এসবিএন ডেস্ক. নর্দান ইউনির্ভাসিটির খুলনা ক্যাম্পাসে ক্লাস চলাকালে আইন বিভাগের শিক্ষক রাজিব হাসনাত শাকিল রাষ্ট্রপতি, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করায় ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, উক্ত শিক্ষক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নাস্তিক, রাষ্ট্রপতিকে বটতলার উকিল ও বঙ্গবন্ধুকে ফেরাঊন বলেন। শুধু তাই নয়, সে যুদ্ধাপরাধের দায়ে কাদের মোল্লার ফাঁসিকে ‘অবৈধ’ বলে মন্তব্য করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। গত ৩০ জুন দৈনিক জনকণ্ঠে শিক্ষকদের বক্তব্যের প্রতিবাদ করায় ছাত্রত্ব বাতিল! এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তবে কটূক্তি করার এই অভিযোগটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি নাঈমকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়নি বলেও দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক বুধবার সকালে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুর রহমানের আদালতে মানহানির মামলাটি করেন। মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বুধবার দুপুরে শুনানি হওয়ার কথা। মামলার আসামিরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক রাজিব হাসনাত শাকিল ও ক্যাম্পাস ইনচার্জ ড. আনোয়ারুল করিম। এদিকে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের খুলনা শাখার সাথে যোগাযোগ করলে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আইন বিভাগের শিক্ষক রাজীব হাসান শাকিলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। এমনকি তিনি জানান, নাঈমকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারও করা হয়নি। তিনি আরো জানান, নাঈম প্রথমে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা ক্যাম্পাসের ছাত্র ছিলেন। সেখানে এমন দুয়েকটি ঘটনা ঘটার পরই সে খুলনা ক্যাম্পাসে ট্রান্সফারের আবেদন জানায়। তখন নাঈম কারণ হিসেবে জানায়, ঢাকায় সে ঝুঁকিতে আছে। খুলনা ক্যাম্পাসে ট্রান্সফারের দেড় মাসের মাথায় গত জানুয়ারিতে এঘটনা ঘটায় সে। বিশ্ববিদ্যালয়ের খুলনা শাখার ওই মুখপাত্র প্রশ্ন রাখেন, ঘটনা সত্যি হয়ে থাকলেও তা ঘটেছিল জানুয়ারিতে।
তাহলে জুলাইতে এসে কেন সে সাংবাদিক সম্মেলন করবে? জানুয়ারিতেই তো করার কথা। তিনি জানান, সোমবার রাতে শিক্ষক শাকিলের পক্ষে নাঈমের এঘটনার প্রতিবাদে খুলনা ক্যাম্পাসের ছাত্ররা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করে। বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে ওই মূখপাত্র জানান, নাঈমের বাবা কটিয়াদিতে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর এবং নাঈমের বিরুদ্ধে তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ থানায় অপহরণ ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। তিনি জানান, নাঈম যেদিন সংবাদ সম্মেলন করেন, সেদিনই শিক্ষক শাকিল খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় এবিষয়ে একটি জিডি করেন। অপরদিকে গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নগরীর শিববাড়ি মোড়ে ক্যাম্পাসের সামনের সড়কে নর্দান ইউনিভার্সিটির খুলনা ক্যাম্পাসের বিরুদ্ধে চক্রান্তের প্রতিবাদে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে
শিক্ষার্থীরা
বলেন,
২৯
জুন
খুলনা
প্রেসক্লাবে
নর্দান
ইউনিভার্সিটির
আইন
বিভাগের
ছাত্র
মো.
নাঈম
সংবাদ
সম্মেলন
করে
মিথ্যা
বক্তব্য
উপস্থাপন
করেছেন।
সংবাদকর্মীদের
মাঝে
ভুল
তথ্য
দিয়েছেন।
তার
ছাত্রত্ব
বাতিল
করা
হয়নি। নাঈমের
দেওয়া
তথ্যের
ভিত্তিতে
কয়েকটি
পত্রিকায়
প্রকাশিত
সংবাদ
সম্পূর্ণ
ভিত্তিহীন,
উদ্দেশ্য
প্রণোদিত
ও
বানোয়াট
বলে
দাবি
করেন
শিক্ষার্থীরা। তারা
বলেন,
নর্দান
বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষক
রাজিব
হাসনাত
শাকিল
বাংলাদেশের
স্থপতি
জাতির
পিতা
বঙ্গবন্ধু
শেখ
মুজিবুর
রহমান,
রাষ্ট্রপতি
ও
প্রধানমন্ত্রী
সম্পর্কে
কোনো
ধরনের
কটুক্তিমূলক
বক্তব্য
কখনো
দেননি।
ওই
বিভাগের
কিংবা
বিশ্ববিদ্যালয়ের
কোনো
ছাত্র
নাঈমের
এই
অভিযোগ
সমর্থন
করেনি। তারা
আরো
জানান,
ঢাকা
ক্যাম্পাসে
থাকাকালীন
একটি
বিশেষ
ঘটনাকে
কেন্দ্র
করে
নাঈমকে
খুলনা
ক্যাম্পাসে
স্থানান্তর
হয়ে
আসতে
হয়েছে।
অনুরূপভাবে
নর্দান
ইউনিভার্সিটির
খুলনা
ক্যাম্পাসে
ছাত্রীদের
উত্ত্যক্ত
করার
অভিযোগ
রয়েছে
তার
বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীরা
নাঈমের
দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি
দাবি
করেন।
এসময়
বুধবার
শিক্ষার্থীরা
একই
স্থান
থেকে
বিক্ষোভ
মিছিল
ও
বৃহস্পতিবার
অবস্থান
কর্মসূচিতে
ছাত্র-ছাত্রীদের
অংশগ্রহণ
করার
আহ্বান
জানান। অপরদিকে
গত
২৯
জুন
খুলনা
প্রেসক্লাবে
নাঈম
সংবাদ
সম্মেলন
করে
দাবি
করে,
রাজিব
হাসনাত
শাকিল
জাতির
জনক,
রাষ্ট্রপতি
এবং
প্রধানমন্ত্রীর
বিরুদ্ধে
কটূক্তি
করায়
তার
বিরোধিতা
করে
ক্লাস
বর্জন
করেছিল
সে।
তার
এই
নীরব
প্রতিবাদের
কারণে
প্রথমে
ওই
শিক্ষকের
অনুগামী কিছু
শিক্ষার্থী,
শিক্ষক,
কর্মচারী
তাকে
উত্যক্ত
করতে
শুরু
করে।
শেষে
নাঈমের
কাছ
থেকে
সাদা
কাগজে
স্বাক্ষর
নেওয়া
হয়
এবং
বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে
বহিস্কার
করা
হয়। সে
জানায়,
পরবর্তীতে
এবিষয়
জানাজানি
হলে
সর্বত্র
প্রতিবাদের
ঝড়
উঠে।
সামাজিক
যোগাযোগের
সাইট
ফেইসবুক
এবং
ইলেক্ট্রনিক
মিডিয়ায়
প্রতিবাদের
ঝড়
বয়ে
যায়। ফেসবুকে
দেখা
যায়,
ইতোমধ্যে
খোলা
হয়েছে
বেশ
কয়েকটি
ইভেন্ট।
সেসব
ইভেন্টে
নাঈমের
ছাত্রত্ব
ফিরিয়ে
দেওয়ার
কথা
বলা
হচ্ছে।