Latest News

‘আই রিয়েলি ডোন্ট কেয়ার, ডু ইউ?’

এসবিএন ডেস্ক: সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প একটি বার্তা সম্মলিত জ্যাকেট নিয়ে তোলপাড় চলছে বিশ্ব মিডিয়ায়। ফার্স্ট লেডির পরিধোনরত জারা ব্রান্ডের জ্যাকেটটির পিছনে লেখা ‘আই রিয়েলি ডোন্ট কেয়ার, ডু ইউ?’ অর্থাৎ আমি বাস্তবেই কিছু পরোয়া করি না, আপনি করেন কি?
মা-বাবার নিকট থেকে বিচ্ছিন্ন করে নেয়া দুই হাজারের বেশি শিশুর ভবিষ্যৎ বিষয়ে উৎকন্ঠাজনিত অবস্থাতে টেক্সাসের একটি ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শন করেছেন মেলানিয়া ট্রাম্প । ওই ডিটেনশন সেন্টারে ৫৮টি পরিবারের বিচ্ছিন্ন শিশু রয়েছে। সেখানে পরিদর্শনের সময় মেলানিয়া ট্রাম্প ঐ বার্তা সম্মলিত জ্যাকেট পরিধোনরত ছিলেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প অভিবাসন নীতিতে যে শূন্য সহনশীলতা গ্রহণ করেছেন তার প্রতি তো থোড়াই কেয়ার বোঝাতে মেলানিয়া অমন বাক্য সম্বলিত জ্যাকেট পরেছেন। এমনিতেই তিনি আগে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
স্ত্রী মেলানিয়া যখন ওই জ্যাকেট পরেছেন তখন তাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, মেলানিয়া আসলে ওই বাক্যটি দিয়ে ফেইক নিউজ মিডিয়া বা ভুয়া সংবাদ মাধ্যমকে বুঝিয়েছেন। ওইসব মিডিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে ট্রাম্প আরও বলেছেন, মেলানিয়া জানতে পেরেছে তারা (মিডিয়া) কত অসৎ এবং তাদের প্রতি সে আর কোনো তোয়াক্কাই করে না। ফলে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। 
ফ্যাশন ব্রান্ড জারার ৩৯ ডলার দামের ওই পোশাকটি পরে মেলানিয়া সীমান্ত এলাকায় আটক রাখা শিশুদের দেখতে যান। পরে তার মুখপাত্র বলেন, মেলানিয়া একটি জ্যাকেট পরেছিলেন। তবে তাতে এমন কোনো বার্তা লেখা নেই যা লুকানো। অভিবাসন নীতিতে শিশুদের আটকে রাখার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্পও। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে দেশটির সরকার জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার পর এই শিশুদের তাদের মা-বাবার কাছ থেকে সরিয়ে ওই ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়।
যদিও ২০ জুন, বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে করেছেন, যেটি তার ওই নীতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দেয়। ওই আদেশ অনুযায়ী, অভিবাসী পরিবারগুলো তাদের এ সংক্রান্ত মামলা শুনানি শুরু হলে একত্রে (ডিটেনশন সেন্টারে) থাকতে পারবে।
এদিকে ২১ জুন, বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন জানিয়েছে, তারা প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী পরিবারগুলোকে পুনরেকত্রিকরণে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে এই শিশুদের মা-বাবারা যেহেতু অভিবাসন সংক্রান্ত মামলার শুনানির জন্য জেল হাজতে রয়েছেন, ফলে একত্রিকরণ কীভাবে করা হবে তা সংস্থাটি পরিষ্কার করেনি।

যোগাযোগ

Editor:Sahadul Suhed, News Editor:Loukman Hossain E-mail: news.spainbangla@gmail.com