মিরন নাজমুল: স্পেনের বার্সেলোনায় স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করার জন্য সিটি করপোরেশন স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবকে আশ্বাস প্রদান করেছে। ১৭ জুলাই (বুধবার) স্পেন বাংলা প্রেসক্লাব বার্সেলোনা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মত বিনিময় সভা করেছে। সভায় সিটি কাউন্সিলর নাতালিয়া মারটিনেস রোদ্রিগেজ ও কাউন্সিলর জরদি রাবাসসাসহ সিটি করপোরেশনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফাজ জনি, সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন ও সভার সমন্বয়ক কামরুল মোহাম্মদসহ অন্যান্য নেতৃবন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সিটি করপোরেশনকে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মানের জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন পত্র পেশ করা হয়।
গত দুই সপ্তাহ ধরে মহান একুশ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাসে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংশ্লিষ্টতা এবং বাংলাদেশে একুশ উদযাপনের জন্যে শহীদ মিনারের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য সমন্বয়ক কামরুল মোহাম্মদ ও স্পেন বাংলা প্রেসক্লাব বিভিন্ন নথিপত্র ও তথ্য উপাত্ত প্রস্তুত করেন। এর মধ্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিলো প্রবাসী সাংবাদিক মিরন নাজমুলের তৈরী করা বিশেষ ভিডিও চিত্র। ভিডিও চিত্রে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও প্রভাত ফেরী অনুষ্ঠানে প্রস্তুতিসহ একুশ সংক্রান্ত বিষয়ের সাথে নেপথ্যে ছিলো স্প্যানিশ ভাষায় গাওয়া ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী’ গানটির প্রথম অন্তরা। স্প্যানিশ ভাষায় একুশের গান শুনে সিটি করপোরেশনে কর্মকর্তাবৃন্দ একুশ সংক্রান্ত পুরো প্রেজেন্টেশনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবকে ধন্যবাদ জানান।
পরে উপস্থিত সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ আশ্বাস দেন, শহরের সিউতাদ ভেইয়াতে সিটি করপোরেশন সৌধ নির্মাণের জন্য পুনরায় অনুমতি দিলে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে। বার্সেলোনায় বাংলাদেশী কমিউনিটির ‘প্রাণের দাবি’ একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশী কমিউনিটি বিভিন্নভাবে দাবি করে আসছিলো। কিন্তু বার্সেলোনা শহরের বাংলাদেশী অধ্যুষিত এই এলাকা সিউদাদ ভেইয়াতে আপাততঃ কোন ধরণের সৌধ নির্মাণের অনুমতি না থাকায় এতোদিন শহীদ মিনার প্রশ্নে সিটি করপোরেশন বিশেষ ইতিবাচক আশ্বাস দেয়নি। দাবির প্রেক্ষিতে শুধু প্লাসা পেদ্রোতে গত ২১ ফেব্রুয়ারীর আগে একটি একুশের শহীদ মিনারের ছবি ও বাংলা লেখা সম্বলিত একটি স্থায়ী প্লাকা (সিল্ড) স্থাপন করে। কর্মকর্তারা আরো জানান, সিউতাদ ভেইয়াতে ভবিষ্যতে কোন প্রকার সৌধ নির্মাণের অনুমাতি যদি নাও আসে তাহলে সিউতাদ ভেইয়ার বাইরে হলেও মহান ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার সম্মানে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।
সিটি করপোরেশনের এই ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশী কমিউনিটি একান্ত দাবী এই স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরী বাস্তবায়িত হবার ক্ষেত্রে হতাশার মধ্যে আশার আলো সঞ্চারিত হলো বলে মনে করছেন বার্সেলোনায় বসবাসকারী বাংলাদেশীরা।
গত দুই সপ্তাহ ধরে মহান একুশ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাসে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংশ্লিষ্টতা এবং বাংলাদেশে একুশ উদযাপনের জন্যে শহীদ মিনারের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য সমন্বয়ক কামরুল মোহাম্মদ ও স্পেন বাংলা প্রেসক্লাব বিভিন্ন নথিপত্র ও তথ্য উপাত্ত প্রস্তুত করেন। এর মধ্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিলো প্রবাসী সাংবাদিক মিরন নাজমুলের তৈরী করা বিশেষ ভিডিও চিত্র। ভিডিও চিত্রে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও প্রভাত ফেরী অনুষ্ঠানে প্রস্তুতিসহ একুশ সংক্রান্ত বিষয়ের সাথে নেপথ্যে ছিলো স্প্যানিশ ভাষায় গাওয়া ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী’ গানটির প্রথম অন্তরা। স্প্যানিশ ভাষায় একুশের গান শুনে সিটি করপোরেশনে কর্মকর্তাবৃন্দ একুশ সংক্রান্ত পুরো প্রেজেন্টেশনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবকে ধন্যবাদ জানান।
পরে উপস্থিত সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ আশ্বাস দেন, শহরের সিউতাদ ভেইয়াতে সিটি করপোরেশন সৌধ নির্মাণের জন্য পুনরায় অনুমতি দিলে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে। বার্সেলোনায় বাংলাদেশী কমিউনিটির ‘প্রাণের দাবি’ একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশী কমিউনিটি বিভিন্নভাবে দাবি করে আসছিলো। কিন্তু বার্সেলোনা শহরের বাংলাদেশী অধ্যুষিত এই এলাকা সিউদাদ ভেইয়াতে আপাততঃ কোন ধরণের সৌধ নির্মাণের অনুমতি না থাকায় এতোদিন শহীদ মিনার প্রশ্নে সিটি করপোরেশন বিশেষ ইতিবাচক আশ্বাস দেয়নি। দাবির প্রেক্ষিতে শুধু প্লাসা পেদ্রোতে গত ২১ ফেব্রুয়ারীর আগে একটি একুশের শহীদ মিনারের ছবি ও বাংলা লেখা সম্বলিত একটি স্থায়ী প্লাকা (সিল্ড) স্থাপন করে। কর্মকর্তারা আরো জানান, সিউতাদ ভেইয়াতে ভবিষ্যতে কোন প্রকার সৌধ নির্মাণের অনুমাতি যদি নাও আসে তাহলে সিউতাদ ভেইয়ার বাইরে হলেও মহান ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার সম্মানে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।
সিটি করপোরেশনের এই ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশী কমিউনিটি একান্ত দাবী এই স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরী বাস্তবায়িত হবার ক্ষেত্রে হতাশার মধ্যে আশার আলো সঞ্চারিত হলো বলে মনে করছেন বার্সেলোনায় বসবাসকারী বাংলাদেশীরা।