বার্সেলোনা সিটি কাউন্সিল হোম রেন্টাল ওয়েবসাইট এয়ারবিএনবি (Airbnb- www.airbnb.es ) ও হোমএওয়ে (HomeAway- www.homeaway.es) কে জরিমানা করেছে।
স্পাউস ভিসা বা বাংলাদেশ থেকে ফ্যামিলি নিয়ে আসার জন্য স্পেনে ঘর ভাড়ার চুক্তিপত্র প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু ভাড়া নেয়ার জন্য ঘর কিংবা সামর্থ অনুযায়ী ঘর ভাড়া না পেয়ে বিপাকে আছেন অনেকেই। তেমনই একজন মাদ্রিদের আফজাল হোসেন। জানালেন, প্রায় ১ বছর ধরে স্পাউস ভিসার জন্য ঘরের চুক্তিপত্রের জন্য ঘর খুঁজছেন। বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা লাভাপিয়েস ও এর আশেপাশে যে ঘরগুলো পাওয়া যাচ্ছে; ভাড়া আকাশচুম্বী। এক বেডরুমের ঘরের ভাড়া ৮শ’ থেকে ৯শ’ ইউরো দাবি করা হচ্ছে। নিজাম উদ্দিন তুহিন এর মা,বাবা ও বোন মাদ্রিদে আসছেন আগামী আগষ্ঠে। মাদ্রিদ সেন্টারে তিনি কাজ করেন। তাই সেন্টারেই বাসা খুঁজছেন দুই মাস ধরে। আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী বাসা পাচ্ছেন না।
বার্সেলোনায়ও একই অবস্থা। ওয়াজিজুর রহমান মুজিব রাভাল এলাকায় একটি ব্যাচেলর মেসে আছেন ৮ বছর ধরে। স্ত্রী ও সন্তানকে স্পেনে নিয়ে আসার আবেদন করেছেন ঘর ভাড়ার চুক্তি দেখিয়েই। কিন্তু ঐ চুক্তি করেছেন অর্থের বিনিময়ে। অন্য একজনের ঘর নিজের নামে করে চুক্তি করতে তাকে গুনতে হয়েছে আড়াই হাজার ইউরো। অথচ তিনি ঐ ঘরে থাকছেন না। ঘর সঙ্কটের অজুহাতে ঘরের চুক্তি করার মাধ্যমে অনেকেই হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। তবে ওয়াজিজুর রহমান এটাকে মন্দের ভালো হিসেবে দেখছেন।
বললেন, স্পাউস ভিসা আবেদনের জন্য ঘরের চুক্তি করতে যত অর্থ ব্যয় হবে, তার থেকে এভাবেই অন্যের ঘরের চুক্তি দেখানো অধিকতর সাশ্রয়ী। তবে ভিসা পেয়ে স্ত্রী সন্তান যখন বার্সেলোনায় আসবেন; তাদের জন্য ঘর খোঁজা নিয়ে এখনই চিন্তিত তিনি।
স্পেনে আবাসন সমস্যা প্রসঙ্গে মাদ্রিদে মানবাধিকার সংস্থা ‘ভালিয়েন্তে বাংলা’র সভাপতি ফজলে এলাহি বলেন, পর্যটকদের স্বল্প সময়ের জন্য ফ্ল্যাট ভাড়া দেয়ার যে হিড়িক পড়েছে; তার জন্যই স্পেনে আবাসন সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময় মাদ্রিদ সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগ করেছি।
ওয়েবসাইট ও অ্যাপসের মাধ্যমে পর্যটকদের স্বল্প সময়ের জন্য ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে ফ্ল্যাটের মালিক লাভবান হচ্ছেন। এক্ষেত্রে লাইসেন্স নেই অধিকাংশরই। সরকারও পাচ্ছে না ট্যাক্স। তাছাড়া রেন্ট কোম্পানির মাধ্যমেও ফ্ল্যাটের ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে - এমন অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে সিটি কাউন্সিলগুলোতে। আবাসন সমস্যা নিয়ে মাদ্রিদসহ স্পেনের বিভিন্ন পর্যটন শহরে বিক্ষোভ র্যালি সমাবেশ করে স্থানীয় অধিবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এরই মধ্যে আবাসন সমস্যা সমাধানে দেশটির দ্বীপ শহর পালমায় আগামী জুলাই থেকে পর্যটকদের অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে মালিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পালমা সিটি কাউন্সিল। বার্সেলোনা সিটি কাউন্সিল হোম রেন্টাল ওয়েবসাইট এয়ারবিএনবি (Airbnb- www.airbnb.es ) ও হোমএওয়ে (HomeAway- www.homeaway.es) কে জরিমানা করেছে।